স্বল্প বৃদ্ধি, বড় বার্তা
ওপেক+ জোট আরও এক দফা সামান্য উৎপাদন বাড়াতে প্রস্তুত—কয়েক মাসের সতর্ক বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা। আগেই ইঙ্গিত দেওয়া এই পদক্ষেপ দেখায়, মজুত নিয়ন্ত্রণে আছে; চাহিদা নরম হলেও ভেঙে পড়েনি। বাজার এই সংকেতকে দাম স্থিত রাখার কৌশল হিসেবে দেখছে—অতীতের কাটছাঁট ধীরে খোলার পথে। সীমিত বৃদ্ধি সদস্যদের বাজেট–চাহিদাও মেটায়, একই সঙ্গে তীব্র বিক্রির ঝুঁকি কমায়। ভোক্তাদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ট্যাক্স–রিফাইনিং মার্জিনই খুচরা জ্বালানির মূল চালক থাকবে; একধাক্কায় বড় পরিবর্তন হওয়ার কথা নয়।
এখন নজরে কী
মূল প্রশ্ন কমপ্লায়েন্স ও নন-ওপেক যোগান—বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের শেল—উর্ধ্বমুখীই থাকে কি না। সামান্য ওপেক+ বৃদ্ধি যদি স্থির উত্তর আমেরিকান উৎপাদনের সঙ্গে মেলে, ভূরাজনীতি না বদলালে ব্রেন্টের ঊর্ধ্বগতি সীমিত হতে পারে। শীতে হিটিং–চাহিদা বাড়ায় রিফাইনাররা পণ্য–ক্র্যাক দেখবে। আমদানি–নির্ভর অর্থনীতি ডলারের ওঠানামায় সংবেদনশীল—ডলার শক্তিশালী হলে স্থিত দাম থেকেও সুবিধা মিইয়ে যেতে পারে। দাম যদি সংকীর্ণ ব্যান্ডে থাকে, এয়ারলাইন ও লজিস্টিক্সে পরিকল্পনা–স্বচ্ছতা বাড়বে। তবে আবহাওয়া বা সংঘাতে সরবরাহ ব্যাহত হলে ভারসাম্য দ্রুত টানটান হতে পারে; জোট জানিয়েছে, প্রয়োজনে পথ বদলাতে প্রস্তুত।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















