প্রিন্সেস ফর্মুলা ছাড়িয়ে স্কোয়াড অ্যাডভেঞ্চার
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, ডিজনি অনেক পরিচিত অ্যানিমেশনকে লাইভ-অ্যাকশনে আনার গতি কমালেও ‘অ্যাটলান্টিস: দ্য লস্ট এমপায়ার’ নামে ২০০০ দশকের শুরুর অ্যাডভেঞ্চার গল্পটি এখনও স্টুডিওর অ্যাকটিভ ডেভেলপমেন্ট তালিকায় আছে। কেন? কারণ এটি রাজকন্যা-কেন্দ্রিক মিউজিক্যাল নয়, বরং একদল এক্সপ্লোরারের এক্সপেডিশন থ্রিল। স্টুডিওর ভাষায়, টার্গেট হলো সেই টিনএজার ও টোয়েন্টিজ অডিয়েন্স যারা নস্টালজিক VHS প্রজন্ম না, বরং স্ট্রিমিং প্রজন্ম—যারা চায় টিম ডায়নামিক, গ্যাজেট, ভাঙাচোরা মানচিত্র আর সেমি-স্টিমপাঙ্ক ভিজ্যুয়াল।
ডিজনির জন্য ঝুঁকি ও সুযোগ
ডিজনি এখন বিনিয়োগকারীদের কাছে বোঝাতে চাইছে যে তারা কেবল পুরোনো ফর্মুলা চিবোচ্ছে না। একইসঙ্গে তারা বক্স অফিস ও মার্চেন্ডাইজের নিরাপদ পথও ছাড়তে পারছে না, কারণ স্ট্রিমিং লস নিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের চাপ তীব্র। ‘অ্যাটলান্টিস’ এই দুই দিক একসাথে মেটায়। এখানে মূল বিক্রি হলো দলের কেমিস্ট্রি ও ওয়ার্ল্ড-বিল্ডিং, প্রেমের একক রূপকথা নয়। এতে কাস্টিং আরও নমনীয়: স্টুডিও বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের অভিনেতা দিয়ে দল বানাতে পারে এবং সেই দলকেই অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার ফ্র্যাঞ্চাইজ বানাতে পারে। যদি এই মডেল কাজ করে, তাহলে ডিজনি তার ভল্ট থেকে আরও কম চর্চিত, গ্যাজেট-সমৃদ্ধ, টিম-ড্রিভেন টাইটেলগুলো বের করবে—যেগুলো খেলনা, পোশাক, কালেক্টিবলস হিসেবে দ্রুত বিক্রি করা যায়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 

















