আশগাবাত—শুধু চুক্তি সই করলেই স্থায়ী শান্তি আসে না—আস্থা গড়া, সৎ সংলাপ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ছাড়া টেকসই স্থিতিশীলতা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই তিনটি ভিত্তিকে কেন্দ্রীয় স্তম্ভ হিসেবে তুলে ধরেছে দেশটি।
আস্থা থেকে সংলাপ, সংলাপ থেকে উন্নয়ন
সৌদি আরবের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-খুরাইজি বলেছেন, প্রকৃত শান্তি কোনো তাৎক্ষণিক অর্জন নয়। এটি ধাপে ধাপে এগোনো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। প্রথমে আস্থা তৈরি করতে হয়, এরপর সাহসী ও আন্তরিক সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ মেটাতে হয়। শেষ ধাপে প্রয়োজন ন্যায্য ও সর্বজনীন উন্নয়ন, যাতে সংঘাতের শিকার মানুষগুলো পুনর্গঠনের সক্রিয় অংশীদার হয়ে উঠতে পারে।
আন্তর্জাতিক ফোরামে সৌদি অবস্থান
তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশগাবাতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শান্তি ও আস্থা ফোরামে বক্তব্য দেন ওয়ালিদ আল-খুরাইজি। তিনি দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতিনিধিত্ব করেন। এই ফোরামে সৌদি আরব শান্তি ও আস্থাভিত্তিক বৈশ্বিক কাঠামোর প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।

শান্তি ও আস্থার আন্তর্জাতিক বছর
ওয়ালিদ আল-খুরাইজি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তুর্কমেনিস্তানের প্রস্তাবের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। ওই প্রস্তাবের ভিত্তিতেই ২০২৫ সালকে শান্তি ও আস্থার আন্তর্জাতিক বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর মতে, এই উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে সংলাপ জোরদার করবে, সহযোগিতা বাড়াবে এবং পারস্পরিক সম্মানের নীতিকে শক্ত ভিত্তি দেবে।
প্রতিরোধমূলক কূটনীতিতে সৌদি উদ্যোগ
সৌদি আরব প্রতিরোধমূলক কূটনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে বলে জানান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী। মধ্যস্থতা, শান্তিপূর্ণ বিরোধ নিষ্পত্তি, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, মানবিক সহায়তা এবং সংস্কৃতি ও ধর্মের মধ্যে সংলাপ জোরদার—সব ক্ষেত্রেই সৌদি আরব কাজ করছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যক্রমেও দেশটি নিয়মিত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















