উইন্ডো কৌশল ও প্রেক্ষাগृहের প্রত্যাবর্তন
গিলেরমো ডেল টোরোর বহু প্রতীক্ষিত ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন’ আজ সীমিত পরিসরে থিয়েটারে মুক্তি পাচ্ছে—এবং তিন সপ্তাহ পর নেটফ্লিক্সে স্ট্রিম হবে। প্ল্যাটফর্মভিত্তিক স্টুডিও হলেও নেটফ্লিক্স এখানে উইন্ডো ব্যবহার করছে: বড় পর্দার অভিজ্ঞতায় কারিগরি নৈপুণ্য দেখানো, মুখে-মুখে প্রচার তৈরি করা, এবং পুরস্কার মৌসুমে অবস্থান নেওয়া। গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে স্রষ্টা-সন্তান সম্পর্কের ভাঙন; ভিক্টর চরিত্রে অস্কার আইজ্যাক, আর দানবে জ্যাকব এলোরডি। উৎসবভিত্তিক প্রথম প্রতিক্রিয়ায় হাতে-কলমে তৈরি প্রোডাকশন ডিজাইন ও তীব্র বিষণ্ন আবহের প্রশংসা মিলেছে—ডেল টোরোর গথিক শৈলীর স্বাক্ষর। থিয়েট্রিকাল রানে দেখা যাবে, উইন্ডো পেলে স্ট্রিমিং-অরিজিনাল কতদূর বক্স অফিসে যেতে পারে।
প্রদর্শকদের জন্য এটি সময়োপযোগী বিকল্প—হরর সিক্যুয়েল ও ছুটির টেন্টপোলের ভিড়ে এক ধরনের আর্টহাউস-ঘেঁষা, কিন্তু মূলধারার পরিচিতি-সমৃদ্ধ টাইটেল। প্রিমিয়াম বড় পর্দায় ভিজ্যুয়াল টেক্সচার তুলে ধরার পাশাপাশি অনেক হলে শেলির অভিযোজন নিয়ে রেট্রোস্পেকটিভও হতে পারে। নেটফ্লিক্স এতে পায় সিনেমাটিক মর্যাদা, দর্শক বিভাজন (এখন হল-প্রিয়রা, পরের ধাপে স্ট্রিমিং-দর্শক), এবং কোন শহরগুলো পুরস্কারধর্মী কনটেন্টে বেশি সাড়া দেয় তার ডেটা। থিয়েটারকে প্রতিপক্ষ নয়, অ্যাম্প্লিফায়ার হিসেবে ব্যবহার—স্ট্রিমারের নতুন স্বাভাবিক কৌশল।
অভিনয়, নকশা ও প্রচার-পরিকল্পনা
আইজ্যাকের সংযত তীব্রতা আর এলোরডির শারীরিক অভিনয়—দুইয়ে মিলে ক্লাসিক মিথকে নতুন পড়া দেয়। মিয়া গথের চরিত্র গল্পে মানবিক উষ্ণতা আনে। ডেল টোরোর দল অতিরিক্ত ডিজিটাল চকচকে ভাব এড়িয়ে টেক্সচারের সত্যতা ধরেছে—যা বড় পর্দায় অর্থবহ। ইতিবাচক সমালোচনায় নিচের লাইন বিভাগে (প্রোডাকশন ডিজাইন, মেকআপ, সাউন্ড) অস্কার মনোনয়ন কথাও উঠতে পারে, আর শহুরে কেন্দ্র ও বিশ্ববিদ্যালয়-ঘেঁষা হলে ধীরে ধীরে আয় জমতে পারে।
স্ট্যাগার্ড রিলিজে কথোপকথনও ধাপে ধাপে বাড়ানো যায়—সাপ্তাহিক এক্সপ্যানশনের আগে টিজার, নির্মাতার সাক্ষাৎকার, ক্রাফট-স্টোরি—সবই সোশালে ভ্রমণ করে। সঙ্কুচিত উইন্ডোর যুগে ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন’ মনে করায়, ধৈর্যও মার্কেটিংয়ের অংশ। প্রশ্নটা দানব বেঁচে আছে কি না, তা নয়—বাড়ি ফেরার আগে থিয়েটারে তার দর্শক কত বড় হতে পারে।