০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ভারী ডিসেম্বরের বৃষ্টিতে জেবেল জাইস সাময়িকভাবে বন্ধ, নিরাপত্তা যাচাই চলবে মার্কিন ডলার ভুলে যান, বরং পানি ও জ্বালানি সম্পদের দিকে নজর দিন পরিষ্কার জ্বালানির অগ্রগতি সত্ত্বেও বৈশ্বিক নির্গমন কমছে ধীরগতিতে এআই বিনিয়োগে টেক জায়ান্টদের সামনে নতুন প্রশ্ন শীতের চাপে ইউক্রেন যুদ্ধের কৌশল ও কূটনীতি নতুন মোড়ে ভবিষ্যৎ গেমিংয়ের মঞ্চে আবুধাবি বিশ্ববিদ্যালয়, তরুণ প্রতিভায় নতুন দিগন্ত দুবাইয়ে প্রকৃতিনির্ভর পর্যটনের নতুন দিগন্ত, আরভি রুটে পাহাড়–সমুদ্র–মরুভূমির অভিজ্ঞতা চীনের সঙ্গে জার্মানির বাণিজ্য ঘাটতি নতুন উচ্চতার পথে, সতর্ক করছেন বিশ্লেষকেরা প্রাকযুদ্ধের বিএমডব্লিউ ক্যাব্রিওলেট পেবল বিচে গৌরব, ইতিহাসের গাড়িতে মঞ্চ জয় বয়স্কদের ওষুধের অতিভার: একসঙ্গে আটটির বেশি ওষুধে বাড়ছে মাথাঘুরে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি

চীনের পণ্যে ১০০% শুল্ক ‘টেকসই নয়’—ট্রাম্পের মন্তব্যে বদলের ইঙ্গিত

রাজনৈতিক বার্তা ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা

রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার এক মন্তব্যে বলেন, চীনা পণ্যে সম্ভাব্য ১০০% শুল্ক ‘টেকসই নয়’। শনিবারের প্রতিবেদনে তা প্রকাশ পায়। কয়েক মাসের কঠোর বার্তার পর এটি এক ভিন্ন সুর, যা বাজার ও আমদানিনির্ভর খাতকে স্বস্তির সংকেত দেয়। এমন হার কার্যকর হলে ভোক্তা মূল্য, করপোরেট মার্জিন ও মহামারির পর থেকে টলমল সরবরাহব্যবস্থায় নতুন ধাক্কা লাগত। বিনিয়োগকারীরা এটিকে আলোচনার জানালা মনে করছেন—শিরোনামসুলভ সংখ্যার বদলে ধাপে ধাপে হার এবং খাতভেদে ছাড়ের জায়গা তৈরি হতে পারে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ইতিমধ্যে বিকল্প পরিকল্পনা সাজাচ্ছে: সময়সীমাবদ্ধ শুল্ক, কোটাভিত্তিক অব্যাহতি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য লক্ষ্যমাত্রাধিষ্ঠিত রিলিফ। বেইজিংয়ের কাছে এই স্বীকারোক্তি ওয়াশিংটনের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে—দুর্লভ খনিজ, লাইসেন্সিং ও প্রযুক্তি প্রবাহে শর্ত জুড়ে পাল্টা প্রস্তাবের সুযোগ বাড়ায়।

পরবর্তী পদক্ষেপে নজর

এখন দেখার বিষয়, উভয়পক্ষ কি সর্বোচ্চ দাবি থেকে ধাপে ধাপে সমঝোতায় নামে—রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে সীমিত শিথিলতা, আউটবাউন্ড বিনিয়োগ পর্যালোচনায় গার্ডরেল, আর সামরিক হটলাইনের ছোট পরিসরে সম্প্রসারণ। যুক্তরাষ্ট্রে অটো ও রিটেইল খাত পাতলা মার্জিনের কারণে সুরক্ষার দাবি তুলবে; সেমিকন্ডাক্টর ও ইভি খাত চরম শুল্কের বদলে পূর্বানুমেয়তার পক্ষে যুক্তি দেবে, যা তৃতীয় দেশে ‘প্যারালাল’ ইকোসিস্টেম তৈরির ঝুঁকি কমায়। রাজনৈতিকভাবে হোয়াইট হাউসকে শ্রম ও নিরাপত্তাকেন্দ্রিক কড়া লাইনের সমর্থকদের শান্ত রাখতে হবে, একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিও সামাল দিতে হবে। চীনে নীতিনির্ধারকেরা ভাবছেন—কতটা শিথিলতা দিলে ‘বাধ্য হওয়া’র ভাব তৈরি হবে না। তিনটি সিগন্যাল বাস্তব অগ্রগতি বোঝাবে: শুল্ক-হার পর্যালোচনার ত্রৈমাসিক সময়সূচি; ওষুধ-খাদ্য-নিরাপত্তা জরুরি আমদানিতে দ্রুত করিডর; আর এআই হার্ডওয়্যার রপ্তানিতে ‘রুলস অব দ্য রোড’। ততদিন, কোম্পানিরা দ্বৈত সরবরাহব্যবস্থা সক্রিয় রাখাই বুদ্ধিমানের—কারণ উভয়পক্ষ আলোচনার ইচ্ছা দেখালেও কড়া বার্তা আলোচনারই অংশ।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারী ডিসেম্বরের বৃষ্টিতে জেবেল জাইস সাময়িকভাবে বন্ধ, নিরাপত্তা যাচাই চলবে

চীনের পণ্যে ১০০% শুল্ক ‘টেকসই নয়’—ট্রাম্পের মন্তব্যে বদলের ইঙ্গিত

০৪:৪৪:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

রাজনৈতিক বার্তা ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা

রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার এক মন্তব্যে বলেন, চীনা পণ্যে সম্ভাব্য ১০০% শুল্ক ‘টেকসই নয়’। শনিবারের প্রতিবেদনে তা প্রকাশ পায়। কয়েক মাসের কঠোর বার্তার পর এটি এক ভিন্ন সুর, যা বাজার ও আমদানিনির্ভর খাতকে স্বস্তির সংকেত দেয়। এমন হার কার্যকর হলে ভোক্তা মূল্য, করপোরেট মার্জিন ও মহামারির পর থেকে টলমল সরবরাহব্যবস্থায় নতুন ধাক্কা লাগত। বিনিয়োগকারীরা এটিকে আলোচনার জানালা মনে করছেন—শিরোনামসুলভ সংখ্যার বদলে ধাপে ধাপে হার এবং খাতভেদে ছাড়ের জায়গা তৈরি হতে পারে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ইতিমধ্যে বিকল্প পরিকল্পনা সাজাচ্ছে: সময়সীমাবদ্ধ শুল্ক, কোটাভিত্তিক অব্যাহতি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য লক্ষ্যমাত্রাধিষ্ঠিত রিলিফ। বেইজিংয়ের কাছে এই স্বীকারোক্তি ওয়াশিংটনের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে—দুর্লভ খনিজ, লাইসেন্সিং ও প্রযুক্তি প্রবাহে শর্ত জুড়ে পাল্টা প্রস্তাবের সুযোগ বাড়ায়।

পরবর্তী পদক্ষেপে নজর

এখন দেখার বিষয়, উভয়পক্ষ কি সর্বোচ্চ দাবি থেকে ধাপে ধাপে সমঝোতায় নামে—রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে সীমিত শিথিলতা, আউটবাউন্ড বিনিয়োগ পর্যালোচনায় গার্ডরেল, আর সামরিক হটলাইনের ছোট পরিসরে সম্প্রসারণ। যুক্তরাষ্ট্রে অটো ও রিটেইল খাত পাতলা মার্জিনের কারণে সুরক্ষার দাবি তুলবে; সেমিকন্ডাক্টর ও ইভি খাত চরম শুল্কের বদলে পূর্বানুমেয়তার পক্ষে যুক্তি দেবে, যা তৃতীয় দেশে ‘প্যারালাল’ ইকোসিস্টেম তৈরির ঝুঁকি কমায়। রাজনৈতিকভাবে হোয়াইট হাউসকে শ্রম ও নিরাপত্তাকেন্দ্রিক কড়া লাইনের সমর্থকদের শান্ত রাখতে হবে, একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিও সামাল দিতে হবে। চীনে নীতিনির্ধারকেরা ভাবছেন—কতটা শিথিলতা দিলে ‘বাধ্য হওয়া’র ভাব তৈরি হবে না। তিনটি সিগন্যাল বাস্তব অগ্রগতি বোঝাবে: শুল্ক-হার পর্যালোচনার ত্রৈমাসিক সময়সূচি; ওষুধ-খাদ্য-নিরাপত্তা জরুরি আমদানিতে দ্রুত করিডর; আর এআই হার্ডওয়্যার রপ্তানিতে ‘রুলস অব দ্য রোড’। ততদিন, কোম্পানিরা দ্বৈত সরবরাহব্যবস্থা সক্রিয় রাখাই বুদ্ধিমানের—কারণ উভয়পক্ষ আলোচনার ইচ্ছা দেখালেও কড়া বার্তা আলোচনারই অংশ।