চীন-জাপান সামরিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে টোকিও ও ওয়াশিংটনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা টেলিফোনে আলোচনায় বসে বলেন, জাপান পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চায় না এবং শান্তভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। উভয় পক্ষই চীনের আচরণকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছে।
উত্তেজনা ঘিরে জরুরি আলোচনার উদ্যোগ
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ শুক্রবার এই ফোনালাপে সাম্প্রতিক চীন-জাপান যুদ্ধবিমানের মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেন। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দ্রুত অবনতি হওয়া নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে দুই মন্ত্রী খোলামেলা মতবিনিময় করেন।

চীনের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় পক্ষই এমন যেকোনো পদক্ষেপ নিয়ে ‘গুরুতর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন যা আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ায়। তারা মনে করেন, চীনের আচরণ শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে নয়।
জাপানের অবস্থান: উত্তেজনা বাড়ানোর ইচ্ছা নেই
কোইজুমি আলোচনায় জানান, জাপান উত্তেজনা বাড়াতে চায় না, বরং প্রয়োজনীয় প্রতিবাদ জানিয়ে শান্তভাবে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, টোকিও এখনো সংলাপের দরজা খোলা রেখেছে।

নিরাপত্তা জোট আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার
টোকিও ও ওয়াশিংটন ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখা এবং প্রতিরক্ষা জোটের প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া সক্ষমতা আরও জোরদার করার ব্যাপারে একমত হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানায়।
ঘটনার বিবরণ: বায়ুমণ্ডলে দ্বন্দ্ব
জাপানের মতে, শনিবার ওকিনাওয়ার কাছে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় দুটি পৃথক ঘটনায় চীনের জে-১৫ যুদ্ধবিমান জাপানের এফ-১৫ বিমানের দিকে ‘ফায়ার-কন্ট্রোল রাডার’ তাক করে। সাধারণত এই রাডার লক করা কোনো সম্ভাব্য আক্রমণের পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি লক্ষ্যবস্তুতে অস্ত্র নির্দেশনার প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়।
# সারাক্ষণরিপোর্ট চীনজাপান উত্তেজনা প্রতিরক্ষা_আলোচনা ইন্দো_প্যাসিফিক নিরাপত্তা
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















