স্থানীয় পরামর্শের উষ্ণতা
হোক্কাইদোর শারি টাউনের এক সাধারণ লাইব্রেরি থেকে জন্ম নিল এক অনন্য বেস্টসেলার। কিশোরদের প্রশ্নে ভরা নোটিশবোর্ড—“জীবন কী?”, “ভালোবাসা আর ক্রাশ—ফারাক কোথায়?”—আর তার জবাবে লাইব্রেরিয়ানদের হাতে লেখা স্নিগ্ধ, ব্যবহারিক উত্তর। ছবি ভাইরাল হয়; প্রকাশক এগিয়ে আসে; প্রথম মুদ্রণ দ্রুত শেষ। অ্যালগরিদমিক ফিডের যুগে পাঠকেরা খুঁজে পেয়েছে ধীর, স্থানীয় পরামর্শ—পাশের বাড়ির কণ্ঠস্বর, ভাইরাল ‘হ্যাক’ নয়। শিক্ষাবিদদের মতে, এমন উদ্যোগ তরুণদের প্রশ্ন তোলার নিরাপদ জায়গা বানায়—স্কুল বা ঘরে বলতে না পারা কথা এখানে বলা যায়।
জাপানের বিভিন্ন প্রিফেকচারে এখন ‘প্রশ্ন-দেয়াল’ গড়ার উদ্যোগ চলছে। স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে—উত্তরে সহমর্মিতা, বিচার নয়। প্রকাশক ক্লাসরুম সংস্করণ আনতে চায়; মানসিক স্বাস্থ্য সংগঠনগুলো কাউন্সেলিং টুলকিটে মডেলটি নিচ্ছে। বই বিক্রেতাদের হিসাবে ক্রেতারা তরুণ হলেও উপহার হিসেবে কিনছেন দাদু-নানুরাও। সমালোচকেরা বলেন, উত্তরগুলোতে নেই মহানগরের নৈরাশ্য বা দপ্তরি ভাষা; আছে প্রিয় শিক্ষকের মতো সুর। ঘটনাটি লাইব্রেরিকে সামাজিক অবকাঠামো হিসেবে নতুনভাবে হাজির করছে—জ্ঞান যেখানে থাকে, আর নাগরিকেরা যেখানে ‘শোনা’র চর্চা করে। যদি এই ধারা টিকে, প্রোডাক্টিভিটি গাইডের পাশে হয়তো দেখা যাবে ‘স্লো অ্যাডভাইস’ শেলফ।