কর ছাড় ও লোকেশনের টানে
শুক্রবার লন্ডনে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, ভারতীয় প্রযোজনা সংস্থাগুলো ২০২৬ সালে অন্তত তিনটি বড় বাজেটের হিন্দি ছবি যুক্তরাজ্যে শুট করবে। রয়টার্সকে তারা জানিয়েছে, এর মধ্য দিয়ে প্রায় এক দশক পর বলিউড আবারও আগের মতো ব্রিটিশ লোকেশন ব্যবহার করতে পারবে; বিশেষ করে যশ রাজ ফিল্মসের মতো বড় প্রতিষ্ঠান ফিরতে সম্মত হওয়ায় ধারাবাহিকতা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। লন্ডন, ইয়র্কশায়ার ও স্কটল্যান্ডের একাধিক স্পটে শুটের জন্য ২৫ শতাংশ ট্যাক্স রিবেট, স্টুডিও স্পেস আর ভারতীয় ক্রুদের দ্রুত ভিসার ব্যবস্থা থাকবে। অক্টোবরের রাজনৈতিক ঘোষণার পর এবারই প্রথম ওই প্রতিশ্রুতি বাস্তব ক্যালেন্ডার ও কর্মসংস্থানের অঙ্কে বেঁধে দেওয়া হলো, যা ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনের সৃজনশীল অর্থনীতির শক্তি দেখানোর একটি উপায়।
মুম্বাইয়ের জন্য সুফল
গত কয়েক বছরে বলিউডের বিদেশি শুটিং ছড়িয়ে গেছে উপসাগরীয় দেশ, পূর্ব ইউরোপ ও থাইল্যান্ডে; খরচ কম হলেও সেখানে “লন্ডনের গ্ল্যামার” বা “স্কটিশ ভ্যালির গান”–এর মতো জনপ্রিয় কম্বো সরবরাহ করা যায় না। আগে থেকে ২০২৬ সালের শুট লক হয়ে যাওয়ায় মুম্বাইয়ের প্রযোজকেরা এখনই ডিজিটাল ও থিয়েট্রিক্যাল রাইট বিক্রি করে ধারাবাহিক নগদ প্রবাহ নিশ্চিত করতে পারবেন, কারণ নেটফ্লিক্স, প্রাইম ভিডিও বা জিওসিনেমার মতো প্ল্যাটফর্ম এখন একইসঙ্গে ভারত ও বিদেশে মুক্তি চায়। মুম্বাইয়ের ট্রেড বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি লন্ডন ও কার্ডিফের সেই পোস্টপ্রোডাকশন হাউসগুলোকেও কাজে ফেরাবে, যারা হিন্দি ছবির জন্য বিশেষায়িত সেবা দিত। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে ২০২৭ সালেই আরও অ্যাকশন বা থ্রিলারধর্মী ছবি ব্রিটেনে যাওয়ার রাস্তা খুলবে, আর দুই দেশের মধ্যকার চলচ্চিত্র সহযোগিতায়ও নতুন উদ্যম আসবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















