আইএসএসের বাইরে কঠোর পরীক্ষায় টিকে থাকা জীবন
জাপানি গবেষকেরা দেখিয়েছেন—শৈবালের বীজকণা বা স্পোর দীর্ঘ সময় মহাকাশের বিকিরণ, তাপমাত্রার ওঠানামা ও প্রায় সম্পূর্ণ শূন্যতার মধ্যেও বেঁচে থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বাইরের স্তরে কয়েক মাস অবস্থানের পর পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হলে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্পোর আবার অঙ্কুরোদগম করতে পেরেছে। এ আবিষ্কার উদ্ভিদের সহনশীলতা সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাকে পরিবর্তন করছে।
প্যানস্পারমিয়া বিতর্কে নতুন মাত্রা
ল্যাব পরীক্ষায় দেখা গেছে, স্পোরগুলোর ডিএনএ–তে ক্ষতির চিহ্ন থাকলেও তারা সময় পেলে নিজে থেকেই তা আংশিক মেরামত করতে সক্ষম। গবেষকদের মতে, এই ফলাফল ভবিষ্যতের চন্দ্র বা মঙ্গল মিশনে উদ্ভিদভিত্তিক লাইফ-সাপোর্ট সিস্টেমের পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি “জীবন কি গ্রহ থেকে গ্রহে ছড়াতে পারে”—এই প্রশ্নে বৈজ্ঞানিক আলোচনা নতুন গতি পেয়েছে।
সাধারণ মানুষের কাছে চিত্রটি আরও নাটকীয়—মহাকাশের কিনারে ছোট্ট সবুজ স্পোর নিজেকে বাঁচিয়ে রেখে আবার পৃথিবীতে ফিরে নতুন প্রাণের জন্ম দিচ্ছে। এটি দেখায়, পরিচিত জীবও মহাকাশে আচরণ করতে পারে একেবারে ভিন্নভাবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















