ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী হিসেবে পরিচিত শিক্ষক এ কে এম জামাল উদ্দিন ডাকসুর এক নেতাসহ শিক্ষার্থীদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জ থেকে বের হওয়ার পরই তাকে ধাওয়া, লাঞ্ছনা এবং গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটে এই ঘটনা।
দুপুর ১টার দিকে জামাল উদ্দিন শিক্ষক লাউঞ্জ থেকে অন্যদের সঙ্গে বের হলে ডাকসুর সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবি সুবায়েরের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী তাকে লক্ষ্য করে আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনের সিঁড়িতে সুবায়ের তার জামা ধরে তীব্রভাবে টানছেন। নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে গিয়ে জামাল উদ্দিনের হুডি খুলে যায়। তিনি দৌড় দিয়ে পালাতে চাইলে সুবায়ের ও অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করতে থাকে। শেষ মুহূর্তে তিনি গাড়িতে উঠে বসতে পারলেও সুবায়ের গাড়ির দরজা ধরে টানাটানি চালান এবং তাকে নামানোর চেষ্টা করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও উত্তেজনার কারণ
ঢাবির শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান জানান, দুপুরে খবর পাওয়া যায় যে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের জামাল উদ্দিন ও জীনাত হুদাসহ কয়েকজন আওয়ামীপন্থী শিক্ষক গোপন বৈঠকের জন্য শিক্ষক লাউঞ্জে জড়ো হয়েছেন। এরপর শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ঘটনাস্থলে যায়।
তার দাবি, জুলাই মাসে জামাল উদ্দিন শিক্ষার্থীদের ব্রাশফায়ার দেওয়ার মন্তব্য করেছিলেন এবং নির্বাচন ছাড়া পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলেছিলেন। এ কারণে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই তাকে বর্জন করছে।

সুবায়েরের দাবি
ডাকসুর সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবি সুবায়ের ফেসবুকে লিখেছেন,
“আওয়ামী লীগের অপশিক্ষক জামাল ও নীলদল নেত্রী জীনাত হুদাসহ কয়েকজন সহযোগী আজ ক্যাম্পাসে এসে গোপন বৈঠক করছিল। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের আটক করে পুলিশের হাতে দিতে, তবে তারা পূর্বপ্রস্তুত গাড়িতে পালিয়ে যায়।”
তিনি আরও দাবি করেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে। তারপরও তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের সাহস দেখানো প্রশাসনিক ব্যর্থতা। খুনিদের সঙ্গে সহাবস্থান চলবে না; অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।”
ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















