০৭:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের অভিযোগ—চীনের প্রধান বাণিজ্য আলোচক ‘অশ্রদ্ধাশীল ও ভারসাম্যহীন’ আফগান সীমান্তের কাছে মির আলিতে আত্মঘাতী বোমা ও বন্দুকধারীর হামলা” নেপালের ‘জেন জেড’ বিদ্রোহে বিভাজন—আদর্শগত ফাটল উন্মোচিত গাইবান্ধায় মা ও নবজাতকের মৃত্যুতে উত্তেজনা ক্লিনিক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ পাকিস্তান সীমান্তে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি,আলোচনার উদ্যোগ ৩০ ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে, বন্ধ বিমান চলাচল কার্গো টার্মিনালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণার কয়েক সপ্তাহ পরই এসকে টেলিকমের এআই ইউনিটে স্বেচ্ছা অবসর অটিজম আক্রান্ত শিশুদের জন্য ‘মুন সং’—সহানুভূতি, অন্তর্ভুক্তি ও ভালোবাসার মঞ্চ তেলদামের ধারাবাহিক পতন—শীতের আগে কারা লাভবান, কারা চাপে

জুলাই জাতীয় সনদ: সই হলো সংস্কারের সনদ

সমকালের একটি শিরোনাম “বিশ্ববাজারের তুলনায় দেশে স্বর্ণের দাম কেন বেশি”

‘কয়েক বছর ধরে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা চলছে স্বর্ণের বাজারে। দেশেও এর আঁচ লেগেছে। গত দুই বছরেই দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। রেকর্ড গড়ে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দুই লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে দাম অনেক বেশি। ফলে দেশে কোন মানদণ্ডের ভিত্তিতে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

তবে বাজুসের নেতারা বলছেন, স্বর্ণ একটি মূল্যবান স্থায়ী সম্পদ। ফলে বিশ্বের কোনো দেশে যুদ্ধ কিংবা অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি দেখা দিলে এর দামে এক ধরনের প্রভাব পড়ে। বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, যুদ্ধ, ট্রাম্পের শুল্কনীতি, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের সুদ হ্রাস– এসব কারণে সামনের দিনগুলোতে দাম আরও বাড়তে পারে। তাদের দাবি, বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে দেশে দর নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা নেই। স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে যারা ব্যবসা করেন, তারাই দর নির্ধারণ করেন। তবে দেশে দাম বাড়ার পেছনে অতিরিক্ত শুল্ককরও দায়ী বলে দাবি করেন গহনা ব্যবসায়ীরা।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম বেশি হওয়ার পেছনে সরকারের সরাসরি নির্দিষ্ট কোনো মানদণ্ড না থাকা, নীতির দুর্বলতা, ডলারের উচ্চ দর এবং ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা করার লোভ অনেকাংশে দায়ী। তারা বলছেন, বাংলাদেশে স্বর্ণের দর নির্ধারণ করে মূলত বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। তারা যে প্রক্রিয়ায় দর নির্ধারণ করে, সেটি স্বচ্ছ নয়। তাছাড়া তাদের দর নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় সরকারি তদারকি খুবই সীমিত। ফলে বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব, অবৈধ আমদানি এবং ভোক্তাদের তথ্যের অভাবের কারণে অনেক সময় অতিরিক্ত দাম গুনতে হয়। এ ছাড়া স্বর্ণ আমদানির ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং অপর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও দাম বাড়ার জন্য দায়ী বলে মনে করেন তারা।

এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ হলো– বৈশ্বিক মূল্য, বৈদেশিক মুদ্রার হার, আমদানির খরচ ও যৌক্তিক মুনাফা বিবেচনায় নিয়ে একটি স্বীকৃত মূল্য নির্ধারণ ফর্মুলা তৈরি করা যেতে পারে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জুলাই জাতীয় সনদ: সই হলো সংস্কারের সনদ”

দীর্ঘ সাত মাসের আলোচনায় কোথাও মতৈক্য এসেছে, আবার কোথাও থেকে গেছে মতানৈক্য। এসব মত-দ্বিমত, দোলাচলের মধ্যেই তৈরি হয় জুলাই জাতীয় সনদ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যের কারণে সনদে স্বাক্ষর সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল শেষ দিন পর্যন্ত। তবে সব সংশয় ও অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে সই হলো ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’। গতকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সনদে স্বাক্ষর করেন ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও চারটি বামপন্থী দল সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ছিল না। অন্যদিকে অনুষ্ঠানে গেলেও সনদে সই করেনি ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের পর জুলাই সনদে সই করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও কমিশনের সদস্যরা। যেসব দল গতকাল স্বাক্ষর করেনি, তারা চাইলে পরেও স্বাক্ষর করতে পারবে বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে জানানো হয়েছে।

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নবজন্ম হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এই স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো। সারা জাতি এর থেকে নতুন পথের দিশা পাবে। যে ঐক্যের সুর আজকে বেজে উঠেছে, তা নিয়ে আমরা নির্বাচনের দিকে যাব। ইতিহাসে স্মরণীয় নির্বাচন করব।’

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “পায়রার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দৈনিক ক্ষতি ৫ কোটি টাকা”

দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে নতুন সংযোজন হিসেবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পায়রা নদীর তীরে প্রস্তুত করা হয়েছে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। অবকাঠামোগত সব কাজ শেষ হলেও পর্যাপ্ত কয়লা সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইনের জটিলতার কারণে দফায় দফায় পিছিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদন (সিওডি) শুরুর তারিখ। এদিকে কেন্দ্রটি সচল রাখার জন্য পরিচালন ব্যয়, বিদেশী ও স্থানীয় পরামর্শক ফি, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত, প্রশাসনিক খাতসহ বিভিন্ন ব্যয়ে প্রতি মাসে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১২ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৪৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার বেশি। দৈনিক হিসাবে যার পরিমাণ দাঁড়ায় কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা। আর্থিক এ ক্ষতির বিষয়টি মূল্যায়ন করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) এরই মধ্যে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল-নরিনকো পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড (আরএনপিএল)।

বিপিডিবিকে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়, আরএনপিএলের বাণিজ্যিক উৎপাদন বিলম্বিত হওয়ায় কেন্দ্রটির অতিরিক্ত ব্যয় যুক্ত হবে প্রকল্পের মোট নির্মাণ ব্যয়ের সঙ্গে। এতে সামগ্রিক প্রকল্প ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে, যা শেষ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ট্যারিফে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। আর ব্যয় বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরএনপিএলের উৎপাদিত বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি খরচ পড়বে অন্যান্য কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের তুলনায় অনেক বেশি। এর ফলে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের গড় মূল্যও বৃদ্ধি পেতে পারে, যা এ খাতে সামগ্রিক ব্যয়চাপ বাড়াবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আরএনপিএলের কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট গত ১ মার্চ পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যায়। সেই থেকে সীমিত পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছে। দ্বিতীয় ইউনিটটি পুরোপুরি বসিয়ে রাখা হয়েছে। গ্রিডে বর্তমানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে তা কেন্দ্রটির পুরো সক্ষমতার মাত্র ২৫ শতাংশ (প্লান্ট ফ্যাক্টর বিবেচনায়) বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

আরএনপিএলের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রেজাউল করিম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আরএনপিএল কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। আমরা পিজিসিবি (পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড) থেকে একটি ইউনিটের বিষয়ে ক্লিয়ারেন্স পেয়েছি। বাকি ইউনিট ইভাক্যুয়েশন লাইনের ওপর নির্ভর করছে। পিজিসিবি কবে এ লাইন সম্পন্ন করবে, সে বিষয়ে আমরা কোনো তথ্য পাইনি। ফলে কেন্দ্রটির একটা ইউনিটের বিদ্যুৎ আমাদের দ্রুত নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “জুলাই যোদ্ধাদের সরাতে লাঠিচার্জ, সংঘর্ষ, ভাঙচুর, আগুন”

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা, পুনর্বাসনের দাবিতে জাতীয় সংসদের গেটের সামনে অবস্থান নেন জুলাইযোদ্ধারা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এরপর সকালে সংসদ ভবনের প্রাচীর টপকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়ে তারা। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দুপুরে অনুষ্ঠানস্থলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ উপস্থিত হয়ে জুলাই যোদ্ধাদের দাবি পূরণে জুলাই সনদে সংশোধনী আনার ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার পরও জুলাইযোদ্ধারা সেখান থেকে না সরলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দেয়। পরে তারা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অবস্থান নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। দুই ঘণ্টা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। বিক্ষুব্ধদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পুলিশের লাঠিপেটা, টিয়ারশেল এবং সাউন্ড গ্রেনেডে অন্তত ৩৬ জন আহত হন। আন্দোলনরত জুলাই যোদ্ধাদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের সময় দেখা যায়, একজন জুলাইযোদ্ধা আতিকের শরীরে লাগানো একটি কৃত্রিম হাত খুলে পড়ে যায় রাস্তায়।

এসময় জুলাইযোদ্ধারা সংসদ ভবনের বাইরে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। সড়কে টায়ার ও কাঠ এবং অনুষ্ঠানের জন্য বাইরে বানানো ছোট ছোট তাঁবু একসঙ্গে করে তারা আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশের লাঠিপেটায় আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়। বিকাল চারটায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে জুলাই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ঘণ্টা তিনেক আগে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চ ঘিরে এ উত্তেজনা ঘটে।

সরজমিন দেখা যায়, সংসদ ভবন এলাকায় এবং অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে একে একে আসেন বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছেন। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ মানিক মিয়া এভিনিউ জুড়ে মোতায়েন করা হয়। এসময় দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় বিপুল পরিমাণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটসহ দেশের অন্যসব বাহিনীর সদস্যদেরও এখানে মোতায়েন করা হয়েছে।

জুলাইযোদ্ধারা বলেন, জুলাই সনদে আমাদের গুরুত্ব দেয়া হয়নি। আমরা এত ত্যাগের মাধ্যমে দেশটাকে নতুন করে স্বাধীন করলাম অথচ আমাদের কোনো মূল্যায়নই নেই। আমাদের আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করেই এই সনদ সই করতে হবে। আহত জুলাইযোদ্ধা জিহাদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, সনদের ৫ ধারায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সব হত্যাকাণ্ড লিখছে, কিন্তু সব হত্যাকাণ্ড বলতে কী বুঝিয়েছে, দুই পক্ষেরই তো আছে। আর শহীদ পরিবারদের সহায়তা ও নিরাপত্তা এখানে আহতদেরও যুক্ত করতে হবে। লাইনে ঘাটতি আছে। এসব জায়গায় পরিবর্তন চাই। তিনি বলেন, আমরা কমিশনকে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছি। কিন্তু এখন পরিবর্তন সম্ভব না বলে তাদের জানানো হয়েছে। তাই তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছেও বিষয়টি তুলে ধরেছেন। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি সরকারের কাছে তুলে ধরে পরিবর্তন করার কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। তবে পরিবর্তন না হলে অবস্থান চালিয়ে যাবেন। তিনি আরও বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে আমাদের এত জোরাজুরি করে ঢুকতে হবে কেন। আমাদের কী আমন্ত্রণ করা উচিত ছিল না? ড. ইউনূস কী আমাদের রক্তের ওপরে না? তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে আমন্ত্রণ করতে পারে, সে ১৫/২০ হাজার চেয়ার দিতে পারতো না?

 

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের অভিযোগ—চীনের প্রধান বাণিজ্য আলোচক ‘অশ্রদ্ধাশীল ও ভারসাম্যহীন’

জুলাই জাতীয় সনদ: সই হলো সংস্কারের সনদ

০৮:২০:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “বিশ্ববাজারের তুলনায় দেশে স্বর্ণের দাম কেন বেশি”

‘কয়েক বছর ধরে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা চলছে স্বর্ণের বাজারে। দেশেও এর আঁচ লেগেছে। গত দুই বছরেই দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। রেকর্ড গড়ে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দুই লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে দাম অনেক বেশি। ফলে দেশে কোন মানদণ্ডের ভিত্তিতে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

তবে বাজুসের নেতারা বলছেন, স্বর্ণ একটি মূল্যবান স্থায়ী সম্পদ। ফলে বিশ্বের কোনো দেশে যুদ্ধ কিংবা অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি দেখা দিলে এর দামে এক ধরনের প্রভাব পড়ে। বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, যুদ্ধ, ট্রাম্পের শুল্কনীতি, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের সুদ হ্রাস– এসব কারণে সামনের দিনগুলোতে দাম আরও বাড়তে পারে। তাদের দাবি, বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে দেশে দর নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা নেই। স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে যারা ব্যবসা করেন, তারাই দর নির্ধারণ করেন। তবে দেশে দাম বাড়ার পেছনে অতিরিক্ত শুল্ককরও দায়ী বলে দাবি করেন গহনা ব্যবসায়ীরা।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম বেশি হওয়ার পেছনে সরকারের সরাসরি নির্দিষ্ট কোনো মানদণ্ড না থাকা, নীতির দুর্বলতা, ডলারের উচ্চ দর এবং ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা করার লোভ অনেকাংশে দায়ী। তারা বলছেন, বাংলাদেশে স্বর্ণের দর নির্ধারণ করে মূলত বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। তারা যে প্রক্রিয়ায় দর নির্ধারণ করে, সেটি স্বচ্ছ নয়। তাছাড়া তাদের দর নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় সরকারি তদারকি খুবই সীমিত। ফলে বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব, অবৈধ আমদানি এবং ভোক্তাদের তথ্যের অভাবের কারণে অনেক সময় অতিরিক্ত দাম গুনতে হয়। এ ছাড়া স্বর্ণ আমদানির ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং অপর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও দাম বাড়ার জন্য দায়ী বলে মনে করেন তারা।

এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ হলো– বৈশ্বিক মূল্য, বৈদেশিক মুদ্রার হার, আমদানির খরচ ও যৌক্তিক মুনাফা বিবেচনায় নিয়ে একটি স্বীকৃত মূল্য নির্ধারণ ফর্মুলা তৈরি করা যেতে পারে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জুলাই জাতীয় সনদ: সই হলো সংস্কারের সনদ”

দীর্ঘ সাত মাসের আলোচনায় কোথাও মতৈক্য এসেছে, আবার কোথাও থেকে গেছে মতানৈক্য। এসব মত-দ্বিমত, দোলাচলের মধ্যেই তৈরি হয় জুলাই জাতীয় সনদ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যের কারণে সনদে স্বাক্ষর সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল শেষ দিন পর্যন্ত। তবে সব সংশয় ও অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে সই হলো ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’। গতকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সনদে স্বাক্ষর করেন ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও চারটি বামপন্থী দল সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ছিল না। অন্যদিকে অনুষ্ঠানে গেলেও সনদে সই করেনি ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের পর জুলাই সনদে সই করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও কমিশনের সদস্যরা। যেসব দল গতকাল স্বাক্ষর করেনি, তারা চাইলে পরেও স্বাক্ষর করতে পারবে বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে জানানো হয়েছে।

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নবজন্ম হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এই স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো। সারা জাতি এর থেকে নতুন পথের দিশা পাবে। যে ঐক্যের সুর আজকে বেজে উঠেছে, তা নিয়ে আমরা নির্বাচনের দিকে যাব। ইতিহাসে স্মরণীয় নির্বাচন করব।’

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “পায়রার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দৈনিক ক্ষতি ৫ কোটি টাকা”

দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে নতুন সংযোজন হিসেবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পায়রা নদীর তীরে প্রস্তুত করা হয়েছে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। অবকাঠামোগত সব কাজ শেষ হলেও পর্যাপ্ত কয়লা সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইনের জটিলতার কারণে দফায় দফায় পিছিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদন (সিওডি) শুরুর তারিখ। এদিকে কেন্দ্রটি সচল রাখার জন্য পরিচালন ব্যয়, বিদেশী ও স্থানীয় পরামর্শক ফি, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত, প্রশাসনিক খাতসহ বিভিন্ন ব্যয়ে প্রতি মাসে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১২ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৪৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার বেশি। দৈনিক হিসাবে যার পরিমাণ দাঁড়ায় কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা। আর্থিক এ ক্ষতির বিষয়টি মূল্যায়ন করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) এরই মধ্যে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল-নরিনকো পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড (আরএনপিএল)।

বিপিডিবিকে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়, আরএনপিএলের বাণিজ্যিক উৎপাদন বিলম্বিত হওয়ায় কেন্দ্রটির অতিরিক্ত ব্যয় যুক্ত হবে প্রকল্পের মোট নির্মাণ ব্যয়ের সঙ্গে। এতে সামগ্রিক প্রকল্প ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে, যা শেষ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ট্যারিফে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। আর ব্যয় বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরএনপিএলের উৎপাদিত বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি খরচ পড়বে অন্যান্য কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের তুলনায় অনেক বেশি। এর ফলে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের গড় মূল্যও বৃদ্ধি পেতে পারে, যা এ খাতে সামগ্রিক ব্যয়চাপ বাড়াবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আরএনপিএলের কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট গত ১ মার্চ পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যায়। সেই থেকে সীমিত পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছে। দ্বিতীয় ইউনিটটি পুরোপুরি বসিয়ে রাখা হয়েছে। গ্রিডে বর্তমানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে তা কেন্দ্রটির পুরো সক্ষমতার মাত্র ২৫ শতাংশ (প্লান্ট ফ্যাক্টর বিবেচনায়) বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

আরএনপিএলের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রেজাউল করিম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আরএনপিএল কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। আমরা পিজিসিবি (পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড) থেকে একটি ইউনিটের বিষয়ে ক্লিয়ারেন্স পেয়েছি। বাকি ইউনিট ইভাক্যুয়েশন লাইনের ওপর নির্ভর করছে। পিজিসিবি কবে এ লাইন সম্পন্ন করবে, সে বিষয়ে আমরা কোনো তথ্য পাইনি। ফলে কেন্দ্রটির একটা ইউনিটের বিদ্যুৎ আমাদের দ্রুত নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “জুলাই যোদ্ধাদের সরাতে লাঠিচার্জ, সংঘর্ষ, ভাঙচুর, আগুন”

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা, পুনর্বাসনের দাবিতে জাতীয় সংসদের গেটের সামনে অবস্থান নেন জুলাইযোদ্ধারা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এরপর সকালে সংসদ ভবনের প্রাচীর টপকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়ে তারা। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দুপুরে অনুষ্ঠানস্থলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ উপস্থিত হয়ে জুলাই যোদ্ধাদের দাবি পূরণে জুলাই সনদে সংশোধনী আনার ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার পরও জুলাইযোদ্ধারা সেখান থেকে না সরলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দেয়। পরে তারা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অবস্থান নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। দুই ঘণ্টা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। বিক্ষুব্ধদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পুলিশের লাঠিপেটা, টিয়ারশেল এবং সাউন্ড গ্রেনেডে অন্তত ৩৬ জন আহত হন। আন্দোলনরত জুলাই যোদ্ধাদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের সময় দেখা যায়, একজন জুলাইযোদ্ধা আতিকের শরীরে লাগানো একটি কৃত্রিম হাত খুলে পড়ে যায় রাস্তায়।

এসময় জুলাইযোদ্ধারা সংসদ ভবনের বাইরে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। সড়কে টায়ার ও কাঠ এবং অনুষ্ঠানের জন্য বাইরে বানানো ছোট ছোট তাঁবু একসঙ্গে করে তারা আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশের লাঠিপেটায় আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়। বিকাল চারটায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে জুলাই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ঘণ্টা তিনেক আগে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চ ঘিরে এ উত্তেজনা ঘটে।

সরজমিন দেখা যায়, সংসদ ভবন এলাকায় এবং অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে একে একে আসেন বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছেন। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ মানিক মিয়া এভিনিউ জুড়ে মোতায়েন করা হয়। এসময় দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় বিপুল পরিমাণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটসহ দেশের অন্যসব বাহিনীর সদস্যদেরও এখানে মোতায়েন করা হয়েছে।

জুলাইযোদ্ধারা বলেন, জুলাই সনদে আমাদের গুরুত্ব দেয়া হয়নি। আমরা এত ত্যাগের মাধ্যমে দেশটাকে নতুন করে স্বাধীন করলাম অথচ আমাদের কোনো মূল্যায়নই নেই। আমাদের আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করেই এই সনদ সই করতে হবে। আহত জুলাইযোদ্ধা জিহাদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, সনদের ৫ ধারায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সব হত্যাকাণ্ড লিখছে, কিন্তু সব হত্যাকাণ্ড বলতে কী বুঝিয়েছে, দুই পক্ষেরই তো আছে। আর শহীদ পরিবারদের সহায়তা ও নিরাপত্তা এখানে আহতদেরও যুক্ত করতে হবে। লাইনে ঘাটতি আছে। এসব জায়গায় পরিবর্তন চাই। তিনি বলেন, আমরা কমিশনকে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছি। কিন্তু এখন পরিবর্তন সম্ভব না বলে তাদের জানানো হয়েছে। তাই তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছেও বিষয়টি তুলে ধরেছেন। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি সরকারের কাছে তুলে ধরে পরিবর্তন করার কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। তবে পরিবর্তন না হলে অবস্থান চালিয়ে যাবেন। তিনি আরও বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে আমাদের এত জোরাজুরি করে ঢুকতে হবে কেন। আমাদের কী আমন্ত্রণ করা উচিত ছিল না? ড. ইউনূস কী আমাদের রক্তের ওপরে না? তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে আমন্ত্রণ করতে পারে, সে ১৫/২০ হাজার চেয়ার দিতে পারতো না?