চীন আগামী এক দশকের মধ্যে সয়াবিন আমদানির ওপর নির্ভরতা বর্তমান ৯০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশের নিচে নামানোর পথে এগোচ্ছে। গোল্ডম্যান স্যাকসের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বেইজিং খাদ্যনিরাপত্তা বাড়াতে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য–ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে স্বয়ংসম্পূর্ণতার প্রচেষ্টাকে দ্রুততর করছে।
চাহিদা কমানোর নীতি
বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, রান্নার তেল ও পশুখাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ উৎস এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের চাহিদা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বার্ষিক সয়াবিন ব্যবহারে ১ কোটি ৫০ লাখ টন হ্রাস পেয়েছে। এই দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ট্রিনা চেন।
প্রথম বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে উদ্যোগ
প্রথম যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের সময় শুরু হওয়া সয়াবিন চাহিদা কমানোর এই উদ্যোগটি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যে সম্ভাব্য বাধা ও অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন।
অভ্যন্তরীণ বাজার জোরদারের ঘোষণা
বৃহস্পতিবার বেইজিং জানায় যে তারা ঘরোয়া চাহিদার ওপর ভিত্তি করে অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বাইরের চাপ মোকাবিলায় একটি মজবুত দেশীয় বাজার গড়ে তুলবে। ২০২৬ সালের অর্থনৈতিক নীতির দিকনির্দেশনা নির্ধারণে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর এই ঘোষণা আসে।
আমদানিকৃত সয়াবিন আরও কমতে পারে
বিশ্বের সর্ববৃহৎ খাদ্যভোক্তা দেশ হিসেবে চীন ভবিষ্যতে সয়াবিন আমদানি আরও হ্রাস করতে পারে বলে বিশ্লেষকেরা উল্লেখ করেছেন। এই হ্রাসের সম্ভাবনা এমন সময় এসেছে যখন বেইজিং সম্প্রতি ওয়াশিংটনকে কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের একটি বিবৃতি অনুযায়ী, অক্টোবরের শেষ দিকে রাষ্ট্রপতি পর্যায়ের বৈঠকের পর বেইজিং আগামী তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্থিতিশীল ও বড় পরিমাণ সয়াবিন কেনার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।

চাহিদা নিয়ন্ত্রণে চীনের পদক্ষেপ
চীন বিভিন্ন পদ্ধতিতে সয়াবিনের চাহিদা কমানোর চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে:
• পশুখাদ্যে সয়াবিনের মাত্রা কমানো
• খাদ্য রূপান্তরের দক্ষতা বাড়ানো
• প্রোটিন মিশ্রণের উন্নয়ন
এই পদক্ষেপগুলো একসঙ্গে মিলেই সয়াবিন আমদানির ওপর চীনের দীর্ঘমেয়াদি নির্ভরতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সহায়তা করছে।

সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















