উহান যুদ্ধে কম করে হলেও চল্লিশ হাজার অসামরিক চীনা ঢালাই কার্পেট বোমাবৃষ্টিতে মারা যায়
প্রশান্তমহাসাগরীয় ফ্রন্টে, অক্ষশক্তির প্রধান শরিক ছিল জাপান। চামে জাপান অধিকার ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য যুদ্ধ করে আসছিল ১৯৩৭ সদ থেকে: ১৯১০ সালে সম্পাদিত এক চক্তিবলে কোরিয়া ছিল জাপানের অংশ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়, জাপান ‘অধিকৃত’ চীন প্রধান রণাঙ্গণে পরিণত হয়।
অপরদিকে, অভ্যন্তরীনভাবে চীন- দুভাগে বিভক্ত ছিল বলা যায়। চিয়াংকাইশেকের সমর্থিত চীন এবং মাও সে তুং-য়ের সমর্থিত সমাজতন্ত্রবঈ চীন। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্য চিয়াংকাইশেক-কে সমর্থন করে। কিন্তু যেহেতু চীন জাপানের দখলে, ফলে চীনও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। চীনের বিভিন্ন প্রদেশের অসামরিক মানুষজন পর্যায়ক্রমে জাপানি ও যুক্তরাষ্ট্রের বোমাবৃষ্টির শিকত হয়েছে, আহত ও নিহত হয়েছে।
(উহান যুদ্ধ, শাংহাই যুদ্ধ, নানকিং পশ্চিম হুনানের যুদ্ধ, ইত্যাদি ইত্যাদি)। এক হিসেব মতো বিশ মিলিয়ন অসামরিক চীনা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে মারা গেছে। যেমন: ১৮ ডিসেম্বর ১৯৪৪ সালে, উহান যুদ্ধে কম করে হলেও চল্লিশ হাজার অসামরিক চীনা ঢালাই কার্পেট বোমাবৃষ্টিতে মারা যায়। আনাতোলের ভাষায়, মহাযুদ্ধ সহসা থেমে যায়।
কুর্মিটোলায় অবস্থিত মার্কিন বিমানঘাঁটিও সব পাট চুকিয়ে বিময় সৈনিকদের স্বদেশে ফেরার নির্দেশ দেয়। আনাতোল ও তাঁর সহকর্মীর বিমানপথে ঢাকা থেকে প্রথমে করাচিতে আসেন। আগ্রার আকাশে ঢোকা পরে তাঁদের প্লেনটি তাজমহলের উপরে বার কয়েক বৃত্তাকারে ঘোরে; সবই হুড়োহুড়ি করে একবার প্লেনের এদিককার জানালায় আবার ওপাশের জানালায়। উকি দিয়ে দিয়ে তাজমহল দেখে আর দেখে।
‘আহমেদ লাহৌরি’কে ধন্যবচ যে যমুনা নদীর ধারে প্রতিষ্ঠিত- সপ্তদশ শতাব্দির মোঘল স্থাপত্যের। ডিজাইনের সর্বোত্তম নান্দনিক সৃষ্টি তাজমহল নামক জাঁকজমকপূর্ণ সমধ্যি অপরূপ মাধুর্য যুদ্ধ-ফেরত সৈনিকের হৃদয় ও নয়নকে অভূতপূর্ব অনুভবে পা করে দেয়। সেই অনুভূত সৌন্দর্য্য ও মাধুর্যের স্মৃতি নিয়ে আনাতোল ও অন্যান্য বিমান সৈনিকরা অবশেষে করাচি বিমানবন্দরে পৌছান।
(চলবে)