জাতীয় নাগরিক পার্টির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কড়া মন্তব্য
জাতীয় নাগরিক পার্টি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সরাসরি জোটে যেতে যাচ্ছে—এমন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তারুণ্যনির্ভর রাজনীতির সম্ভাবনার ইতি ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। তাঁর মতে, এই জোটের মধ্য দিয়ে কার্যত এনসিপি জামায়াতের রাজনৈতিক ছায়ায় বিলীন হয়ে যাবে।
ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ ও আশঙ্কা
বৃহস্পতিবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে আব্দুল কাদের বলেন, সারাদেশে সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে গুটিকয়েক নেতার স্বার্থ রক্ষায় এনসিপি এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি দাবি করেন, সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে খুব শিগগিরই এই জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
আসন ভাগাভাগির তথ্য
আব্দুল কাদের জানান, জোট আলোচনার শুরুতে এনসিপি জামায়াতের কাছে ৫০টি আসন দাবি করেছিল। পরে দরকষাকষির চূড়ান্ত পর্যায়ে সেটি ৩০টি আসনে নেমে আসে। সমঝোতার শর্ত অনুযায়ী, বাকি ২৭০টি আসনে এনসিপি কোনো প্রার্থী দেবে না এবং সেখানে জামায়াতের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করবে।
নির্বাচনি ব্যয় ও প্রার্থী চূড়ান্ত করার বিষয়
তিনি আরও বলেন, জোটসঙ্গী হিসেবে জামায়াত প্রতিটি আসনের জন্য এনসিপিকে দেড় কোটি টাকা করে নির্বাচনি ব্যয় দেবে। ৩০টি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করার দায়িত্ব জামায়াতের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও জামায়াতের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। এই দুজন যৌথভাবে এনসিপির প্রার্থীদের তালিকা নির্ধারণ করবেন বলে দাবি করা হয়।
ক্ষমতার সমীকরণ নিয়ে বক্তব্য
আব্দুল কাদের বলেন, নাহিদ ইসলামের আরও এক ধাপ অগ্রসর সমঝোতা হয়েছে। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, পশ্চিমা শক্তিগুলো প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সংসদে জামায়াতকে দেখতে চায় না। সে কারণে নির্বাচনে জয়ী হলে নাহিদ ইসলাম প্রধানমন্ত্রী এবং পরাজিত হলেও বিরোধীদলীয় নেতা হওয়ার পথ তৈরি করা হচ্ছে।
তারুণ্যের স্বপ্ন ভাঙার অভিযোগ
পোস্টের শেষাংশে আব্দুল কাদের আক্ষেপ করে বলেন, অসংখ্য তরুণ নিজের সাজানো জীবন ও পরিবার ছেড়ে দেশের দায়িত্ব নিতে এগিয়ে এসেছিল, একটি সম্ভাবনা ও স্বপ্ন তৈরি করেছিল। কিন্তু তাঁর মতে, সাম্প্রতিক এই রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সেই স্বপ্ন রাতারাতি মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















