০৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

ট্রাম্প–শি বৈঠকের আগে তাইওয়ান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ‘খুবই স্থিতিশীল’

ট্রাম্প–শি বৈঠকের আগে তাইওয়ানের আশ্বস্ত বার্তা

তাইপে, ২৮ অক্টোবর — যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকের আগে তাইওয়ান আশ্বস্ত করেছে যে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ‘খুবই স্থিতিশীল’ অবস্থায় রয়েছে।

তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন চিয়া-লুং মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘না, আমি উদ্বিগ্ন নই যে ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ানকে “ত্যাগ” করবে, কারণ আমাদের তাইওয়ান–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক খুবই স্থিতিশীল।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।’


ট্রাম্পের অবস্থান ও তাইওয়ানের শঙ্কা

চীনের দাবিকৃত এই দ্বীপটির বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে শুরু থেকেই কিছুটা দ্বিধা লক্ষ্য করা গেছে। বেইজিংয়ের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করার প্রচেষ্টায় ট্রাম্প কখনও তাইওয়ানের পক্ষে অবস্থান নিলেও আবার কখনও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত রাখার দিকেও মনোযোগ দিয়েছেন।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, শি জিনপিং তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি ট্রাম্পের মেয়াদকালে তাইওয়ানে কোনো সামরিক অভিযান চালাবেন না। তবে এখন পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন তাইপের জন্য নতুন কোনো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেয়নি।

তাইওয়ানের উদ্বেগ হচ্ছে—এই বৈঠকে ট্রাম্প কোনোভাবে তাইওয়ানের স্বার্থকে ‘বিনিময়ের উপকরণ’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, বিশেষ করে যখন দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) সম্মেলনের পাশে দুই পরাশক্তি নেতার এই সাক্ষাৎ হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র–তাইওয়ান সম্পর্কের প্রেক্ষাপট

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, আইনগতভাবে ওয়াশিংটন তাইপেকে আত্মরক্ষার উপায় সরবরাহ করতে বাধ্য। গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্টের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেয়ে আসছে, যা দীর্ঘদিন ধরেই চীন–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করে আসছে।


এপেক সম্মেলনে তাইওয়ানের অংশগ্রহণ

এপেক ফোরামটি এমন কয়েকটি আন্তর্জাতিক মঞ্চের একটি যেখানে তাইওয়ান অংশ নিতে পারে। তবে রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার কারণে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সরাসরি অংশগ্রহণ করেন না।

এইবার দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি ও সাবেক অর্থমন্ত্রী লিন সিন-ই। যাত্রার আগে বিমানবন্দরে তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলন আমাদের জন্য সমানভাবে অংশগ্রহণ ও আলোচনার একটি সুযোগ সৃষ্টি করবে।’


চীনের অবস্থান: ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’

চীন দীর্ঘদিন ধরে তাইওয়ানের জন্য ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতির প্রস্তাব দিয়ে আসছে, তবে তাইওয়ানের সব প্রধান রাজনৈতিক দলই এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছে। গত পাঁচ বছরে বেইজিং সামরিক ও কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করেছে—নিয়মিতভাবে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে দ্বীপটির আকাশ ও সাগরসীমার কাছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা সিনহুয়া মঙ্গলবার এক ভাষ্যতে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘জাতীয় ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার ন্যায্য প্রয়াসের জন্য পরিস্থিতি ক্রমেই অনুকূল হয়ে উঠছে।’

সেখানে আরও বলা হয়, ‘উভয় পক্ষ শান্তিপূর্ণভাবে বসে “এক দেশ, দুই ব্যবস্থা”-এর একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে পারে, যা তাইওয়ানের বর্তমান সামাজিক ব্যবস্থা ও জীবনধারাকে সম্মান জানাবে।’


তাইওয়ানের প্রতিক্রিয়া: ‘চীনের কোনো অধিকার নেই’

তাইওয়ানের সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—বেইজিংয়ের আন্তর্জাতিকভাবে দ্বীপটির হয়ে কথা বলার বা দাবি তোলার কোনো অধিকার নেই। কেবল তাইওয়ানের জনগণই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।


চীনে তাইওয়ানি সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত

একই দিনে চীনের চংকিং শহরের পুলিশ ঘোষণা করেছে যে, তারা তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) সংসদ সদস্য পুমা শেনের বিরুদ্ধে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও চীনের আইনব্যবস্থার তাইওয়ানের ওপর কোনো এখতিয়ার নেই।

পুমা শেন জানিয়েছেন, এটি তাঁর বিরুদ্ধে চীনের পঞ্চম বা ষষ্ঠ নিষেধাজ্ঞা হতে পারে। তবে এবার পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক, কারণ বেইজিং এবার ‘বিদেশে গ্রেপ্তারি অভিযান চালানোর সম্ভাবনার’ ইঙ্গিত দিয়েছে।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং আইনি কৌশল চীনের তাইওয়ানবিরোধী প্রকাশ্য কৌশলের অংশ। এটি শুধু আমাকে নয়, অন্যদেরও সতর্ক করার একটি বার্তা।’

 


সারসংক্ষেপ

• ট্রাম্প ও শি জিনপিং দক্ষিণ কোরিয়ায় এই সপ্তাহে বৈঠক করবেন।
• তাইওয়ানও এপেক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে।
• চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে।
• তাইওয়ান বলছে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খুবই স্থিতিশীল এবং বহুমাত্রিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।
• চীন বাড়াচ্ছে সামরিক চাপ ও কূটনৈতিক কৌশল, অন্যদিকে তাইওয়ান দৃঢ়ভাবে বলছে—তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার কেবল জনগণের।

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্প–শি বৈঠকের আগে তাইওয়ান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ‘খুবই স্থিতিশীল’

০৫:১১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

ট্রাম্প–শি বৈঠকের আগে তাইওয়ানের আশ্বস্ত বার্তা

তাইপে, ২৮ অক্টোবর — যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকের আগে তাইওয়ান আশ্বস্ত করেছে যে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ‘খুবই স্থিতিশীল’ অবস্থায় রয়েছে।

তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন চিয়া-লুং মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘না, আমি উদ্বিগ্ন নই যে ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ানকে “ত্যাগ” করবে, কারণ আমাদের তাইওয়ান–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক খুবই স্থিতিশীল।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।’


ট্রাম্পের অবস্থান ও তাইওয়ানের শঙ্কা

চীনের দাবিকৃত এই দ্বীপটির বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে শুরু থেকেই কিছুটা দ্বিধা লক্ষ্য করা গেছে। বেইজিংয়ের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করার প্রচেষ্টায় ট্রাম্প কখনও তাইওয়ানের পক্ষে অবস্থান নিলেও আবার কখনও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত রাখার দিকেও মনোযোগ দিয়েছেন।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, শি জিনপিং তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি ট্রাম্পের মেয়াদকালে তাইওয়ানে কোনো সামরিক অভিযান চালাবেন না। তবে এখন পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন তাইপের জন্য নতুন কোনো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেয়নি।

তাইওয়ানের উদ্বেগ হচ্ছে—এই বৈঠকে ট্রাম্প কোনোভাবে তাইওয়ানের স্বার্থকে ‘বিনিময়ের উপকরণ’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, বিশেষ করে যখন দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) সম্মেলনের পাশে দুই পরাশক্তি নেতার এই সাক্ষাৎ হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র–তাইওয়ান সম্পর্কের প্রেক্ষাপট

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, আইনগতভাবে ওয়াশিংটন তাইপেকে আত্মরক্ষার উপায় সরবরাহ করতে বাধ্য। গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্টের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেয়ে আসছে, যা দীর্ঘদিন ধরেই চীন–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করে আসছে।


এপেক সম্মেলনে তাইওয়ানের অংশগ্রহণ

এপেক ফোরামটি এমন কয়েকটি আন্তর্জাতিক মঞ্চের একটি যেখানে তাইওয়ান অংশ নিতে পারে। তবে রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার কারণে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সরাসরি অংশগ্রহণ করেন না।

এইবার দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি ও সাবেক অর্থমন্ত্রী লিন সিন-ই। যাত্রার আগে বিমানবন্দরে তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলন আমাদের জন্য সমানভাবে অংশগ্রহণ ও আলোচনার একটি সুযোগ সৃষ্টি করবে।’


চীনের অবস্থান: ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’

চীন দীর্ঘদিন ধরে তাইওয়ানের জন্য ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতির প্রস্তাব দিয়ে আসছে, তবে তাইওয়ানের সব প্রধান রাজনৈতিক দলই এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছে। গত পাঁচ বছরে বেইজিং সামরিক ও কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করেছে—নিয়মিতভাবে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে দ্বীপটির আকাশ ও সাগরসীমার কাছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা সিনহুয়া মঙ্গলবার এক ভাষ্যতে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘জাতীয় ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার ন্যায্য প্রয়াসের জন্য পরিস্থিতি ক্রমেই অনুকূল হয়ে উঠছে।’

সেখানে আরও বলা হয়, ‘উভয় পক্ষ শান্তিপূর্ণভাবে বসে “এক দেশ, দুই ব্যবস্থা”-এর একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে পারে, যা তাইওয়ানের বর্তমান সামাজিক ব্যবস্থা ও জীবনধারাকে সম্মান জানাবে।’


তাইওয়ানের প্রতিক্রিয়া: ‘চীনের কোনো অধিকার নেই’

তাইওয়ানের সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—বেইজিংয়ের আন্তর্জাতিকভাবে দ্বীপটির হয়ে কথা বলার বা দাবি তোলার কোনো অধিকার নেই। কেবল তাইওয়ানের জনগণই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।


চীনে তাইওয়ানি সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত

একই দিনে চীনের চংকিং শহরের পুলিশ ঘোষণা করেছে যে, তারা তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) সংসদ সদস্য পুমা শেনের বিরুদ্ধে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও চীনের আইনব্যবস্থার তাইওয়ানের ওপর কোনো এখতিয়ার নেই।

পুমা শেন জানিয়েছেন, এটি তাঁর বিরুদ্ধে চীনের পঞ্চম বা ষষ্ঠ নিষেধাজ্ঞা হতে পারে। তবে এবার পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক, কারণ বেইজিং এবার ‘বিদেশে গ্রেপ্তারি অভিযান চালানোর সম্ভাবনার’ ইঙ্গিত দিয়েছে।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং আইনি কৌশল চীনের তাইওয়ানবিরোধী প্রকাশ্য কৌশলের অংশ। এটি শুধু আমাকে নয়, অন্যদেরও সতর্ক করার একটি বার্তা।’

 


সারসংক্ষেপ

• ট্রাম্প ও শি জিনপিং দক্ষিণ কোরিয়ায় এই সপ্তাহে বৈঠক করবেন।
• তাইওয়ানও এপেক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে।
• চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে।
• তাইওয়ান বলছে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খুবই স্থিতিশীল এবং বহুমাত্রিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।
• চীন বাড়াচ্ছে সামরিক চাপ ও কূটনৈতিক কৌশল, অন্যদিকে তাইওয়ান দৃঢ়ভাবে বলছে—তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার কেবল জনগণের।