রেলওয়ের সময়সূচী সমস্যা
১৮৪০-এর দশকে, ব্রিটেনের রেলওয়ে নেটওয়ার্ক দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছিল। রেলপথের বিস্তার ব্যাপক ছিল, তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা দেখা দিয়েছিল। রেলওয়ে কোম্পানিগুলো যখন ১৮৪৭ সালে তাদের সময়সূচী সমন্বয় করতে চাইল, তারা গ্রিনউইচ মধ্যবর্তী সময় (GMT) ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু তখনকার ব্রিটেনের শহরগুলো স্থানীয় সময় অনুসারে চলতো, যা সানডেল দ্বারা নির্ধারিত হত এবং এর পার্থক্য ছিল পূর্ব ও পশ্চিমে প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
সমস্যা সমাধানে গ্রিনউইচের অবদান
এই সমস্যার সমাধানে নেমে আসেন জর্জ বিডেল এয়ারি, সপ্তম আক্রমণকারী রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তিনি একটি নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসেন – টেলিগ্রাফের তারের মাধ্যমে সংকেত পাঠানোর প্রযুক্তি। তার মতে, এটি সমন্বিত ঘড়ির মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারবে এবং রেলওয়ে স্টেশনগুলোকে সঠিক সময় জানাতে সাহায্য করবে।
শেফার্ড মটর ক্লক এবং তার সাফল্য
এয়ারি গ্রিনউইচ রয়াল অবজারভেটরিতে একটি নতুন ঘড়ি – শেফার্ড মটর ক্লক – স্থাপন করেন, যা ১৮৫২ সাল থেকে রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে প্রতিদিন সময় সংকেত পাঠানো শুরু করে। এছাড়া, এই ঘড়ি লন্ডনের স্ট্র্যান্ডে ইলেকট্রিক টেলিগ্রাফ কোম্পানির মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়েও সময় সংকেত পাঠাত।
সময়ের নতুন যুগের সূচনা
এই নতুন প্রযুক্তি রেলওয়ের সময়সূচী ব্যবস্থাপনাকে বদলে দেয় এবং ১৮৮০ সালের মধ্যে গ্রিনউইচ মধ্যবর্তী সময় (GMT) ব্রিটেনের আইনগত সিভিল টাইম হিসেবে গ্রহণ করা হয়।