০১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
‘হোয়েন দে বার্নড দ্য বাটারফ্লাই’—নারী গোপন সমাজের ইতিহাস ও আগুনের শক্তি নিয়ে ওয়েন–ই লির নতুন উপন্যাস মেগান লাউ—দর্শনশাস্ত্রের শিক্ষার্থী থেকে ‘হাউস অব ড্যান্সিং ওয়াটার’-এর আকাশচারী নায়িকা সুদানের জ্বালানি পুনর্গঠনে রাশিয়া—যুদ্ধোত্তর পুনরুদ্ধারে মস্কো প্রধান অংশীদার হতে পারে আফগানিস্তানে মাদকবিরোধী কঠোর অভিযান—আসক্তি, ধর্মীয় উপদেশ ও পুনর্বাসনের নতুন বাস্তবতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৩) অফিসে ফিরছে ওয়াই-টু-কে ফ্যাশন—জেন জেডের হাতে ড্রেস কোডের বদল মানসিক রোগের ভাইরাস কোথা থেকে আসছে হোক্কাইদোতে স্যামন রোর দাম চড়া—ধরা কম, খরচ বেশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৪২ জন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৩)

  • নাঈম হক
  • ০৯:০০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • 6

উহান যুদ্ধে কম করে হলেও চল্লিশ হাজার অসামরিক চীনা ঢালাই কার্পেট বোমাবৃষ্টিতে মারা যায়

প্রশান্তমহাসাগরীয় ফ্রন্টে, অক্ষশক্তির প্রধান শরিক ছিল জাপান। চামে জাপান অধিকার ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য যুদ্ধ করে আসছিল ১৯৩৭ সদ থেকে: ১৯১০ সালে সম্পাদিত এক চক্তিবলে কোরিয়া ছিল জাপানের অংশ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়, জাপান ‘অধিকৃত’ চীন প্রধান রণাঙ্গণে পরিণত হয়।

অপরদিকে, অভ্যন্তরীনভাবে চীন- দুভাগে বিভক্ত ছিল বলা যায়। চিয়াংকাইশেকের সমর্থিত চীন এবং মাও সে তুং-য়ের সমর্থিত সমাজতন্ত্রবঈ চীন। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্য চিয়াংকাইশেক-কে সমর্থন করে। কিন্তু যেহেতু চীন জাপানের দখলে, ফলে চীনও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। চীনের বিভিন্ন প্রদেশের অসামরিক মানুষজন পর্যায়ক্রমে জাপানি ও যুক্তরাষ্ট্রের বোমাবৃষ্টির শিকত হয়েছে, আহত ও নিহত হয়েছে।

(উহান যুদ্ধ, শাংহাই যুদ্ধ, নানকিং পশ্চিম হুনানের যুদ্ধ, ইত্যাদি ইত্যাদি)। এক হিসেব মতো বিশ মিলিয়ন অসামরিক চীনা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে মারা গেছে। যেমন: ১৮ ডিসেম্বর ১৯৪৪ সালে, উহান যুদ্ধে কম করে হলেও চল্লিশ হাজার অসামরিক চীনা ঢালাই কার্পেট বোমাবৃষ্টিতে মারা যায়। আনাতোলের ভাষায়, মহাযুদ্ধ সহসা থেমে যায়।

কুর্মিটোলায় অবস্থিত মার্কিন বিমানঘাঁটিও সব পাট চুকিয়ে বিময় সৈনিকদের স্বদেশে ফেরার নির্দেশ দেয়। আনাতোল ও তাঁর সহকর্মীর বিমানপথে ঢাকা থেকে প্রথমে করাচিতে আসেন। আগ্রার আকাশে ঢোকা পরে তাঁদের প্লেনটি তাজমহলের উপরে বার কয়েক বৃত্তাকারে ঘোরে; সবই হুড়োহুড়ি করে একবার প্লেনের এদিককার জানালায় আবার ওপাশের জানালায়। উকি দিয়ে দিয়ে তাজমহল দেখে আর দেখে।

‘আহমেদ লাহৌরি’কে ধন্যবচ যে যমুনা নদীর ধারে প্রতিষ্ঠিত- সপ্তদশ শতাব্দির মোঘল স্থাপত্যের। ডিজাইনের সর্বোত্তম নান্দনিক সৃষ্টি তাজমহল নামক জাঁকজমকপূর্ণ সমধ্যি অপরূপ মাধুর্য যুদ্ধ-ফেরত সৈনিকের হৃদয় ও নয়নকে অভূতপূর্ব অনুভবে পা করে দেয়। সেই অনুভূত সৌন্দর্য্য ও মাধুর্যের স্মৃতি নিয়ে আনাতোল ও অন্যান্য বিমান সৈনিকরা অবশেষে করাচি বিমানবন্দরে পৌছান।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪২)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪২)

জনপ্রিয় সংবাদ

‘হোয়েন দে বার্নড দ্য বাটারফ্লাই’—নারী গোপন সমাজের ইতিহাস ও আগুনের শক্তি নিয়ে ওয়েন–ই লির নতুন উপন্যাস

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৩)

০৯:০০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

উহান যুদ্ধে কম করে হলেও চল্লিশ হাজার অসামরিক চীনা ঢালাই কার্পেট বোমাবৃষ্টিতে মারা যায়

প্রশান্তমহাসাগরীয় ফ্রন্টে, অক্ষশক্তির প্রধান শরিক ছিল জাপান। চামে জাপান অধিকার ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য যুদ্ধ করে আসছিল ১৯৩৭ সদ থেকে: ১৯১০ সালে সম্পাদিত এক চক্তিবলে কোরিয়া ছিল জাপানের অংশ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়, জাপান ‘অধিকৃত’ চীন প্রধান রণাঙ্গণে পরিণত হয়।

অপরদিকে, অভ্যন্তরীনভাবে চীন- দুভাগে বিভক্ত ছিল বলা যায়। চিয়াংকাইশেকের সমর্থিত চীন এবং মাও সে তুং-য়ের সমর্থিত সমাজতন্ত্রবঈ চীন। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্য চিয়াংকাইশেক-কে সমর্থন করে। কিন্তু যেহেতু চীন জাপানের দখলে, ফলে চীনও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। চীনের বিভিন্ন প্রদেশের অসামরিক মানুষজন পর্যায়ক্রমে জাপানি ও যুক্তরাষ্ট্রের বোমাবৃষ্টির শিকত হয়েছে, আহত ও নিহত হয়েছে।

(উহান যুদ্ধ, শাংহাই যুদ্ধ, নানকিং পশ্চিম হুনানের যুদ্ধ, ইত্যাদি ইত্যাদি)। এক হিসেব মতো বিশ মিলিয়ন অসামরিক চীনা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে মারা গেছে। যেমন: ১৮ ডিসেম্বর ১৯৪৪ সালে, উহান যুদ্ধে কম করে হলেও চল্লিশ হাজার অসামরিক চীনা ঢালাই কার্পেট বোমাবৃষ্টিতে মারা যায়। আনাতোলের ভাষায়, মহাযুদ্ধ সহসা থেমে যায়।

কুর্মিটোলায় অবস্থিত মার্কিন বিমানঘাঁটিও সব পাট চুকিয়ে বিময় সৈনিকদের স্বদেশে ফেরার নির্দেশ দেয়। আনাতোল ও তাঁর সহকর্মীর বিমানপথে ঢাকা থেকে প্রথমে করাচিতে আসেন। আগ্রার আকাশে ঢোকা পরে তাঁদের প্লেনটি তাজমহলের উপরে বার কয়েক বৃত্তাকারে ঘোরে; সবই হুড়োহুড়ি করে একবার প্লেনের এদিককার জানালায় আবার ওপাশের জানালায়। উকি দিয়ে দিয়ে তাজমহল দেখে আর দেখে।

‘আহমেদ লাহৌরি’কে ধন্যবচ যে যমুনা নদীর ধারে প্রতিষ্ঠিত- সপ্তদশ শতাব্দির মোঘল স্থাপত্যের। ডিজাইনের সর্বোত্তম নান্দনিক সৃষ্টি তাজমহল নামক জাঁকজমকপূর্ণ সমধ্যি অপরূপ মাধুর্য যুদ্ধ-ফেরত সৈনিকের হৃদয় ও নয়নকে অভূতপূর্ব অনুভবে পা করে দেয়। সেই অনুভূত সৌন্দর্য্য ও মাধুর্যের স্মৃতি নিয়ে আনাতোল ও অন্যান্য বিমান সৈনিকরা অবশেষে করাচি বিমানবন্দরে পৌছান।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪২)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪২)