গ্রিনউইচের গ্রেট একুয়েটোরিয়াল টেলিস্কোপের যাত্রা
১৮৯৩ সালে গ্রিনউইচ রয়্যাল অবজারভেটরিতে গ্রেট একুয়েটোরিয়াল টেলিস্কোপ স্থাপন করা হয়, যা ছিল একটি বিপ্লবী যন্ত্র। এই টেলিস্কোপটি মূলত আকাশগঙ্গার ছবি তুলতে ব্যবহৃত হতো, এবং এর বিশেষত্ব ছিল এর ক্লকওয়ার্ক ড্রাইভ সিস্টেম, যা তাৎক্ষণিকভাবে সঠিকভাবে স্থির রাখতে সক্ষম ছিল। এই প্রযুক্তির সাহায্যে, টেলিস্কোপটি কয়েক ঘণ্টা ধরে দীর্ঘ এক্সপোজারে ছবি তুলতে পারত, যা মিহি গ্যাসের মেঘ (নেবুলা) দেখতে সাহায্য করত।
গ্রিনউইচের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ
গ্রিনউইচের পৃথিবীজুড়ে খ্যাতি ছিল, তবে অল্প সময়ের মধ্যে নতুন, উন্নত যন্ত্রপত্র গ্রিনউইচের রাইভাল অবজারভেটরিগুলোতে তৈরি হওয়ায়, সেখানে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছিল। গ্রেট একুয়েটোরিয়াল টেলিস্কোপ স্থাপনের এক বছরের মধ্যে, অষ্টম অ্যাস্ট্রোনোমার রয়্যাল উইলিয়াম ক্রিস্টি মন্তব্য করেন যে, গ্রিনউইচের প্রধান টেলিস্কোপ পুরনো হয়ে পড়ছে এবং সেটি পিছিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য, তিনি অ্যাডমিরালটিকে একটি নতুন টেলিস্কোপ কেনার জন্য অনুপ্রাণিত করেন, এবং সেই নতুন ২৮-ইঞ্চি ডায়ামিটার লেন্স টেলিস্কোপ ১৮৯৩ সালে কার্যকর করা হয়।
টেলিস্কোপের কাজ এবং ব্যবহার
এটি একটি বিশেষ ধরনের টেলিস্কোপ ছিল, যার নাম দেয়া হয়েছিল গ্রেট একুয়েটোরিয়াল টেলিস্কোপ। এর দিক নির্দেশনা সিস্টেম ছিল পৃথিবীর সমকোণীয়, অর্থাৎ এটি পৃথিবীর কক্ষপথের সাথে সমান্তরালভাবে চলতে পারত। এই টেলিস্কোপের সাহায্যে, দূরবর্তী নক্ষত্রগুলির ভর নির্ধারণ করা সম্ভব হতো। এর মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়েছিল, কিভাবে একটি জোড়া তারার কক্ষপথের মধ্যে কোণ পরিবর্তিত হয়ে তার ভর হিসাব করা যায়।
টেলিস্কোপের অবসান
১৯৭১ সালে গ্রেট একুয়েটোরিয়াল টেলিস্কোপটি অবসর গ্রহণ করে, তবে এটি আজও গ্রিনউইচে তার বিশিষ্ট অনিয়ন আকৃতির গম্বুজে রাখা আছে, এবং এটি আজও দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত।