০২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
কেভিন পার্কারের নতুন অ্যালবাম ‘ডেডবিট’: প্রযুক্তিগত পরিপূর্ণতায় হারিয়ে যাওয়া মানবিক স্পর্শ বিএনপি, জামায়াতের চোখে বিতর্কিত উপদেষ্টা কারা মোহাম্মদপুরে ভয় ও অনিশ্চয়তার ছায়া—এক বছরে বেড়েছে বোমা বিস্ফোরণ, গ্যাং সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ধানের শীষে ভোট দিন’ -তালিমুদ্দিন মাদ্রাসা মাঠে জনসভায় বিএনপি নেতা কাজী গনি চৌধুরীর বক্তব্য দুর্যোগ ও জরুরি পরিস্থিতিতে সহজলভ্য মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা নিশ্চিতের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন জরুরি—জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ জুলাই সনদকে নির্বাহী আদেশে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান—সালাহউদ্দিনের বক্তব্যে আইনি প্রক্রিয়ার গুরুত্বের ওপর জোর মেধাভিত্তিক ইনক্রিমেন্ট ফের চালু—যোগ্য কর্মকর্তাদের প্রণোদনা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশের স্পিন ঝড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিধ্বস্ত—২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল টাইগাররা ভক্তদের জন্য চমক — স্ট্রে কিডসের নতুন অ্যালবাম ‘ডু ইট’ প্রকাশ নভেম্বরেই

খুলনা বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বছরে প্রাণ গেল ৬০০–এর বেশি মানুষের

ইউএনবি থেকে অনূদিত

গত এক বছরে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬১৪ জন মানুষ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) খুলনা আঞ্চলিক দপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট ৬১৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান

বিআরটিএর তথ্যমতে, এই সময়ের মধ্যে মোট ৮৯২টি যানবাহন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে মোটরসাইকেলই সবচেয়ে বেশি জড়িত ছিল।

জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যশোরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে—১০৯টি দুর্ঘটনায় ১০৭ জন নিহত হয়েছেন ও ১০৪ জন আহত। খুলনা জেলায় ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৪৩ জনের প্রাণহানি ও ৩৮ জন আহত হন। বাগেরহাটে ৪৮টি দুর্ঘটনায় ৪৫ জন মারা গেছেন এবং ৫৮ জন আহত হয়েছেন।

বিআরটিএ'র সার্ভার সচল, সব ধরনের সেবা কার্যক্রম পুনরায় শুরু | The Business  Standard

সাতক্ষীরায় ৩৯টি দুর্ঘটনায় ৫০ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন। নড়াইলে ২৫টি দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত ও ৪২ জন আহত হয়েছেন। মাগুরায় ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৮ জন নিহত ও ৪২ জন আহত হয়েছেন। ঝিনাইদহে ৮৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮৩ জন, আহত হয়েছেন ৪৪ জন।

কুষ্টিয়ায় ১০৩টি দুর্ঘটনায় ১০০ জন নিহত ও ১০৪ জন আহত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গায় ৮৩টি দুর্ঘটনায় ৬০ জন নিহত ও ৭৪ জন আহত হয়েছেন। মেহেরপুরে ৪৭টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ৬৫ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার কারণ

বিআরটিএ খুলনার উপপরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, আইন প্রয়োগের দুর্বলতা, সমন্বয়ের অভাব এবং প্রশিক্ষিত চালকের স্বল্পতাই সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধির প্রধান কারণ।

তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলকভাবে গাড়ি চালানো, নসিমন, করিমন ও ব্যাটারিচালিত রিকশার মতো ছোট যানবাহনের মহাসড়কে চলাচল এবং পথচারীদের অসচেতনতা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তিনচাকার যানবাহন—বিশেষত অটোরিকশা, নসিমন, করিমন ও ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোই বেশিরভাগ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।

Bangladesh Times | নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক নারী

নাগরিক সমাজের মতামত

খুলনা সিভিল সোসাইটির সদস্য-সচিব বাবুল হাওলাদার বলেন, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং আইন প্রয়োগের শিথিলতা প্রতিদিনের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াচ্ছে।

তিনি মনে করেন, প্রশাসনের কৌশলগত পদক্ষেপ ও কঠোর নজরদারি সড়কে মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে। অনেক মহাসড়ক দুর্ঘটনা ঘটে চালকদের ওভারটেকের চেষ্টার সময়, যা মুখোমুখি সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়ায়।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জোর দিয়েছে—সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জরুরি ভিত্তিতে কঠোর ট্রাফিক আইন প্রয়োগ, উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ, এবং চালক ও পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর। খুলনা বিভাগের ক্রমবর্ধমান দুর্ঘটনার হার সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন করে গুরুত্ব আরোপের দাবি তুলছে।

#tags: খুলনা, সড়ক_দুর্ঘটনা, বিআরটিএ, ট্রাফিক_ব্যবস্থাপনা, সড়ক_নিরাপত্তা, বাংলাদেশ

জনপ্রিয় সংবাদ

কেভিন পার্কারের নতুন অ্যালবাম ‘ডেডবিট’: প্রযুক্তিগত পরিপূর্ণতায় হারিয়ে যাওয়া মানবিক স্পর্শ

খুলনা বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বছরে প্রাণ গেল ৬০০–এর বেশি মানুষের

০৭:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

ইউএনবি থেকে অনূদিত

গত এক বছরে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬১৪ জন মানুষ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) খুলনা আঞ্চলিক দপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট ৬১৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান

বিআরটিএর তথ্যমতে, এই সময়ের মধ্যে মোট ৮৯২টি যানবাহন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে মোটরসাইকেলই সবচেয়ে বেশি জড়িত ছিল।

জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যশোরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে—১০৯টি দুর্ঘটনায় ১০৭ জন নিহত হয়েছেন ও ১০৪ জন আহত। খুলনা জেলায় ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৪৩ জনের প্রাণহানি ও ৩৮ জন আহত হন। বাগেরহাটে ৪৮টি দুর্ঘটনায় ৪৫ জন মারা গেছেন এবং ৫৮ জন আহত হয়েছেন।

বিআরটিএ'র সার্ভার সচল, সব ধরনের সেবা কার্যক্রম পুনরায় শুরু | The Business  Standard

সাতক্ষীরায় ৩৯টি দুর্ঘটনায় ৫০ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন। নড়াইলে ২৫টি দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত ও ৪২ জন আহত হয়েছেন। মাগুরায় ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৮ জন নিহত ও ৪২ জন আহত হয়েছেন। ঝিনাইদহে ৮৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮৩ জন, আহত হয়েছেন ৪৪ জন।

কুষ্টিয়ায় ১০৩টি দুর্ঘটনায় ১০০ জন নিহত ও ১০৪ জন আহত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গায় ৮৩টি দুর্ঘটনায় ৬০ জন নিহত ও ৭৪ জন আহত হয়েছেন। মেহেরপুরে ৪৭টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ৬৫ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার কারণ

বিআরটিএ খুলনার উপপরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, আইন প্রয়োগের দুর্বলতা, সমন্বয়ের অভাব এবং প্রশিক্ষিত চালকের স্বল্পতাই সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধির প্রধান কারণ।

তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলকভাবে গাড়ি চালানো, নসিমন, করিমন ও ব্যাটারিচালিত রিকশার মতো ছোট যানবাহনের মহাসড়কে চলাচল এবং পথচারীদের অসচেতনতা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তিনচাকার যানবাহন—বিশেষত অটোরিকশা, নসিমন, করিমন ও ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোই বেশিরভাগ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।

Bangladesh Times | নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক নারী

নাগরিক সমাজের মতামত

খুলনা সিভিল সোসাইটির সদস্য-সচিব বাবুল হাওলাদার বলেন, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং আইন প্রয়োগের শিথিলতা প্রতিদিনের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াচ্ছে।

তিনি মনে করেন, প্রশাসনের কৌশলগত পদক্ষেপ ও কঠোর নজরদারি সড়কে মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে। অনেক মহাসড়ক দুর্ঘটনা ঘটে চালকদের ওভারটেকের চেষ্টার সময়, যা মুখোমুখি সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়ায়।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জোর দিয়েছে—সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জরুরি ভিত্তিতে কঠোর ট্রাফিক আইন প্রয়োগ, উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ, এবং চালক ও পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর। খুলনা বিভাগের ক্রমবর্ধমান দুর্ঘটনার হার সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন করে গুরুত্ব আরোপের দাবি তুলছে।

#tags: খুলনা, সড়ক_দুর্ঘটনা, বিআরটিএ, ট্রাফিক_ব্যবস্থাপনা, সড়ক_নিরাপত্তা, বাংলাদেশ