০৩:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
হোয়াইট হাউসের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বলরুম ও অতিথি সুইট যুক্ত হচ্ছে ট্রাম্পের ‘নতুন’ ইস্ট উইং হামাসের হামলার পর বার্লিনের এক রেস্তোরাঁয় শান্তির স্বপ্ন ভেঙে গেল ট্রাম্প প্রশাসনের বলরুম নির্মাণে হারিয়ে গেল ‘হোয়াইট হাউস’-এর হৃদয় ‘ইস্ট উইং’ ভারতে বিগ বস–১৯ এর প্রতিযোগী আশনূরকে ‘মোটি’ বলে বিদ্রূপ,তান্যা ও নীলমের বিরুদ্ধে ভক্তদের ক্ষোভ গ্রিনউইচ রেলওয়ের সাহায্যে ১৮৫২ সালে সময়সূচী বিপর্যয়ের সমাধান ওপেনএআই-এর প্রথম নিজস্ব এআই চিপ তৈরিতে ব্রডকমের সঙ্গে চুক্তি আমেরিকাতে বায়োটেক সেক্টরের উত্থান:কিন্তু এর স্থায়িত্ব কতটুকু? চীনে এআই-চালিত রোবট কুকুরের টহল শুরু , নগর ব্যবস্থাপনায় এটি এক নতুন দিগন্ত বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পথে চীন জুরং দ্বীপে সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় সবুজ ডেটা সেন্টার পার্ক

হাউস ওভারসাইট কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাইডেনের স্বাক্ষরিত পারডনগুলোকে ‘শূন্য’ বলে ঘোষণা

হাউস ওভারসাইট কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন

হাউস ওভারসাইট কমিটি, যেটি রিপাবলিকানরা নিয়ন্ত্রিত, দাবি করেছে যে বাইডেনের বেশ কিছু পারডন এবং কমিউটেশন, যা অটোপেন ব্যবহার করে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা ‘শূন্য’ বলে গণ্য হওয়া উচিত। কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেনের প্রশাসন অটোপেনের ব্যবহার নিয়ে লুকোচুরি করেছে এবং বাইডেনের মস্তিষ্কের অবস্থা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

কমিটি আইনজীবী পাম বন্ডিকে একটি চিঠি পাঠিয়ে তার কাছে আবেদন জানিয়েছে যে, এই পদক্ষেপগুলোর বৈধতা পরীক্ষা করা হোক এবং বাইডেনের সহকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে। কমিটি দাবি করেছে যে, বাইডেন স্বয়ং এই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছেন কিনা, তা নিয়ে কোনো স্পষ্ট রেকর্ড নেই।

কমিটির তদন্ত ও দাবি

প্রতিবেদনটি ৯৩ পৃষ্ঠার একটি নথি প্রকাশ করেছে, যেখানে বাইডেনের অটোপেন ব্যবহারের বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি তদন্তের ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে। কমিটি ১৪ জন সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, বাইডেন নিজে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে কোনো নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারা এও বলেছে যে, বাইডেনের মস্তিষ্কের অবস্থা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু কিছু আলোচনার পরেও, বাইডেন নিজেই সব কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন বলে দাবি করেছে।

ডেমোক্রেটদের প্রতিক্রিয়া

ডেমোক্রেটিক সদস্য রবার্ট গার্সিয়া এই প্রতিবেদনকে “একটি অপপ্রচারমূলক তদন্ত” হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, সমস্ত সাক্ষী বলেছেন বাইডেন নিজেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে সব কাজ সম্পাদন করেছেন। তিনি আরও বলেন, বাইডেনের প্রশাসন কোনো ভুল করেনি এবং রিপাবলিকানদের উচিত সরকারী কাজকর্মে মনোযোগ দেওয়া।

মুদ্রা সম্পর্কিত আইনগত প্রশ্ন

কমিটি প্রস্তাব করেছে যে, বাইডেনের শীর্ষ সহকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হোক, যারা “ফিফথ অ্যামেন্ডমেন্ট” প্রয়োগ করে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করেছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন বাইডেনের চিকিৎসক ড. কেভিন ও’কনর, এবং সহকারী অ্যান্থনি বার্নাল ও অ্যানি তমাসিনি।

তবে, মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, ফিফথ অ্যামেন্ডমেন্টের অধীনে একজন সাক্ষীকে প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়, যা গণনা করা হয় না অপরাধ হিসেবে। কমিটি আরও একটি চিঠি পাঠিয়েছে, যাতে দাবি করা হয়েছে যে, ড. ও’কনর তার চিকিৎসার রিপোর্টে ভুল তথ্য দিয়েছেন এবং তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

বাইডেনের প্রতিক্রিয়া

বাইডেনের মুখপাত্র এই তদন্তকে “বেমানান অভিযোগ” বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন, “এটি স্পষ্ট যে, বাইডেন নিজেই তার প্রশাসনের সকল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” বাইডেন আগে থেকেই দাবি করে এসেছেন যে, তিনি স্বতন্ত্রভাবে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এবং তিনি এগুলো পরিকল্পিতভাবে করেছেন, যাতে তার শাসনামলে যেসব মামলা তদন্তাধীন ছিল, সেগুলোর ক্ষেত্রে দোষারোপের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার সুযোগ তৈরি করা যায়।

রিপোর্টের সারাংশ

কমিটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বাইডেনের প্রশাসন অত্যন্ত শিথিলভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছিল, যার ফলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য সঠিকভাবে রেকর্ড রাখা হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেনের সিদ্ধান্তের অনুমোদনের জন্য কোন পরিষ্কার ও সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি, যা ভবিষ্যতে অপব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

পিউ রিসার্চের মতে, বাইডেনের দেওয়া অধিকাংশ পারডন তার প্রেসিডেন্ট থাকার শেষ তিন মাসে দেওয়া হয়েছিল। তবে, এই সময়ের মধ্যে তিনি কিছু “অতীত সংঘাতমূলক” ব্যক্তিদেরও পারডন দেন, যারা মর্মান্তিক অপরাধের সাথে যুক্ত ছিলেন।

এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে, কমিটি বাইডেনের প্রশাসনের অনেক অপসারণযোগ্য পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, যা আরও আইনগত বাধা সৃষ্টি করবে।

#Biden #GOP #Autopen #Pardons #Investigation #HouseOversight #PoliticalAccountability #CognitiveDecline

জনপ্রিয় সংবাদ

হোয়াইট হাউসের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বলরুম ও অতিথি সুইট যুক্ত হচ্ছে ট্রাম্পের ‘নতুন’ ইস্ট উইং

হাউস ওভারসাইট কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাইডেনের স্বাক্ষরিত পারডনগুলোকে ‘শূন্য’ বলে ঘোষণা

১১:১৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

হাউস ওভারসাইট কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন

হাউস ওভারসাইট কমিটি, যেটি রিপাবলিকানরা নিয়ন্ত্রিত, দাবি করেছে যে বাইডেনের বেশ কিছু পারডন এবং কমিউটেশন, যা অটোপেন ব্যবহার করে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা ‘শূন্য’ বলে গণ্য হওয়া উচিত। কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেনের প্রশাসন অটোপেনের ব্যবহার নিয়ে লুকোচুরি করেছে এবং বাইডেনের মস্তিষ্কের অবস্থা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

কমিটি আইনজীবী পাম বন্ডিকে একটি চিঠি পাঠিয়ে তার কাছে আবেদন জানিয়েছে যে, এই পদক্ষেপগুলোর বৈধতা পরীক্ষা করা হোক এবং বাইডেনের সহকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে। কমিটি দাবি করেছে যে, বাইডেন স্বয়ং এই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছেন কিনা, তা নিয়ে কোনো স্পষ্ট রেকর্ড নেই।

কমিটির তদন্ত ও দাবি

প্রতিবেদনটি ৯৩ পৃষ্ঠার একটি নথি প্রকাশ করেছে, যেখানে বাইডেনের অটোপেন ব্যবহারের বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি তদন্তের ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে। কমিটি ১৪ জন সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, বাইডেন নিজে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে কোনো নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারা এও বলেছে যে, বাইডেনের মস্তিষ্কের অবস্থা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু কিছু আলোচনার পরেও, বাইডেন নিজেই সব কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন বলে দাবি করেছে।

ডেমোক্রেটদের প্রতিক্রিয়া

ডেমোক্রেটিক সদস্য রবার্ট গার্সিয়া এই প্রতিবেদনকে “একটি অপপ্রচারমূলক তদন্ত” হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, সমস্ত সাক্ষী বলেছেন বাইডেন নিজেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে সব কাজ সম্পাদন করেছেন। তিনি আরও বলেন, বাইডেনের প্রশাসন কোনো ভুল করেনি এবং রিপাবলিকানদের উচিত সরকারী কাজকর্মে মনোযোগ দেওয়া।

মুদ্রা সম্পর্কিত আইনগত প্রশ্ন

কমিটি প্রস্তাব করেছে যে, বাইডেনের শীর্ষ সহকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হোক, যারা “ফিফথ অ্যামেন্ডমেন্ট” প্রয়োগ করে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করেছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন বাইডেনের চিকিৎসক ড. কেভিন ও’কনর, এবং সহকারী অ্যান্থনি বার্নাল ও অ্যানি তমাসিনি।

তবে, মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, ফিফথ অ্যামেন্ডমেন্টের অধীনে একজন সাক্ষীকে প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়, যা গণনা করা হয় না অপরাধ হিসেবে। কমিটি আরও একটি চিঠি পাঠিয়েছে, যাতে দাবি করা হয়েছে যে, ড. ও’কনর তার চিকিৎসার রিপোর্টে ভুল তথ্য দিয়েছেন এবং তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

বাইডেনের প্রতিক্রিয়া

বাইডেনের মুখপাত্র এই তদন্তকে “বেমানান অভিযোগ” বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন, “এটি স্পষ্ট যে, বাইডেন নিজেই তার প্রশাসনের সকল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” বাইডেন আগে থেকেই দাবি করে এসেছেন যে, তিনি স্বতন্ত্রভাবে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এবং তিনি এগুলো পরিকল্পিতভাবে করেছেন, যাতে তার শাসনামলে যেসব মামলা তদন্তাধীন ছিল, সেগুলোর ক্ষেত্রে দোষারোপের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার সুযোগ তৈরি করা যায়।

রিপোর্টের সারাংশ

কমিটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বাইডেনের প্রশাসন অত্যন্ত শিথিলভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছিল, যার ফলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য সঠিকভাবে রেকর্ড রাখা হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেনের সিদ্ধান্তের অনুমোদনের জন্য কোন পরিষ্কার ও সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি, যা ভবিষ্যতে অপব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

পিউ রিসার্চের মতে, বাইডেনের দেওয়া অধিকাংশ পারডন তার প্রেসিডেন্ট থাকার শেষ তিন মাসে দেওয়া হয়েছিল। তবে, এই সময়ের মধ্যে তিনি কিছু “অতীত সংঘাতমূলক” ব্যক্তিদেরও পারডন দেন, যারা মর্মান্তিক অপরাধের সাথে যুক্ত ছিলেন।

এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে, কমিটি বাইডেনের প্রশাসনের অনেক অপসারণযোগ্য পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, যা আরও আইনগত বাধা সৃষ্টি করবে।

#Biden #GOP #Autopen #Pardons #Investigation #HouseOversight #PoliticalAccountability #CognitiveDecline