০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
অটো পাস, অটো এমপি’র চক্রেই কি বাধা থাকবে দেশ চীনের অর্থনীতি ধীরগতিতে—এক বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন, নতুন প্রণোদনার দাবি জোরালো অনিশ্চয়তার ভেতর ভাবনার সিনেমা—‘আফটার দ্য হান্ট’-এ জুলিয়া রবার্টস ও গুয়ার্ডানিনোর নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ঋণ কমাতে কেরিং-এর বড় পদক্ষেপ ড্রোন প্রতিরোধে বৈশ্বিক দৌড় পিয়ানোর অলিম্পিকের চূড়ান্ত পর্বে সুরের লড়াই , কানাডার কেভিন চেন ফাইনালে জেমস ফক্সের ‘ক্রাফ্টল্যান্ড’—ব্রিটেনের হারিয়ে যাওয়া হস্তশিল্পের জীবন্ত ইতিহাস বিলুপ্তির তালিকায় নতুন নাম—একটি পাখি, একটি শুঁয়োপোকা ও একটি শ্রু প্রজাতি হারিয়ে গেল পৃথিবী থেকে মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৫৬) কানাডায় অনিরাপদ বোধ করছেন ভারতীয়রা, উদ্বেগ জানালেন নয়াদিল্লির হাইকমিশনার

অনিশ্চয়তার ভেতর ভাবনার সিনেমা—‘আফটার দ্য হান্ট’-এ জুলিয়া রবার্টস ও গুয়ার্ডানিনোর নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

প্রবেশিকা

পরিচালক লুকা গুয়ার্ডানিনো ও তারকা জুলিয়া রবার্টসের নতুন ছবি ‘আফটার দ্য হান্ট’-এর প্রচারণার সময় তারা এমন প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়েছেন, যা সাধারণ শুভেচ্ছার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সাংবাদিক ও দর্শকরা ছবিটির প্রকৃত অর্থ নিয়ে এমন আলোচনায় মেতে উঠেছেন, যা রবার্টস নিজেও অপ্রত্যাশিত বলে মনে করছেন।

১. প্রচারণার অস্বাভাবিকতা

রবার্টস বলেন, “এ ছবিটি অনেক স্তরের গভীরে নিয়ে গেছে এমন প্রশ্ন ও আলাপ-আলোচনা, যা সত্যিই মুগ্ধ করে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা ‘হ্যাঁ, আবারও সেই প্রশ্ন’–এর মধ্যে নেই — এটাই এই প্রেস জাঙ্কেটের সবচেয়ে বড় ভিন্নতা।”

২. কাহিনি ও চরিত্রসংখ্যা

গুয়ার্ডানিনোর এই ছবিতে রবার্টস অভিনয় করেছেন আলমা নামে ইয়েলের এক দার্শনিক অধ্যাপিকার চরিত্রে। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহকর্মী হ্যাংক (অ্যান্ড্রু গারফিল্ড) ও কিম (ক্লোয়ি সেভিগনি), সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী মেগি (আয়ো এডেবিরি) এবং স্বামী ফ্রেডেরিক (মাইকেল স্টুহলবার্গ)–এর সঙ্গে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ চক্র গড়ে ওঠে। কিন্তু মেগি যখন হ্যাংকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলে, তখন এই বন্ধন ভেঙে যেতে শুরু করে — আলমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাঁর বিশ্বাস কোথায়।

A black-and-white portrait shows a long-haired woman in dark clothing half-smiling next to a somber bearded man in a cardigan and button-down shirt.

৩. রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রসঙ্গ

যদিও ছবিতে # MeToo সংস্কৃতি ও ‘ক্যানসেল কালচার’-এর মতো সংবেদনশীল বিষয় উঠে এসেছে, গুয়ার্ডানিনো স্পষ্ট করে বলেন, “আমি কখনোই এই ছবিকে রাজনৈতিক বিতর্কের হাতিয়ার করতে চাইনি। আমি এমন একটি অনিশ্চিত ছবি তৈরি করেছি, যা দর্শককে নিজে ভাবতে দেয়।”

তাঁর মতে, এই চলচ্চিত্র বর্তমান সমাজের বিভাজন ও চরম অবস্থান নিয়ে গভীর ভাবনার সুযোগ তৈরি করে।

৪. সম্পর্ক ও অভিনেত্রীর ভূমিকা

রবার্টস ও গুয়ার্ডানিনোর মধ্যে সুদৃঢ় বন্ধনের কথা বারবার উঠে এসেছে। রবার্টস বলেন, “লুকার সঙ্গে কাজ করা এমন এক অভিজ্ঞতা, যেখানে আমরা একে অপরের সান্নিধ্যে, সহজ আনন্দে ছিলাম।”

গুয়ার্ডানিনোর ভাষায়, “রবার্টস যেন আমার কল্পনায় সিনেমার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিলেন।” তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভবিষ্যতে তাঁদের মধ্যে আরও সহযোগিতা হতে পারে।

৫. আলাপচারিতা ও মানবিকতা

রবার্টস বলেন, “মানুষ হয়তো বুঝতে পারছে না, তারা কথোপকথনের শিল্প কতটা হারিয়ে ফেলছে।”

তিনি স্মরণ করেন এক মুহূর্ত, যখন তিনি সন্তানদের সঙ্গে ‘স্ট্যান্ড বাই মি’ দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু স্মার্টফোনে ডুবে থাকা সন্তানরা মনোযোগ দিতে পারছিল না। তখন মেয়ে বলে ওঠে, “আমি তোমাকে আমার ফোন দিয়ে যাচ্ছি।”

In an academic office setting, a seated man with a foot up on another chair gestures toward a woman across the desk from him.

রবার্টসের মতে, “আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে ভালোবাসি, কিন্তু হয়তো ভুলে যাচ্ছি তার গুরুত্ব।”

৬. অনুভূতিধর্মী অভিনয় প্রসঙ্গ

আলমা চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে রবার্টস বলেন, “এই চরিত্রটি আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল — কারণ এটিকে মানবিক করতে হয়। ক্লাসরুমের দৃশ্যগুলোয় শত চোখ আপনার দিকে তাকিয়ে থাকে।”

তিনি যোগ করেন, “যদিও চরিত্রটি দৃঢ়, তবুও তার ভেতরে গভীর আঘাত ও বেদনা জমা।”

রবার্টস জানান, ফ্রেডেরিক চরিত্রে স্টুহলবার্গকে নেওয়া ছিল “ঠিক চুলের রঙ খোঁজার মতো” — কারণ তাঁদের সম্পর্কের সূক্ষ্মতা পুরো গল্পের ভিত্তি।

৭. পরিচালকের কলেজ-অভিজ্ঞতা ও সংলাপ

গুয়ার্ডানিনো তাঁর কলেজজীবনের কথা তুলে ধরে বলেন, “প্যালারমোতে আমি কখনোই একা থাকতে চাইতাম না, কিন্তু একাকিত্বই ছিল সঙ্গী। সেই সময় শিল্পীদের সঙ্গে পরিচয় আমাকে একাকিত্ব থেকে টেনে তুলেছিল।”

Julia Roberts and Luca Guadagnino on 'After the Hunt' and Ambiguity - The  New York Times

তিনি আরও বলেন, “রবার্টসের সঙ্গে কাজ করাটাও একইরকম — এই ধরনের সহযোগিতা এখন খুবই বিরল।”

৮. সৃজনপদ্ধতি ও নান্দনিক উপাদান

রবার্টস বলেন, “আলমা চরিত্রটি আমার এক অংশ হয়ে উঠেছে। সাজসজ্জা, পোশাক, চুল, মেকআপ — সবকিছুই চরিত্রটিকে জীবন্ত করেছে।”

গুয়ার্ডানিনোর মতে, চলচ্চিত্রে স্থান নিজেই এক ধরনের চরিত্রে পরিণত হয়েছে — যা গল্পের মানসিক অবস্থার প্রতিফলন।

৯. প্রেক্ষাপট ও চিত্রনাট্যের উপাদান

ছবিটি শুরু হয় ২০১৯ সালে এবং শেষ হয় ২০২৫ সালের এক প্রতীকী দৃশ্যে। গুয়ার্ডানিনো বলেন, “আমি প্রায় নিশ্চিত ছিলাম রিপাবলিকানরা আবার ক্ষমতায় আসবে, আর ‘আফটার দ্য হান্ট’ সেই সময়ের সঙ্গে দারুণভাবে মেলে।”

Guadagnino's 'After the Hunt' with Julia Roberts

তিনি মনে করেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংঘর্ষ ও সামাজিক টানাপোড়েন — এই চলচ্চিত্রের বাস্তব প্রেক্ষাপটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।

১০. দর্শক-প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা

চলচ্চিত্রটি বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। কেউ একে “জটিল, পরিণত ও চিন্তাপ্রবণ” বলে প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ মনে করছেন কিছু অংশে ছবিটি আরও স্পষ্ট হতে পারত।

‘আফটার দ্য হান্ট’ এমন একটি চলচ্চিত্র, যা সহজ উত্তর দেয় না — বরং দর্শককে ভাবতে বাধ্য করে। রবার্টস ও গুয়ার্ডানিনোর যৌথ প্রচেষ্টা এমন এক অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে, যেখানে চিন্তা ও সংলাপের আবহ প্রবল।

যদি আপনি বিনোদনের পাশাপাশি চিন্তার খোরাক চান, তবে এই ছবিটি হয়ে উঠতে পারে এক বলিষ্ঠ বিকল্প।

শেষ কথা — সিনেমার সবচেয়ে বড় কাজ হলো ভাবনা ও আলোচনার উদ্দীপনা তৈরি করা। ‘আফটার দ্য হান্ট’ ঠিক সেই কাজটাই করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

অটো পাস, অটো এমপি’র চক্রেই কি বাধা থাকবে দেশ

অনিশ্চয়তার ভেতর ভাবনার সিনেমা—‘আফটার দ্য হান্ট’-এ জুলিয়া রবার্টস ও গুয়ার্ডানিনোর নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

০৫:০০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

প্রবেশিকা

পরিচালক লুকা গুয়ার্ডানিনো ও তারকা জুলিয়া রবার্টসের নতুন ছবি ‘আফটার দ্য হান্ট’-এর প্রচারণার সময় তারা এমন প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়েছেন, যা সাধারণ শুভেচ্ছার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সাংবাদিক ও দর্শকরা ছবিটির প্রকৃত অর্থ নিয়ে এমন আলোচনায় মেতে উঠেছেন, যা রবার্টস নিজেও অপ্রত্যাশিত বলে মনে করছেন।

১. প্রচারণার অস্বাভাবিকতা

রবার্টস বলেন, “এ ছবিটি অনেক স্তরের গভীরে নিয়ে গেছে এমন প্রশ্ন ও আলাপ-আলোচনা, যা সত্যিই মুগ্ধ করে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা ‘হ্যাঁ, আবারও সেই প্রশ্ন’–এর মধ্যে নেই — এটাই এই প্রেস জাঙ্কেটের সবচেয়ে বড় ভিন্নতা।”

২. কাহিনি ও চরিত্রসংখ্যা

গুয়ার্ডানিনোর এই ছবিতে রবার্টস অভিনয় করেছেন আলমা নামে ইয়েলের এক দার্শনিক অধ্যাপিকার চরিত্রে। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহকর্মী হ্যাংক (অ্যান্ড্রু গারফিল্ড) ও কিম (ক্লোয়ি সেভিগনি), সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী মেগি (আয়ো এডেবিরি) এবং স্বামী ফ্রেডেরিক (মাইকেল স্টুহলবার্গ)–এর সঙ্গে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ চক্র গড়ে ওঠে। কিন্তু মেগি যখন হ্যাংকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলে, তখন এই বন্ধন ভেঙে যেতে শুরু করে — আলমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাঁর বিশ্বাস কোথায়।

A black-and-white portrait shows a long-haired woman in dark clothing half-smiling next to a somber bearded man in a cardigan and button-down shirt.

৩. রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রসঙ্গ

যদিও ছবিতে # MeToo সংস্কৃতি ও ‘ক্যানসেল কালচার’-এর মতো সংবেদনশীল বিষয় উঠে এসেছে, গুয়ার্ডানিনো স্পষ্ট করে বলেন, “আমি কখনোই এই ছবিকে রাজনৈতিক বিতর্কের হাতিয়ার করতে চাইনি। আমি এমন একটি অনিশ্চিত ছবি তৈরি করেছি, যা দর্শককে নিজে ভাবতে দেয়।”

তাঁর মতে, এই চলচ্চিত্র বর্তমান সমাজের বিভাজন ও চরম অবস্থান নিয়ে গভীর ভাবনার সুযোগ তৈরি করে।

৪. সম্পর্ক ও অভিনেত্রীর ভূমিকা

রবার্টস ও গুয়ার্ডানিনোর মধ্যে সুদৃঢ় বন্ধনের কথা বারবার উঠে এসেছে। রবার্টস বলেন, “লুকার সঙ্গে কাজ করা এমন এক অভিজ্ঞতা, যেখানে আমরা একে অপরের সান্নিধ্যে, সহজ আনন্দে ছিলাম।”

গুয়ার্ডানিনোর ভাষায়, “রবার্টস যেন আমার কল্পনায় সিনেমার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিলেন।” তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভবিষ্যতে তাঁদের মধ্যে আরও সহযোগিতা হতে পারে।

৫. আলাপচারিতা ও মানবিকতা

রবার্টস বলেন, “মানুষ হয়তো বুঝতে পারছে না, তারা কথোপকথনের শিল্প কতটা হারিয়ে ফেলছে।”

তিনি স্মরণ করেন এক মুহূর্ত, যখন তিনি সন্তানদের সঙ্গে ‘স্ট্যান্ড বাই মি’ দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু স্মার্টফোনে ডুবে থাকা সন্তানরা মনোযোগ দিতে পারছিল না। তখন মেয়ে বলে ওঠে, “আমি তোমাকে আমার ফোন দিয়ে যাচ্ছি।”

In an academic office setting, a seated man with a foot up on another chair gestures toward a woman across the desk from him.

রবার্টসের মতে, “আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে ভালোবাসি, কিন্তু হয়তো ভুলে যাচ্ছি তার গুরুত্ব।”

৬. অনুভূতিধর্মী অভিনয় প্রসঙ্গ

আলমা চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে রবার্টস বলেন, “এই চরিত্রটি আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল — কারণ এটিকে মানবিক করতে হয়। ক্লাসরুমের দৃশ্যগুলোয় শত চোখ আপনার দিকে তাকিয়ে থাকে।”

তিনি যোগ করেন, “যদিও চরিত্রটি দৃঢ়, তবুও তার ভেতরে গভীর আঘাত ও বেদনা জমা।”

রবার্টস জানান, ফ্রেডেরিক চরিত্রে স্টুহলবার্গকে নেওয়া ছিল “ঠিক চুলের রঙ খোঁজার মতো” — কারণ তাঁদের সম্পর্কের সূক্ষ্মতা পুরো গল্পের ভিত্তি।

৭. পরিচালকের কলেজ-অভিজ্ঞতা ও সংলাপ

গুয়ার্ডানিনো তাঁর কলেজজীবনের কথা তুলে ধরে বলেন, “প্যালারমোতে আমি কখনোই একা থাকতে চাইতাম না, কিন্তু একাকিত্বই ছিল সঙ্গী। সেই সময় শিল্পীদের সঙ্গে পরিচয় আমাকে একাকিত্ব থেকে টেনে তুলেছিল।”

Julia Roberts and Luca Guadagnino on 'After the Hunt' and Ambiguity - The  New York Times

তিনি আরও বলেন, “রবার্টসের সঙ্গে কাজ করাটাও একইরকম — এই ধরনের সহযোগিতা এখন খুবই বিরল।”

৮. সৃজনপদ্ধতি ও নান্দনিক উপাদান

রবার্টস বলেন, “আলমা চরিত্রটি আমার এক অংশ হয়ে উঠেছে। সাজসজ্জা, পোশাক, চুল, মেকআপ — সবকিছুই চরিত্রটিকে জীবন্ত করেছে।”

গুয়ার্ডানিনোর মতে, চলচ্চিত্রে স্থান নিজেই এক ধরনের চরিত্রে পরিণত হয়েছে — যা গল্পের মানসিক অবস্থার প্রতিফলন।

৯. প্রেক্ষাপট ও চিত্রনাট্যের উপাদান

ছবিটি শুরু হয় ২০১৯ সালে এবং শেষ হয় ২০২৫ সালের এক প্রতীকী দৃশ্যে। গুয়ার্ডানিনো বলেন, “আমি প্রায় নিশ্চিত ছিলাম রিপাবলিকানরা আবার ক্ষমতায় আসবে, আর ‘আফটার দ্য হান্ট’ সেই সময়ের সঙ্গে দারুণভাবে মেলে।”

Guadagnino's 'After the Hunt' with Julia Roberts

তিনি মনে করেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংঘর্ষ ও সামাজিক টানাপোড়েন — এই চলচ্চিত্রের বাস্তব প্রেক্ষাপটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।

১০. দর্শক-প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা

চলচ্চিত্রটি বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। কেউ একে “জটিল, পরিণত ও চিন্তাপ্রবণ” বলে প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ মনে করছেন কিছু অংশে ছবিটি আরও স্পষ্ট হতে পারত।

‘আফটার দ্য হান্ট’ এমন একটি চলচ্চিত্র, যা সহজ উত্তর দেয় না — বরং দর্শককে ভাবতে বাধ্য করে। রবার্টস ও গুয়ার্ডানিনোর যৌথ প্রচেষ্টা এমন এক অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে, যেখানে চিন্তা ও সংলাপের আবহ প্রবল।

যদি আপনি বিনোদনের পাশাপাশি চিন্তার খোরাক চান, তবে এই ছবিটি হয়ে উঠতে পারে এক বলিষ্ঠ বিকল্প।

শেষ কথা — সিনেমার সবচেয়ে বড় কাজ হলো ভাবনা ও আলোচনার উদ্দীপনা তৈরি করা। ‘আফটার দ্য হান্ট’ ঠিক সেই কাজটাই করছে।