মাউন্ট পোকোনো, পেনসিলভানিয়া—
অর্থনৈতিক সাফল্যের দাবিতে নিজের অবস্থান শক্ত করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাউন্ট পোকোনোতে সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তবে এই পর্যটননির্ভর অঞ্চলে ভোটারদের ধৈর্য এখনো টানটান। ২০২৪ সালে ট্রাম্পকে সমর্থন দেওয়া শ্রমজীবী ভোটারদের বড় একটি অংশ এখনো উচ্চ দামের চাপে হতাশ।
ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ও ভোটারদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
মঙ্গলবার রাতে এক উচ্ছ্বসিত সমাবেশে ট্রাম্প ট্যাক্স ছাড়, ওভারটাইম সুবিধা এবং টিপসের ওপর কর কমানোর পরিকল্পনা তুলে ধরে ডেমোক্র্যাটদের ওপর উচ্চমূল্যের দায় চাপান। তাঁর সমর্থকরা বলছেন, দীর্ঘদিনের মূল্যবৃদ্ধি সামাল দিতে সময় লাগবে। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, মূল্যযুদ্ধ প্রশমনে তিনি যথেষ্ট দ্রুত নন।
স্থানীয় রিপাবলিকান মেয়র র্যান্ডি আল্টেমোজ বলেন, “খরচ কখনো কমে না। তবে আগের প্রশাসনের অতিরিক্ত তদারকির কারণেই জ্বালানি খাত চাপে পড়েছিল।”
তিনি আরও জানান, “একদিনে কিছু বদলায় না। বহু বছর ধরে মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা খেতে খেতে মানুষ শেষ পর্যন্ত পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে।”
বাড়তি মূল্য, কমছে আস্থা
মোনরো কাউন্টিতে ২০২৪ সালে ৬৬৯ ভোটে জেতেন ট্রাম্প—দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোনো রিপাবলিকান প্রার্থী এখানে জয় পান।
কিন্তু মহামারির পর এলাকাটিতে অভিবাসী ও নতুন বাসিন্দার ঢল স্থানীয় অর্থনীতিকে বদলে দিয়েছে। বাড়ির দাম ২০১৯ সাল থেকে প্রায় দ্বিগুণ। কৃষক এবং ছোট ব্যবসার মালিকদের মতে, কর্মী ধরে রাখা এবং উৎপাদন খরচ সামাল দেওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে।

অ্যাপল রিজ ফার্মের মালিক ব্রায়ান ব্রুনো বলেন, “উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে, আর গ্রাহকের অনিশ্চয়তা বিক্রিতে প্রভাব ফেলছে।” তিনি ২০২৪ সালে কামালা হ্যারিসকে ভোট দিয়েছিলেন।
জরিপে ট্রাম্পের সংকট
ফ্র্যাঙ্কলিন অ্যান্ড মার্শাল কলেজের অক্টোবর জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৩১% ভোটার মনে করেন ট্রাম্প মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ‘চমৎকার’ বা ‘ভালো’ কাজ করছেন। সামগ্রিকভাবে ৫৮% তাঁর কাজকে ‘মোটামুটি’ বা ‘খারাপ’ হিসেবে দেখছেন।
গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক বেরউড ইয়োস্ট বলেন, “মানুষ আর্থিক অবস্থায় অসন্তুষ্ট—এ কারণেই ট্রাম্পের সমর্থন কমছে।”
সমর্থকদের আশা—বিরোধীদের হতাশা
জ্যাকি স্কারসেলা ও জ্যাকি ডালমাস—দুজনই রিপাবলিকান—বলছেন, তাঁরা এখনো ট্রাম্পকে সময় দিতে চান। বাজারদর বাড়লেও অভিযোগের তীর তাঁরা ডেমোক্র্যাট প্রশাসনের দিকে তাক করছেন।
ডালমাস বলেন, “আমরা আশা করছি দ্রুতই পরিস্থিতি বদলাবে। আমরা তাঁর ওপরই ভরসা করছি।”
অন্যদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ী মার্ক লেমপারলে উদ্বিগ্ন হীরার ওপর আরোপিত শুল্ক নিয়ে, যা তাঁর জুয়েলারি ব্যবসায় প্রভাব ফেলতে পারে।

“অর্থনীতির চাপ মানুষের ধৈর্য শেষ করে দিচ্ছে”
ট্রাম্পের সফরের প্রতিবাদে ১০০-এর বেশি মানুষ বিক্ষোভ করেন। স্থানীয় ডেমোক্র্যাট নেতা আলফ্রেড জনসন বলেন, “ট্রাম্পের নানান নীতি আমাদের গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।”
তাঁর সংগঠন মার্চে মাত্র ৮ জন থেকে এখন ১,৪০০ জনে উন্নীত হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন—“আমরা কী চাই? সাশ্রয়ী জীবনযাপন। কখন চাই? এখনই!”
#TrumpEconomy #PennsylvaniaPolitics #USPolitics2025 #MountPocono #InflationCrisis #AmericanVoters #TrumpRally #EconomicPressure #CostOfLiving #SarkahonReport
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















