০৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে উত্তপ্ত বিক্ষোভ, ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা আইসিসিআরের দিগন্ত সিরিজে সংগীতের সন্ধ্যা কলকাতায় বাংলাদেশের সঙ্গে শুল্ক কমাতে বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তি নিশ্চিত করল জাপান চব্বিশ সেকেন্ডে উনত্রিশ গুলি, আত্মরক্ষার দাবি ঘিরে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে মার্কোস জুনিয়র ২০২৫ সালে কোনোমতে টিকে ছিলেন। ২০২৬ সালে কি তিনি পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজে পাবেন? ছুটির মৌসুমে ছাঁটাইয়ের শঙ্কা বাড়ছে, প্রস্তুত থাকাই এখন সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা রেনোয়ারের রেখার উৎসব: মর্গান লাইব্রেরিতে কাগজে ধরা এক শতকের শিল্পযাত্রা রক্তে আঁকা বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি: মারাত হত্যাকাণ্ডে শিল্প, রাজনীতি ও মিথের পুনর্জন্ম কিশোর উদ্যোক্তার এআই বিপ্লব: স্কুলের বেঞ্চ থেকেই গড়ে উঠছে নতুন স্টার্টআপ জগৎ ভোক্তা নিত্যপণ্যে বিনিয়োগের আশ্রয়, তবে এখন চাই বাছাইয়ের বুদ্ধি

দক্ষিণ কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক-চালিত সাবমেরিন বানাতে দেবে ওয়াশিংটন—ট্রাম্প

কৌশলগত বদল ও বার্তাটি কী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ঘনিষ্ঠভাবে সুরক্ষিত পারমাণবিক প্রপালশন জ্ঞান শেয়ার করে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার ফিলি শিপইয়ার্ডে দক্ষিণ কোরিয়াকে পারমাণবিক-চালিত আক্রমণাত্মক সাবমেরিন বানাতে দেওয়া হবে। উত্তর কোরিয়ার উন্নত ডুবোজাহাজ হুমকি ও দীর্ঘ পরিসরের টহল সক্ষমতা বাড়ানোর প্রশ্নে সিউল বহু বছর ধরে বিকল্প খুঁজছিল। পারমাণবিক সাবমেরিন ডিজেল-ইলেকট্রিকের তুলনায় বেশি সময় পানিতে থাকতে পারে, স্থায়ীভাবে বেশি গতি পায় এবং জ্বালানি-পূর্তির সীমাবদ্ধতা কম। টোকিও ও পুসানে ট্রাম্পের বৈঠকের পর এ ঘোষণাটি এসেছে; এর সঙ্গে জুড়ে আছে জোটভিত্তিক নিরাপত্তা ও বাণিজ্য বার্তা। বাস্তবে এটি যুক্তরাষ্ট্র-কোরিয়া শিল্প-সহযোগিতা ও নৌ অপারেশনে ঘনত্ব বাড়ার ইঙ্গিত—ক্রু প্রশিক্ষণ, রিঅ্যাক্টর সেফটি, লজিস্টিক্স ডকট্রিনে ইউএস নেভির মানদণ্ডের সঙ্গে সাদৃশ্য গড়তে হবে। হ্যানহুয়ার যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ বাড়ায় জাহাজ নির্মাণ অবকাঠামোর ভিত্তিও জোরদার হবে।

শর্ত, সংশয় ও আঞ্চলিক প্রভাব
তবে প্রশ্ন কম নয়। পারমাণবিক প্রপালশন ট্রান্সফার কঠোর নিয়ন্ত্রিত; রপ্তানি-নিয়ন্ত্রণ ও অ-প্রসারণ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গার্ডরেইল লাগবে। টাইমলাইনও অনিশ্চিত—রিঅ্যাক্টর একীভূতকরণ, সেফটি কেস, বিশেষজ্ঞ জনবল তৈরিতে বছর লেগে যায়। জাপান নিবিড় পর্যবেক্ষণ করবে: কোরীয় পারমাণবিক সাবমেরিন এলে প্রণালীপথের টহল ও জাপানি আত্মরক্ষা বাহিনীর অ্যান্টি-সাব সমন্বয়ে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে। চীন এটিকে সামরিকীকরণ বলে সমালোচনা করবে; উত্তর কোরিয়া এটিকে নিজস্ব পরীক্ষার যৌক্তিকতা হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। ওয়াশিংটনের জন্য এটি প্রতিরোধ ও শিল্পনীতি—দুইয়ের মিশ্রণ: মিত্রের ক্ষমতা বাড়াতে গিয়ে উন্নত প্রতিরক্ষা কাজ যুক্তরাষ্ট্রের ইয়ার্ডে স্থাপন। পরিকল্পনা এগোলে ত্রিপাক্ষিক অ্যান্টি-সাব মহড়া, শেয়ার্ড অ্যাকোস্টিক ডেটা, আর সাব-সারভেইলেন্সে নতুন বিনিয়োগ দেখা যেতে পারে। বড় পরীক্ষা হবে রাজনৈতিক স্থিতি ও ব্যয়ের চাপ সামাল দেওয়া; পথে হোঁচট খেলে প্রতিপক্ষের হাতে বয়ান চলে যাবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে উত্তপ্ত বিক্ষোভ, ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা

দক্ষিণ কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক-চালিত সাবমেরিন বানাতে দেবে ওয়াশিংটন—ট্রাম্প

০৫:৫১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

কৌশলগত বদল ও বার্তাটি কী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ঘনিষ্ঠভাবে সুরক্ষিত পারমাণবিক প্রপালশন জ্ঞান শেয়ার করে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার ফিলি শিপইয়ার্ডে দক্ষিণ কোরিয়াকে পারমাণবিক-চালিত আক্রমণাত্মক সাবমেরিন বানাতে দেওয়া হবে। উত্তর কোরিয়ার উন্নত ডুবোজাহাজ হুমকি ও দীর্ঘ পরিসরের টহল সক্ষমতা বাড়ানোর প্রশ্নে সিউল বহু বছর ধরে বিকল্প খুঁজছিল। পারমাণবিক সাবমেরিন ডিজেল-ইলেকট্রিকের তুলনায় বেশি সময় পানিতে থাকতে পারে, স্থায়ীভাবে বেশি গতি পায় এবং জ্বালানি-পূর্তির সীমাবদ্ধতা কম। টোকিও ও পুসানে ট্রাম্পের বৈঠকের পর এ ঘোষণাটি এসেছে; এর সঙ্গে জুড়ে আছে জোটভিত্তিক নিরাপত্তা ও বাণিজ্য বার্তা। বাস্তবে এটি যুক্তরাষ্ট্র-কোরিয়া শিল্প-সহযোগিতা ও নৌ অপারেশনে ঘনত্ব বাড়ার ইঙ্গিত—ক্রু প্রশিক্ষণ, রিঅ্যাক্টর সেফটি, লজিস্টিক্স ডকট্রিনে ইউএস নেভির মানদণ্ডের সঙ্গে সাদৃশ্য গড়তে হবে। হ্যানহুয়ার যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ বাড়ায় জাহাজ নির্মাণ অবকাঠামোর ভিত্তিও জোরদার হবে।

শর্ত, সংশয় ও আঞ্চলিক প্রভাব
তবে প্রশ্ন কম নয়। পারমাণবিক প্রপালশন ট্রান্সফার কঠোর নিয়ন্ত্রিত; রপ্তানি-নিয়ন্ত্রণ ও অ-প্রসারণ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গার্ডরেইল লাগবে। টাইমলাইনও অনিশ্চিত—রিঅ্যাক্টর একীভূতকরণ, সেফটি কেস, বিশেষজ্ঞ জনবল তৈরিতে বছর লেগে যায়। জাপান নিবিড় পর্যবেক্ষণ করবে: কোরীয় পারমাণবিক সাবমেরিন এলে প্রণালীপথের টহল ও জাপানি আত্মরক্ষা বাহিনীর অ্যান্টি-সাব সমন্বয়ে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে। চীন এটিকে সামরিকীকরণ বলে সমালোচনা করবে; উত্তর কোরিয়া এটিকে নিজস্ব পরীক্ষার যৌক্তিকতা হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। ওয়াশিংটনের জন্য এটি প্রতিরোধ ও শিল্পনীতি—দুইয়ের মিশ্রণ: মিত্রের ক্ষমতা বাড়াতে গিয়ে উন্নত প্রতিরক্ষা কাজ যুক্তরাষ্ট্রের ইয়ার্ডে স্থাপন। পরিকল্পনা এগোলে ত্রিপাক্ষিক অ্যান্টি-সাব মহড়া, শেয়ার্ড অ্যাকোস্টিক ডেটা, আর সাব-সারভেইলেন্সে নতুন বিনিয়োগ দেখা যেতে পারে। বড় পরীক্ষা হবে রাজনৈতিক স্থিতি ও ব্যয়ের চাপ সামাল দেওয়া; পথে হোঁচট খেলে প্রতিপক্ষের হাতে বয়ান চলে যাবে।