০২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
ফিলিপস কালেকশনের মাস্টারপিস বিক্রি নিয়ে তীব্র বিতর্ক ২০২৫ সালের সেরা চলচ্চিত্র টার্গেটের ‘১০–৪’ নীতি: অদ্ভুত আচরণ, নাকি স্মার্ট ব্যবসায়িক কৌশল? আধুনিক সংস্কৃতির স্থবিরতা—সৃজনশীল সংকট নাকি স্বাভাবিক বিবর্তন? ব্যক্তিগত ফাইন্যান্স বৈষম্য বাড়ালেও এর গুরুত্বপূর্ণ সুফল অস্বীকার করা যায় না এআই-চালিত কাভার লেটার এখন আর যোগ্য প্রার্থী চিহ্নিত করতে কার্যকর নয় যুক্তরাষ্ট্রে ধনী মহল্লায় গোপনে গাছ হত্যা—অপরাধ, অর্থনীতি ও আইনের জটিল দ্বন্দ্ব ভারতে মতপ্রকাশের লড়াইয়ে কমেডিয়ানরা এখন ফ্রন্টলাইনে টিভির সবচেয়ে বাজে ড্রামা—সমালোচনার ঝড়ে তছনছ ‘অলস ফেয়ার’ চীনের সুপার ক্যারিয়ার ‘ফুজিয়ান’: যুক্তরাষ্ট্রের সামুদ্রিক আধিপত্যে বড় চ্যালেঞ্জ

জেমস ওয়াটসন: ডাবল হেলিক্স–এর সহ-আবিষ্কারকের জীবনাবসান

জেমস ওয়াটসন, ডিএনএ–এর গঠন আবিষ্কারের প্রধান তিন বিজ্ঞানীর একজন, ২০২৫ সালের ৬ নভেম্বর ৯৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তার আবিষ্কার আধুনিক জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। নিচে তার অসাধারণ জীবন, গবেষণা, বিতর্ক ও উত্তরাধিকারের একটি স্পষ্ট ও পুনর্লিখিত বাংলা বিবরণ উপস্থাপন করা হলো।


জেমস ওয়াটসনের আবিষ্কারের সূচনা

১৯৫১ সালে ইতালির নেপলসে একটি বক্তৃতার সময় কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রদর্শিত এক্স-রে ডিফ্র্যাকশন ছবিই ওয়াটসনের জীবনে মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ছবিটি দেখায় ডিএনএ অণুতে একটি পুনরাবৃত্ত নকশা রয়েছে। সে সময় তিনি কেমব্রিজের ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবরেটরিতে কাজ শুরু করতে যাচ্ছিলেন, যেখানে তার সঙ্গী ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিক। তারা দু’জনই ডিএনএ–এর গঠন নিয়ে গভীর অনুসন্ধানে ডুবে ছিলেন এবং এই ছবিটি তাদের গবেষণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

ওয়াটসন বক্তৃতা শেষে মরিস উইলকিন্সের পেছনে ছুটে যান ছবিটির বিষয়ে আরও জানার জন্য। উইলকিন্স, ক্রিক এবং ওয়াটসন—তিনজনই ডিএনএ–এর গঠন আবিষ্কারের প্রতিযোগিতায় ছিলেন। অন্যদিকে, ক্যালটেকের বিখ্যাত বিজ্ঞানী লাইনাস পাউলিংও একই আবিষ্কারের খুব কাছে পৌঁছে যাচ্ছিলেন।


ডাবল হেলিক্স আবিষ্কারের দৌড়

অবশেষে ১৯৫৩ সালে ওয়াটসন ও ক্রিক ডিএনএ–এর দ্বি-সর্পিল (ডাবল হেলিক্স) গঠন প্রকাশ করেন। তারা দেখান যে অণুটি দুটি পাকানো সুগার-ফসফেট চেইন নিয়ে তৈরি, যার মধ্যে অ্যাডেনিন-থাইমিন ও গুয়ানিন-সাইটোসিন জোড়া বেস থাকে। এই জোড়া গঠনের মাধ্যমেই জিনগত তথ্য কপি হওয়ার পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা যায়—যা জীবনের মৌলিক প্রক্রিয়া।

তাদের গবেষণা ছিল কঠোর পরিশ্রম, মানসিক চাপ ও তাড়াহুড়োর ফল। তবে এতে ছিল ‘অসৌজন্যতার’ অভিযোগও—বিশেষত রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিনের অনুমতি না নিয়ে তার তোলা এক্স-রে ছবি দেখার অনুরোধ করা। ওয়াটসন পরবর্তীতে স্বীকার করেন যে ফ্র্যাঙ্কলিনের বিজ্ঞান ছিল অসাধারণ, যদিও জীবদ্দশায় তাকে যথাযথ স্বীকৃতি তিনি দেননি।

১৯৬২ সালে ওয়াটসন, ক্রিক ও উইলকিন্স নোবেল পুরস্কার পান।


একজন বিজ্ঞানীর ব্যক্তিগত যাত্রা

শিকাগোতে বড় হওয়া ওয়াটসন প্রথমে পাখি দেখতেই ভালোবাসতেন। পরে আরভিন শ্রোডিঙ্গারের ‘হোয়াট ইজ লাইফ?’ বইটি পড়ে তার মন জিনবিজ্ঞানের প্রতি ঝুঁকে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি শিখেছিলেন—সাহসী ধারণা বিজ্ঞানকে এগিয়ে দেয়, ভয় না পেয়ে ভুলকে ভুল বলা দরকার, অগ্রসর চিন্তাধারাই আপনাকে এগিয়ে রাখে।

ক্রিকের সঙ্গে তার কাজের সম্পর্ক ছিল উচ্ছ্বাস, তর্ক ও নতুন ধারণার সংঘর্ষে পূর্ণ। গবেষণার পাশাপাশি তিনি কেমব্রিজের ঠান্ডা আবহাওয়ায় টেনিস খেলতেও ভালোবাসতেন।


আমেরিকায় গবেষণা ও নেতৃত্ব

ডাবল হেলিক্স আবিষ্কারের পর তার বেশির ভাগ কাজ যুক্তরাষ্ট্রেই হয়। তিনি নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিকে নতুনভাবে গড়ে তোলেন এবং হার্ভার্ডে মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন (১৯৬১–১৯৭৬)। তার নেতৃত্বে এই গবেষণাগারগুলো ক্যানসার, মানসিক অসুস্থতা ও জেনেটিক গবেষণায় বিশ্বে অগ্রগামী হয়ে ওঠে।

তার দ্বিতীয় ছেলে রুফাস স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর মানসিক রোগসংক্রান্ত গবেষণা তার কাছে ব্যক্তিগত হয়ে ওঠে।


মানব জিনোম প্রকল্পে ভূমিকা

১৯৮৬ সালে শুরু হওয়া মানব জিনোম মানচিত্র তৈরির উদ্যোগ তিনি নেতৃত্ব দেন। তিনি ছিলেন প্রকল্পের প্রথম পরিচালক। ২০০৭ সালে তিনি নিজের জিনোম তথ্য উন্মুক্তভাবে অনলাইনে প্রকাশ করেন—এটি ছিল তার বিশ্বাসের প্রতিফলন যে মানব জিন কখনোই পেটেন্ট হওয়া উচিত নয়।


বিতর্ক, সমালোচনা ও পতন

১৯৬৮ সালে প্রকাশিত তার বই ‘দ্য ডাবল হেলিক্স’ থেকেই তার বিতর্কিত মন্তব্য ও কটাক্ষপূর্ণ ভাষার জন্য সমালোচনা শুরু হয়। তিনি বিভিন্ন সময়ে সহকর্মী, নারী, সমকামী মানুষ, স্থূলকায় ব্যক্তি ও কৃষ্ণাঙ্গদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তার বৈষম্যমূলক বক্তব্য বারবার ক্ষোভের জন্ম দেয় এবং অবশেষে তার সম্মানসূচক পদগুলো বাতিল করা হয়।

তার মতে, বিজ্ঞান যাকে এত সম্মান দিয়েছিল, শেষে সেই সমাজই তাকে পরিত্যাগ করেছে। ক্ষোভে তিনি ২০১৪ সালে তার নোবেল মেডেল বিক্রি করে দেন—যদিও ক্রেতা তা ফেরত দেন।


যদিও জীবনের শেষ বছরগুলোতে তিনি তীব্র বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন, তবুও তার আবিষ্কার পৃথিবীর বিজ্ঞানকে মূলত বদলে দিয়েছে। ডিএনএ–এর দ্বি-সর্পিল গঠন আজও জীববিজ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু, এবং জিনতত্ত্ব, চিকিৎসা, ক্যানসার গবেষণা, বায়োটেক—সব ক্ষেত্রেই তার অবদান চিরস্থায়ী।

ওয়াটসনের নোবেল মেডেল শেষ পর্যন্ত তার অবসরজীবনকে সহায়তা করেছিল। এভাবেই বিজ্ঞানীর বিতর্কিত কিন্তু যুগান্তকারী জীবনযাত্রার সমাপ্তি ঘটে।


#বিজ্ঞান, #ইতিহাস, #জীববিজ্ঞান, #নোবেল, #ডিএনএ, #গবেষণা

জনপ্রিয় সংবাদ

ফিলিপস কালেকশনের মাস্টারপিস বিক্রি নিয়ে তীব্র বিতর্ক

জেমস ওয়াটসন: ডাবল হেলিক্স–এর সহ-আবিষ্কারকের জীবনাবসান

১২:০৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

জেমস ওয়াটসন, ডিএনএ–এর গঠন আবিষ্কারের প্রধান তিন বিজ্ঞানীর একজন, ২০২৫ সালের ৬ নভেম্বর ৯৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তার আবিষ্কার আধুনিক জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। নিচে তার অসাধারণ জীবন, গবেষণা, বিতর্ক ও উত্তরাধিকারের একটি স্পষ্ট ও পুনর্লিখিত বাংলা বিবরণ উপস্থাপন করা হলো।


জেমস ওয়াটসনের আবিষ্কারের সূচনা

১৯৫১ সালে ইতালির নেপলসে একটি বক্তৃতার সময় কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রদর্শিত এক্স-রে ডিফ্র্যাকশন ছবিই ওয়াটসনের জীবনে মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ছবিটি দেখায় ডিএনএ অণুতে একটি পুনরাবৃত্ত নকশা রয়েছে। সে সময় তিনি কেমব্রিজের ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবরেটরিতে কাজ শুরু করতে যাচ্ছিলেন, যেখানে তার সঙ্গী ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিক। তারা দু’জনই ডিএনএ–এর গঠন নিয়ে গভীর অনুসন্ধানে ডুবে ছিলেন এবং এই ছবিটি তাদের গবেষণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

ওয়াটসন বক্তৃতা শেষে মরিস উইলকিন্সের পেছনে ছুটে যান ছবিটির বিষয়ে আরও জানার জন্য। উইলকিন্স, ক্রিক এবং ওয়াটসন—তিনজনই ডিএনএ–এর গঠন আবিষ্কারের প্রতিযোগিতায় ছিলেন। অন্যদিকে, ক্যালটেকের বিখ্যাত বিজ্ঞানী লাইনাস পাউলিংও একই আবিষ্কারের খুব কাছে পৌঁছে যাচ্ছিলেন।


ডাবল হেলিক্স আবিষ্কারের দৌড়

অবশেষে ১৯৫৩ সালে ওয়াটসন ও ক্রিক ডিএনএ–এর দ্বি-সর্পিল (ডাবল হেলিক্স) গঠন প্রকাশ করেন। তারা দেখান যে অণুটি দুটি পাকানো সুগার-ফসফেট চেইন নিয়ে তৈরি, যার মধ্যে অ্যাডেনিন-থাইমিন ও গুয়ানিন-সাইটোসিন জোড়া বেস থাকে। এই জোড়া গঠনের মাধ্যমেই জিনগত তথ্য কপি হওয়ার পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা যায়—যা জীবনের মৌলিক প্রক্রিয়া।

তাদের গবেষণা ছিল কঠোর পরিশ্রম, মানসিক চাপ ও তাড়াহুড়োর ফল। তবে এতে ছিল ‘অসৌজন্যতার’ অভিযোগও—বিশেষত রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিনের অনুমতি না নিয়ে তার তোলা এক্স-রে ছবি দেখার অনুরোধ করা। ওয়াটসন পরবর্তীতে স্বীকার করেন যে ফ্র্যাঙ্কলিনের বিজ্ঞান ছিল অসাধারণ, যদিও জীবদ্দশায় তাকে যথাযথ স্বীকৃতি তিনি দেননি।

১৯৬২ সালে ওয়াটসন, ক্রিক ও উইলকিন্স নোবেল পুরস্কার পান।


একজন বিজ্ঞানীর ব্যক্তিগত যাত্রা

শিকাগোতে বড় হওয়া ওয়াটসন প্রথমে পাখি দেখতেই ভালোবাসতেন। পরে আরভিন শ্রোডিঙ্গারের ‘হোয়াট ইজ লাইফ?’ বইটি পড়ে তার মন জিনবিজ্ঞানের প্রতি ঝুঁকে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি শিখেছিলেন—সাহসী ধারণা বিজ্ঞানকে এগিয়ে দেয়, ভয় না পেয়ে ভুলকে ভুল বলা দরকার, অগ্রসর চিন্তাধারাই আপনাকে এগিয়ে রাখে।

ক্রিকের সঙ্গে তার কাজের সম্পর্ক ছিল উচ্ছ্বাস, তর্ক ও নতুন ধারণার সংঘর্ষে পূর্ণ। গবেষণার পাশাপাশি তিনি কেমব্রিজের ঠান্ডা আবহাওয়ায় টেনিস খেলতেও ভালোবাসতেন।


আমেরিকায় গবেষণা ও নেতৃত্ব

ডাবল হেলিক্স আবিষ্কারের পর তার বেশির ভাগ কাজ যুক্তরাষ্ট্রেই হয়। তিনি নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিকে নতুনভাবে গড়ে তোলেন এবং হার্ভার্ডে মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন (১৯৬১–১৯৭৬)। তার নেতৃত্বে এই গবেষণাগারগুলো ক্যানসার, মানসিক অসুস্থতা ও জেনেটিক গবেষণায় বিশ্বে অগ্রগামী হয়ে ওঠে।

তার দ্বিতীয় ছেলে রুফাস স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর মানসিক রোগসংক্রান্ত গবেষণা তার কাছে ব্যক্তিগত হয়ে ওঠে।


মানব জিনোম প্রকল্পে ভূমিকা

১৯৮৬ সালে শুরু হওয়া মানব জিনোম মানচিত্র তৈরির উদ্যোগ তিনি নেতৃত্ব দেন। তিনি ছিলেন প্রকল্পের প্রথম পরিচালক। ২০০৭ সালে তিনি নিজের জিনোম তথ্য উন্মুক্তভাবে অনলাইনে প্রকাশ করেন—এটি ছিল তার বিশ্বাসের প্রতিফলন যে মানব জিন কখনোই পেটেন্ট হওয়া উচিত নয়।


বিতর্ক, সমালোচনা ও পতন

১৯৬৮ সালে প্রকাশিত তার বই ‘দ্য ডাবল হেলিক্স’ থেকেই তার বিতর্কিত মন্তব্য ও কটাক্ষপূর্ণ ভাষার জন্য সমালোচনা শুরু হয়। তিনি বিভিন্ন সময়ে সহকর্মী, নারী, সমকামী মানুষ, স্থূলকায় ব্যক্তি ও কৃষ্ণাঙ্গদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তার বৈষম্যমূলক বক্তব্য বারবার ক্ষোভের জন্ম দেয় এবং অবশেষে তার সম্মানসূচক পদগুলো বাতিল করা হয়।

তার মতে, বিজ্ঞান যাকে এত সম্মান দিয়েছিল, শেষে সেই সমাজই তাকে পরিত্যাগ করেছে। ক্ষোভে তিনি ২০১৪ সালে তার নোবেল মেডেল বিক্রি করে দেন—যদিও ক্রেতা তা ফেরত দেন।


যদিও জীবনের শেষ বছরগুলোতে তিনি তীব্র বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন, তবুও তার আবিষ্কার পৃথিবীর বিজ্ঞানকে মূলত বদলে দিয়েছে। ডিএনএ–এর দ্বি-সর্পিল গঠন আজও জীববিজ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু, এবং জিনতত্ত্ব, চিকিৎসা, ক্যানসার গবেষণা, বায়োটেক—সব ক্ষেত্রেই তার অবদান চিরস্থায়ী।

ওয়াটসনের নোবেল মেডেল শেষ পর্যন্ত তার অবসরজীবনকে সহায়তা করেছিল। এভাবেই বিজ্ঞানীর বিতর্কিত কিন্তু যুগান্তকারী জীবনযাত্রার সমাপ্তি ঘটে।


#বিজ্ঞান, #ইতিহাস, #জীববিজ্ঞান, #নোবেল, #ডিএনএ, #গবেষণা