প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস ‘ক্রসওভার’ করেননি; শিল্প–মহাদেশ–মাধ্যমের মাঝখানে একটি সেতু গড়েছেন, ইট গেঁথে। নিয়ম একটাই—ভাষা পেরিয়ে পৌঁছায় এমন রোল, দৃশ্যমানতাকে লিভারেজে বদল, তারপর সেই লিভারেজ বিনিয়োগ ব্যবসা ও কারণে—যাতে সময়ের সঙ্গে ফল বেড়ে যায়। নেটওয়ার্ক টিভি থেকে স্টুডিও ফিচার, দক্ষিণ এশিয়ার গল্প প্রোডিউসিং থেকে UNICEF–এর মাঠ—সব মিলিয়ে এটি রেজ়িউমে নয়; এক চলমান অপারেটিং সিস্টেম।
যে রোল ভ্রমণ করে, যে সিদ্ধান্ত টিকে থাকে
তার স্ক্রিন-ক্যারিয়ার পোর্টেবলিটির পাঠ। দেশে জঁর–জুড়ে বিশ্বাস্যতা; তারপর মার্কিন নেটওয়ার্ক টিভিতে সাপ্তাহিক স্কেলে দর্শক-ভিত্তি; পরে ফিচার–স্ট্রিমিং—কিন্তু বড় বাঁক ছিল ক্যামেরার পেছনে—দক্ষিণ এশিয়ার আখ্যান গ্লোবাল বাজারে প্যাকেজ করতে নিজস্ব ব্যানার। উৎসে থাকলে গল্প–কাস্ট–কাট—সব জায়গায় তাঁর সিদ্ধান্ত কাজ করে। নিয়ম তিনটি—(১) আবেগে স্বচ্ছ চরিত্র; (২) ফরম্যাট মিশ্রণ—থিয়েটার–স্ট্রিমিং–লিমি
লিভারেজের বাস্তব মানে—পুঁজি, কারণ, ধারাবাহিকতা
খ্যাতি আলো দেয়; লিভারেজ বলে, আলো দিয়ে কী করবেন। প্রিয়াঙ্কা এন্ডোর্সমেন্ট থেকে ইক্যুইটিতে সরে—ফুড–বেভ, টেক-এনাবলড এক্সপিরিয়েন্স, প্রোডাকশন আইপি—দীর্ঘ লেজের ক্যাটাগরি। ইক্যুইটি শুধু আয় নয়; শিক্ষা—টাইমিং, প্রাইসিং, পার্টনারশিপ বোঝা—যা আবার কন্টেন্ট–প্যাকেজিংয়ে কাজে লাগে। UNICEF–এ বছরের পর বছর কাজ অ্যাডভোকেসিকে ধারাবাহিকতায় বদলেছে—ফিল্ড ভিজিট, ফান্ডরেইজিং, ফ্যাক্ট–ফরোয়ার্ড কমিউনিকেশন—মুডবোর্ড নয়, প্রক্রিয়া। তাই তিনি নানা ইস্যুতে কথা বলতে পারেন—মেয়েদের শিক্ষা, শরণার্থী অধিকার, সংকট প্রতিক্রিয়া—ক্লান্তি ছাড়া।
ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড ক্যালিব্রেশনও মেপে—সোশ্যাল শেয়ার মানবিক, তবু কাজ–কেন্দ্রিক; ইন্টারভিউ সংযত; রেড-কার্পেট প্রকল্পকে সেবা দেয়, উল্টোটা নয়। শিল্পের অনিবার্য বিতর্কে এই মিতভাষী টোন বীমার মতো—কম শব্দ, বেশি বিশ্বাস; পরের রিলিজ/ইনিশিয়েটিভে বর্ণনাকে রিসেট করার জায়গা।
এখন অপেক্ষা ‘অথরশিপ’-এর। ক্রস-বর্ডার কো-পণ্য—কোথাও গ্লোবাল ভিড় টানা, কোথাও চরিত্র–ফরওয়ার্ড; একটি লিমিটেড সিরিজ—অ্যাওয়ার্ডস–কনভারসেশনের জন্য; আর গভীরতর ইক্যুইটি—যেখানে গল্প জুড়ে থাকে বাস্তব কমিউনিটির সঙ্গে—খাদ্যব্যবস্থা, ওয়েলনেস, গন্তব্য–সংস্কৃতি। উদ্দেশ্য ‘সর্বত্র’ হওয়া নয়; যেখানে জরুরি, সেখানে ‘অনিবার্য’। ‘গ্লোবাল রিকগনিশন’ ও ‘গ্লোবাল রেলিভ্যান্স’-এর ফারাকটি তিনি ধারাবাহিকভাবে কমাচ্ছেন।