০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার দুই লকার ভেঙে মিলল ৮৩২ ভরি স্বর্ণ

সমকালের একটি শিরোনাম “অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার দুই লকার ভেঙে মিলল ৮৩২ ভরি স্বর্ণ”

অগ্রণী ব্যাংকে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকার ভেঙে ৮৩২ ভরি স্বর্ণ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর দিলকুশায় অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় থাকা লকার দুটি ভাঙা হয়। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) লকার দুটি জব্দ করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আদালতের অনুমতি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিনিধি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সিআইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে লকার দুটি ভাঙা হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুটি লকারে মোট ৮৩২ ভরি স্বর্ণ মিলেছে। তবে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস থাকতে পারে। বুধবার হয়তো দুদক বিস্তারিত জানাতে পারে।

জানা গেছে, অগ্রণী ব্যাংকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই দুটি লকার ছিল, যার নম্বর ৭৫১ ও ৭৫৩। এ ছাড়া গত ১০ সেপ্টেম্বর পূবালী ব্যাংকে তাঁর একটি লকার জব্দ করা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত এই করপোরেট শাখায় তাঁর লকার নম্বর ১২৮। এর বাইরে পূবালী ব্যাংকের ওই শাখায় শেখ হাসিনার দুটি ব্যাংক হিসাবে ৫৬ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি হিসাবে ১২ লাখ টাকা এফডিআর এবং অপর হিসাবে ৪৪ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এসব হিসাবও জব্দ করে এনবিআর।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”কিশোরগঞ্জ: আ.লীগের ঘাঁটিতে নজর বিএনপির”

একসময় আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জে এবার ভোটের মাঠের চিত্র একেবারেই আলাদা। জুলাই অভ্যুত্থানের পর দলটির আগের সেই আধিপত্য আর নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এবার জেলায় ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিএনপি। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। ইসলামী আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদও তৎপর রয়েছে।

১৯৯১ সালে জেলার সাতটি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে বড় ব্যবধানে জয় পায় বিএনপি। বাকি দুটি যায় আওয়ামী লীগের ঘরে। তবে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জেলায় দুটি করে আসন পায় বিএনপি। ২০০৮ সালের পর পরিবর্তিত বাস্তবতায় সব কটি আসনই ছিল আওয়ামী লীগের দখলে। তবে ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর বদলে গেছে আগের সব সমীকরণ। আগে জেলায় সাতটি আসন থাকলে পরে একটি কমিয়ে ছয়টিতে নামিয়ে আনা হয়। এর মধ্যে এবার চারটিতে সম্ভাব্য প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে সব কটিতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে জামায়াত।

সদর-হোসেনপুর নিয়ে গঠিত আসনটিতে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা শাখার সাবেক নায়েবে আমির মোসাদ্দেক ভূঁইয়া। দীর্ঘদিন থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বিএনপি এখনো এখানে প্রাথমিক মনোনয়ন চূড়ান্ত না করায় প্রচারে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন তিনি। আসনটিতে সাবেক এমপি মো. মাসুদ হিলালীসহ বিএনপির অন্তত আটজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর নাম শোনা যাচ্ছে। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল হোসাইন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল। জেলা বিএনপির সহসভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, ব্যারিস্টার এম আতিকুর রহমান এবং হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মবিনও আলোচনায় রয়েছেন।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বাপেক্সের গ্যাস সরবরাহ গত দেড় বছরে কমেছে ৩৩ শতাংশের বেশি”

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) গত বছর আগস্টের শুরুতে গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করেছিল ১২১ মিলিয়ন ঘনফুট। গতকাল তা ৮১ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে আসে। এ হিসাব বিবেচনায় নিলে ১৬ মাসের ব্যবধানে গ্রিডে সংস্থাটির গ্যাস সরবরাহ কমেছে ৩৩ শতাংশের বেশি। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর স্থানীয় গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধিতে বাপেক্সকে সর্বাত্মক ব্যবহারসহ অর্থায়ন, কূপ খননে যন্ত্রাংশ ক্রয়ের মতো বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার কথা বলা হলেও গ্রিডে সংস্থাটির গ্যাসের সরবরাহ ক্রমবর্ধমান হারে কমছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে বাপেক্সকে বসিয়ে রাখার অভিযোগ ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাপেক্সকে আধুনিকায়ন, গ্যাস উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সুবিধা ও বিনিয়োগসহ সংস্থাটির বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু তা কূপ খনন, গতানুগতিক বিনিয়োগ ও রিগ আধুনিকায়ন ও ক্রয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। যদিও অনেক বেশি প্রয়োজন ছিল সংস্থাটির কারিগরি দক্ষতা, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও বড় বিনিয়োগসহ সামগ্রিক উন্নয়ন। তবে পেট্রোবাংলা ও বাপেক্স কর্মকর্তাদের দাবি, সংস্থাটির গ্যাস উৎপাদন কমেনি, বরং আরো গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা থাকলেও অবকাঠামো জটিলতায় তা করা যাচ্ছে না।

দেশে তেল-গ্যাস উত্তোলন ও জরিপকাজে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিসেবে কাজ করছে বাপেক্স। এসব কাজে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না দেয়ার অভিযোগ ছিল বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরও বাপেক্স যে আর্থিকভাবে বড় বিনিয়োগ পেয়েছে তেমনটা মনে করেন না বিশেষজ্ঞরা। চলতি অর্থবছরে গ্যাসকূপ খনন ও উন্নয়ন কার্যক্রমে তিনটি প্রকল্পের আওতায় এডিপিতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৪১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। যদিও এ তিন প্রকল্পে সরকার মোট ব্যয়ের প্রাক্কলন করেছে ১ হাজার ৯৬৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এদিকে বাপেক্সসহ দেশে কার্যক্রম চালানো সব কোম্পানির আওতায় গ্যাসের সরবরাহ কমে যাচ্ছে। মজুদ আবিষ্কার না হওয়ায় এলএনজি আমদানিও বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যার অংশ হিসেবে চলতি অর্থবছরে প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার এলএনজি ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পেট্রোবাংলা।

বাপেক্সের নিজস্ব গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি না পাওয়ার পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সংস্থাটিকে অন্য কোম্পানির কূপ খননকাজেও ব্যস্ত রাখা হয়েছে। এছাড়া জরিপকাজসহ সরবরাহ কার্যক্রমের আওতা বেশি হওয়ায় নিজস্ব গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিতে পারছে না বাপেক্স। বিগত সরকারের আমলে নেয়া ১০০ কূপ খনন পরিকল্পনায় বাপেক্সকে বড় পরিসরে যুক্ত করা হয়েছে। উচ্চাভিলাষী এ পরিকল্পনার আদৌ কোনো যৌক্তিকতা রয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “বিশ্বব্যাংক কেন বলছে ৬ কোটি মানুষ দারিদ্র্য ঝুঁকিতে”

বাংলাদেশের প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ-অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যেকোনো অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ের মুখে পড়লে আবারো দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য ও বৈষম্য মূল্যায়ন ২০২৫’ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ২০১০ থেকে ২০২২ সাল এই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে দারিদ্র্য হ্রাস করেছে। ফলে দুই কোটি ২০ লাখ মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। এ ছাড়া ৯০ লাখ মানুষ অতি দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। তাদের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, পয়ঃনিষ্কাশনের মতো জরুরি সেবাগুলো পাওয়া সহজ হয়েছে। তবে ২০১৬ সাল থেকে দারিদ্র্য কমার গতি ধীর হয়েছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও কম অন্তর্ভুক্তিমূলক হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত চরম দারিদ্র্য ১২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ এবং মাঝারি দারিদ্র্য ৩৭ দশমিক এক শতাংশ থেকে কমে ১৮ দশমিক সাত শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের পর থেকে তুলনামূলকভাবে কম অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিপথ বদলে গেছে। দেখা গেছে, প্রবৃদ্ধির সুফল পেয়েছেন ধনী মানুষেরা, ফলে আয়বৈষম্য বেড়েছে। কৃষির ওপর ভর করে গ্রামীণ এলাকাগুলো দারিদ্র্য হ্রাসে নেতৃত্বের ভূমিকায় চলে গেছে। একই সময়ে শহরে দারিদ্র্য হ্রাসের হার কমেছে। ২০২২ সালের মধ্যে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি শহরে বাস করতে শুরু করেছেন।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের বিভাগীয় পরিচালক জাঁ পেম বলেন, বহু বছর ধরে বাংলাদেশ দারিদ্র্য হ্রাসে সাফল্যের জন্য পরিচিত। কিন্তু পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট, জলবায়ু ঝুঁঁকি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির গতি কমে যাওয়ায় শ্রম আয়ও কমেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথাগতভাবে দারিদ্র্য হ্রাসের গতি বাড়ানো যাবে না। দারিদ্র্য কমানো এবং মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো- কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিশেষ করে যুবক, নারী এবং ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য কাজের ব্যবস্থা করা। অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে চাইলে সবচেয়ে জরুরি হবে দরিদ্রবান্ধব, জলবায়ু সহিষ্ণু এবং কর্মসংস্থানকেন্দ্রিক কৌশল নেয়া।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার দুই লকার ভেঙে মিলল ৮৩২ ভরি স্বর্ণ

০৭:২৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার দুই লকার ভেঙে মিলল ৮৩২ ভরি স্বর্ণ”

অগ্রণী ব্যাংকে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকার ভেঙে ৮৩২ ভরি স্বর্ণ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর দিলকুশায় অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় থাকা লকার দুটি ভাঙা হয়। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) লকার দুটি জব্দ করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আদালতের অনুমতি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিনিধি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সিআইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে লকার দুটি ভাঙা হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুটি লকারে মোট ৮৩২ ভরি স্বর্ণ মিলেছে। তবে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস থাকতে পারে। বুধবার হয়তো দুদক বিস্তারিত জানাতে পারে।

জানা গেছে, অগ্রণী ব্যাংকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই দুটি লকার ছিল, যার নম্বর ৭৫১ ও ৭৫৩। এ ছাড়া গত ১০ সেপ্টেম্বর পূবালী ব্যাংকে তাঁর একটি লকার জব্দ করা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত এই করপোরেট শাখায় তাঁর লকার নম্বর ১২৮। এর বাইরে পূবালী ব্যাংকের ওই শাখায় শেখ হাসিনার দুটি ব্যাংক হিসাবে ৫৬ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি হিসাবে ১২ লাখ টাকা এফডিআর এবং অপর হিসাবে ৪৪ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এসব হিসাবও জব্দ করে এনবিআর।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”কিশোরগঞ্জ: আ.লীগের ঘাঁটিতে নজর বিএনপির”

একসময় আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জে এবার ভোটের মাঠের চিত্র একেবারেই আলাদা। জুলাই অভ্যুত্থানের পর দলটির আগের সেই আধিপত্য আর নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এবার জেলায় ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিএনপি। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। ইসলামী আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদও তৎপর রয়েছে।

১৯৯১ সালে জেলার সাতটি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে বড় ব্যবধানে জয় পায় বিএনপি। বাকি দুটি যায় আওয়ামী লীগের ঘরে। তবে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জেলায় দুটি করে আসন পায় বিএনপি। ২০০৮ সালের পর পরিবর্তিত বাস্তবতায় সব কটি আসনই ছিল আওয়ামী লীগের দখলে। তবে ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর বদলে গেছে আগের সব সমীকরণ। আগে জেলায় সাতটি আসন থাকলে পরে একটি কমিয়ে ছয়টিতে নামিয়ে আনা হয়। এর মধ্যে এবার চারটিতে সম্ভাব্য প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে সব কটিতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে জামায়াত।

সদর-হোসেনপুর নিয়ে গঠিত আসনটিতে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা শাখার সাবেক নায়েবে আমির মোসাদ্দেক ভূঁইয়া। দীর্ঘদিন থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বিএনপি এখনো এখানে প্রাথমিক মনোনয়ন চূড়ান্ত না করায় প্রচারে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন তিনি। আসনটিতে সাবেক এমপি মো. মাসুদ হিলালীসহ বিএনপির অন্তত আটজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর নাম শোনা যাচ্ছে। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল হোসাইন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল। জেলা বিএনপির সহসভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, ব্যারিস্টার এম আতিকুর রহমান এবং হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মবিনও আলোচনায় রয়েছেন।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বাপেক্সের গ্যাস সরবরাহ গত দেড় বছরে কমেছে ৩৩ শতাংশের বেশি”

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) গত বছর আগস্টের শুরুতে গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করেছিল ১২১ মিলিয়ন ঘনফুট। গতকাল তা ৮১ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে আসে। এ হিসাব বিবেচনায় নিলে ১৬ মাসের ব্যবধানে গ্রিডে সংস্থাটির গ্যাস সরবরাহ কমেছে ৩৩ শতাংশের বেশি। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর স্থানীয় গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধিতে বাপেক্সকে সর্বাত্মক ব্যবহারসহ অর্থায়ন, কূপ খননে যন্ত্রাংশ ক্রয়ের মতো বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার কথা বলা হলেও গ্রিডে সংস্থাটির গ্যাসের সরবরাহ ক্রমবর্ধমান হারে কমছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে বাপেক্সকে বসিয়ে রাখার অভিযোগ ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাপেক্সকে আধুনিকায়ন, গ্যাস উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সুবিধা ও বিনিয়োগসহ সংস্থাটির বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু তা কূপ খনন, গতানুগতিক বিনিয়োগ ও রিগ আধুনিকায়ন ও ক্রয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। যদিও অনেক বেশি প্রয়োজন ছিল সংস্থাটির কারিগরি দক্ষতা, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও বড় বিনিয়োগসহ সামগ্রিক উন্নয়ন। তবে পেট্রোবাংলা ও বাপেক্স কর্মকর্তাদের দাবি, সংস্থাটির গ্যাস উৎপাদন কমেনি, বরং আরো গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা থাকলেও অবকাঠামো জটিলতায় তা করা যাচ্ছে না।

দেশে তেল-গ্যাস উত্তোলন ও জরিপকাজে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিসেবে কাজ করছে বাপেক্স। এসব কাজে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না দেয়ার অভিযোগ ছিল বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরও বাপেক্স যে আর্থিকভাবে বড় বিনিয়োগ পেয়েছে তেমনটা মনে করেন না বিশেষজ্ঞরা। চলতি অর্থবছরে গ্যাসকূপ খনন ও উন্নয়ন কার্যক্রমে তিনটি প্রকল্পের আওতায় এডিপিতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৪১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। যদিও এ তিন প্রকল্পে সরকার মোট ব্যয়ের প্রাক্কলন করেছে ১ হাজার ৯৬৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এদিকে বাপেক্সসহ দেশে কার্যক্রম চালানো সব কোম্পানির আওতায় গ্যাসের সরবরাহ কমে যাচ্ছে। মজুদ আবিষ্কার না হওয়ায় এলএনজি আমদানিও বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যার অংশ হিসেবে চলতি অর্থবছরে প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার এলএনজি ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পেট্রোবাংলা।

বাপেক্সের নিজস্ব গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি না পাওয়ার পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সংস্থাটিকে অন্য কোম্পানির কূপ খননকাজেও ব্যস্ত রাখা হয়েছে। এছাড়া জরিপকাজসহ সরবরাহ কার্যক্রমের আওতা বেশি হওয়ায় নিজস্ব গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিতে পারছে না বাপেক্স। বিগত সরকারের আমলে নেয়া ১০০ কূপ খনন পরিকল্পনায় বাপেক্সকে বড় পরিসরে যুক্ত করা হয়েছে। উচ্চাভিলাষী এ পরিকল্পনার আদৌ কোনো যৌক্তিকতা রয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “বিশ্বব্যাংক কেন বলছে ৬ কোটি মানুষ দারিদ্র্য ঝুঁকিতে”

বাংলাদেশের প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ-অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যেকোনো অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ের মুখে পড়লে আবারো দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য ও বৈষম্য মূল্যায়ন ২০২৫’ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ২০১০ থেকে ২০২২ সাল এই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে দারিদ্র্য হ্রাস করেছে। ফলে দুই কোটি ২০ লাখ মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। এ ছাড়া ৯০ লাখ মানুষ অতি দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। তাদের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, পয়ঃনিষ্কাশনের মতো জরুরি সেবাগুলো পাওয়া সহজ হয়েছে। তবে ২০১৬ সাল থেকে দারিদ্র্য কমার গতি ধীর হয়েছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও কম অন্তর্ভুক্তিমূলক হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত চরম দারিদ্র্য ১২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ এবং মাঝারি দারিদ্র্য ৩৭ দশমিক এক শতাংশ থেকে কমে ১৮ দশমিক সাত শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের পর থেকে তুলনামূলকভাবে কম অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিপথ বদলে গেছে। দেখা গেছে, প্রবৃদ্ধির সুফল পেয়েছেন ধনী মানুষেরা, ফলে আয়বৈষম্য বেড়েছে। কৃষির ওপর ভর করে গ্রামীণ এলাকাগুলো দারিদ্র্য হ্রাসে নেতৃত্বের ভূমিকায় চলে গেছে। একই সময়ে শহরে দারিদ্র্য হ্রাসের হার কমেছে। ২০২২ সালের মধ্যে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি শহরে বাস করতে শুরু করেছেন।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের বিভাগীয় পরিচালক জাঁ পেম বলেন, বহু বছর ধরে বাংলাদেশ দারিদ্র্য হ্রাসে সাফল্যের জন্য পরিচিত। কিন্তু পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট, জলবায়ু ঝুঁঁকি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির গতি কমে যাওয়ায় শ্রম আয়ও কমেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথাগতভাবে দারিদ্র্য হ্রাসের গতি বাড়ানো যাবে না। দারিদ্র্য কমানো এবং মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো- কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিশেষ করে যুবক, নারী এবং ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য কাজের ব্যবস্থা করা। অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে চাইলে সবচেয়ে জরুরি হবে দরিদ্রবান্ধব, জলবায়ু সহিষ্ণু এবং কর্মসংস্থানকেন্দ্রিক কৌশল নেয়া।