প্যান-ইন্ডিয়া থেকে প্যান-ওয়ার্ল্ড
বিবিসি জানিয়েছে, তামিল ও তেলেগু মেইনস্ট্রিম অ্যাকশন মুভি এখন থিয়েটার থেকে নামার কয়েক দিনের মধ্যেই ইংরেজি, স্প্যানিশ, এমনকি ইন্দোনেশীয় ডাবসহ স্ট্রিমিংয়ে যাচ্ছে। আগে এই কাজ হতো ধীরে—প্রথমে হিন্দি রিলিজ, তারপর বাকি ভারতে ছড়ানো, তারপর বিদেশি সাবটাইটেল। এখন রুট শর্টকাট: ভাইরাল ফাইট সিকোয়েন্স যতক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় গরম, ততক্ষণেই গ্লোবাল ডাব ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর ভাষায়, দক্ষিণী সিনেমার ভিজ্যুয়াল পে-অফ এত দ্রুত আসে যে দর্শককে আলাদা করে পলিটিক্স বা লোকাল ব্যাকস্টোরি বোঝাতে হয় না।
বলিউড ও হলিউডের ওপর চাপ
এতে পুরোনো বলিউড-কেন্দ্রিক ভারসাম্য চাপে পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে “প্যান-ইন্ডিয়া” মানে ছিল দক্ষিণী হিটকে হিন্দিতে ডাব করে সারা দেশে ছড়ানো। এখন হিন্দি ধাপটাই কখনো কখনো স্কিপ হচ্ছে; সরাসরি গ্লোবাল অডিয়েন্সকে টার্গেট করা হচ্ছে। এর মানে হিন্দি মেইনস্ট্রিম, যেটা পারিবারিক ড্রামা আর রোমান্স-স্টারডমের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল, তাদের নতুনভাবে ভাবতে হবে কীভাবে আন্তর্জাতিক চোখ টানা যায়। একই সাথে হলিউডের মিড-বাজেট অ্যাকশনও চাপা ধাক্কা খাচ্ছে, কারণ দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি তুলনামূলক কম টাকায় কাঁচা স্টান্ট, স্লো-মো হিরো শট আর মেলোড্রাম্যাটিক রাগকে দুনিয়াজুড়ে বিক্রি করে ফেলতে পারছে। ফলাফল: দক্ষিণী সুপারস্টার এখন কেবল ভারতের হিরো নয়; তিনি নিজেই এক্সপোর্ট-রেডি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















