ক্রসওভার কনটেন্টে নতুন পরীক্ষা
নেটফ্লিক্স ও স্পটিফাই যৌথভাবে ২০২৬ সাল থেকে কিছু নির্বাচিত ভিডিও পডকাস্ট নেটফ্লিক্সে স্ট্রিম করবে। রিংগার নেটওয়ার্কের ‘দ্য বিল সিমন্স পডকাস্ট’ ও ‘দ্য রিওয়াচেবলস’—এর সঙ্গে ট্রু-ক্রাইম ধারার ‘সিরিয়াল কিলারস’ থাকছে শুরুর তালিকায়। উভয় প্রতিষ্ঠান বলছে, এটি প্রাথমিক সিলেকশন; ধারাবাহিকভাবে নতুন জঁর ও শো যুক্ত হবে। নেটফ্লিক্সের জন্য এটি স্বল্প খরচের, ‘এভারগ্রিন’ আলোচনাধর্মী কনটেন্ট—প্রোগ্রামিং ফাঁকে ভরাট ও অভ্যাসগত দেখার অভ্যাস তৈরি করতে পারে। স্পটিফাইয়ের জন্য এটি নতুন দর্শক ধরা—সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক বিনোদন অ্যাপে তারকা হোস্টদের সামনে আনা এবং সেখান থেকে অডিও ফিডে ট্র্যাফিক ফেরানো। প্রশ্ন হলো, সাধারণত ইউটিউব-অপ্টিমাইজড পডকাস্ট ভিডিও কি কিউরেটেড সাবস্ক্রিপশন অ্যাপে বিস্তার পাবে?
প্ল্যাটফর্ম দুটির কৌশল নজরে থাকবে। সাফল্য নির্ভর করবে প্রোডাকশনের মান, রাইটস উইন্ডো, ও বিশ্লেষণে প্রমাণিত ‘ক্রসওভার’ আচরণের ওপর—নেটফ্লিক্সে দেখে কি শ্রোতারা স্পটিফাইতে সাবস্ক্রাইব করছেন? রাজস্ব ভাগাভাগি ও বিজ্ঞাপনের কাঠামোও গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত স্পনসরশিপ–ভিত্তিক শোগুলোর জন্য। সম্ভাব্য পরীক্ষার মধ্যে থাকতে পারে কম্প্যানিয়ন পেজ, মোবাইল ফিডে ক্লিপ, আর ক্যাটালগ ছবির সঙ্গে থিম্যাটিক প্লেলিস্ট। ঝুঁকির দিক হলো ব্র্যান্ড জটিলতা ও ‘ফ্রি’ চ্যানেলে দর্শক সরে যাওয়ার আশঙ্কা। তবু বান্ডেল ও ক্রস-লাইসেন্সের যুগে পডকাস্ট লেন নেটফ্লিক্সকে বৈচিত্র্য দিতে পারে, আর স্পটিফাই ভিডিওতে বাড়তি শ্বাস নিতে পারে—সম্পূর্ণ ডিস্ট্রিবিউশনের খরচ না বাড়িয়েই। যদি পরীক্ষা সফল হয়, স্পোর্টস, পপ কালচার ও সাক্ষাৎকারভিত্তিক শোগুলো স্ট্রিমিং গ্রিডে এক স্থায়ী স্তম্ভে পরিণত হতে পারে।