এরূপে ঐ দুইটি রাশিকে দুই প্রভৃতি (দুই তিন প্রভৃতি?) রাশি দ্বারা নিঃশেষে ভাগ করা সম্ভব নয়।
বঙ্গাস্থবাদ নিষ্প্রয়োজন। বলা বাহুল্য এ থেকে যে সমীকরণটি পাওয়া যায়, তা হচ্ছে: ax-c/b=y
এখানে ,
a (ভাজ্য) = গ্রহের আবর্তন সংখ্যা
b (= ভাঙ্গক) একটি যুগে সাবন দিন
c (=ক্ষেপ) = গ্রহের আবর্তনের অবশেষ
x = (গুণক) = অহর্গণ
y = (ভাগফল) = গ্রহ কর্তৃক সম্পূর্ণ আবর্তনকাল
প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন যে গোবিন্দস্বামী মহাভাস্করীয়ের ৪১ তম শ্লোকটির টীকা করতে গিয়ে বলেছেন:
ভুদিবসেষ্টগ্রহভগণপরস্পরভক্তশেষেণ ভূদিনগ্রহভগণৌ বিভজেত। তত্র লভৌ দৃঢ়ো ভবতঃ। অপবর্তিতয়োহারভাজ্যয়োঃ সুকরং কুট্টাকার মিত্যপর্বতেনমুক্তম্। অনপবর্তিতাভ্যমপি কর্তব্যম্।
অর্থাদেতচূক্তং ভবতি-ভাজ্যভাগহারয়োরেকেন রাশিনা অপবর্তিত-য়োনপবর্তিতয়োশ্চ ন বিশেষোপলব্ধিরিতি। এবং তয়োবিভক্ত -য়োর্ণ পুনদ্বিত্বাদিসংখাকেন তন্নিশে, শষহরণসংভবঃ। এক সংখ্যকে।
তুন ভবতি রূপান্তরাপত্তিঃ। অতন্তৌ দৃঢ়াবিত্যুচ্যেতে।
তয়োদৃ চীভূতয়োঃ কুট্টাকারং বিহুস্তদ্বিদঃ
বঙ্গানুবাদ: ভূমিসাবন দিনে ইষ্টগ্রহ ভগনসমূহের পরস্পর ভাগশেষ দ্বারা ভূমিসাবন দিনের দুই গ্রহের ভগণ দুইটিকে ভাগ করিবে। ঐ ভাগফল দুইটিই দৃঢ়ষয় হইবে। ‘অপবতিত’ ভাজ্য ও হারের ‘কুট্টকার’এ অর্থাৎ কুট্রকগণিতে অপবর্তনে গণিতটি সহজ হয় বলিয়া কথিত আছে। অনপবর্তিতদ্বয়েরও (কুট্টক) কর্তব্য। অর্থাৎ এই কথাই বলা হয় যে ভাজ্যমানরাশিদ্বয়ের একটি রাশিদ্বারা অপবর্তিত বা অনপবর্তিতের, কোনও বিশেষ ফল লাভ হয় না।
এরূপে ঐ দুইটি রাশিকে দুই প্রভৃতি (দুই তিন প্রভৃতি?) রাশি দ্বারা নিঃশেষে ভাগ করা সম্ভব নয়। সংখ্যাটি দ্বারা ভাগ করিলে কোন রূপান্তরই ঘটে না। অতএব ঐ দুইটিকেই পূর্বকথিত ‘দৃঢ় বলা হয়। কুট্টকগণিতজ্ঞগণ কুট্টক গণিতে পূর্বোক্ত দুইটিকে সেই কারণে ‘দৃঢ়’স্বয় বলিয়া জানেন।
(চলবে)