০৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
জাতীয় পার্টি কি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে? সংবিধান বাতিল নয়, বিচার বিভাগের জবাবদিহিই ছিল জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য: বিদায়ী প্রধান বিচারপতি অনুমতি ছাড়া বৈঠক করায় সৌদি আরবে আটক বাংলাদেশিরা, সতর্ক দূতাবাস ওয়ার্নার ব্রাদার্স লটে নেটফ্লিক্স শীর্ষদের উপস্থিতি: স্টুডিওর ভবিষ্যৎ নিয়ে লড়াই আরও তীব্র ক্যারিবীয় ছোট দ্বীপে বিপন্ন ইগুয়ানার ‘লাভ নেস্ট’: সংরক্ষণ প্রকল্পে জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে ক্যালিফোর্নিয়ার ইভানপাহ বিতর্ক আবার সামনে: ‘স্ট্র্যান্ডেড’ সৌর সম্পদের খরচ কে দেবে? হাঁটিয়ে আনা হয়েছিল মোয়াই, ইস্টার দ্বীপের পাথর মূর্তির রহস্যে নতুন ব্যাখ্যা টেসলা-ধাঁচের ড্রাইভার-অ্যাসিস্টে সীমা টানতে নতুন মার্কিন বিল ফোনের পর্দায় বন্দী মানুষ, মঞ্চে একাকিত্বের নতুন ভাষা বন্ডি বিচে হনুক্কাহ উৎসবে ভয়াবহ হামলা, মুহূর্তেই আনন্দের আসর রক্তাক্ত

টানাপোড়েনে ঢাকা দিল্লি সম্পর্ক

সমকালের একটি শিরোনাম “টানাপোড়েনে ঢাকা দিল্লি সম্পর্ক”

উপদেষ্টা বলেন, এটা বলা কঠিন। আমাদের তো বাস্তবতা মেনে নেওয়া ভালো। আমরা চাইলে সেটা হবেই– এমন তো কথা নেই।  সম্পর্ক দুপক্ষ থেকেই এগোনোর চেষ্টা করতে হবে। আমার মনে হয় আমরা দুপক্ষ মিলে হয়তো অতটা এগোতে পারিনি, যে কারণে টানাপোড়েনটা রয়েই গেছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে বসে আগে বক্তব্য দিতেন শুধু সামাজিক মাধ্যমে। পরে আমরা দেখলাম, প্রধান গণমাধ্যমে তাঁর (শেখ হাসিনা) বক্তব্য আসছে এবং সেই বক্তব্যের মধ্যে (বাংলাদেশ নিয়ে) প্রচুর উস্কানি রয়েছে। শেখ হাসিনা আদালত থেকে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি আমাদের পাশের দেশে বসে, এখানে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। এটা আমরা আপত্তি করব বা তাদের (ভারতের) সহায়তায় চাইব যে তাকে ফেরত পাঠান।

তৌহিদ হোসেন বলেন, সর্বশেষ যে বক্তব্য (ভারত) এসেছে তাতে আমাদের নসিহত করা হয়েছে। সেটার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। বাংলাদেশে নির্বাচন কেমন হবে এটা নিয়ে আমরা প্রতিবেশীদের উপদেশ চাই না।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই সরকার প্রথম দিন থেকে স্পষ্টভাবে বলে আসছে আমরা অত্যন্ত উঁচু মানের ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। যে পরিবেশ ১৫ বছর ছিল না। ভারত আমাদের এটা (নির্বাচন) নিয়ে উপদেশ দিচ্ছে, এটাকে আমি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য মনে করি। তারা (ভারত) জানে এর আগে ১৫ বছর যে সরকার ছিল, তাদের সঙ্গে (ভারতের) অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক ছিল। ওই সময় নির্বাচনগুলো যে প্রহসনমূলক হয়েছিল, সে সময় তারা (ভারত) একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। এখন  আমরা একটা ভালো নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি, এই মুহূর্তে আমাদের নসিহত করার তো প্রয়োজন নেই।

নির্বাচন নিয়ে নসিহত তো পশ্চিমারাও দিচ্ছে, তাদের জন্যও কি একই বার্তা? উত্তরে তৌহিদ হোসেন বলেন, পশ্চিমাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ সব সময় আছে এবং তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। কারণ আমরা চাই, পশ্চিমারা তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাক। কিন্তু এভাবে একটা বিবৃতি (ভারতের বিবৃতি) দিয়ে যে আমাদের অবস্থানটাকে গ্রহণযোগ্য না, এই ধরনের কথাবার্তার পাশাপাশি বলা যে, এ রকম নির্বাচন হতে হবে, এই নসিহত আমরা গ্রহণ করতে পারি না। কারণ তাদের তো এই মনোভাব ১৫ বছর দেখা যায়নি।

শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্য থামানোর পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ভারত যদি তাঁকে থামাতে না চায়, আমরা থামাতে পারব না। এটা আমাদের বুঝে নিতে হবে। আমরা চাইব, ভারত তাঁকে থামাক। এখানে যে একটা পরিবেশ সৃষ্টি যেটা হচ্ছে নির্বাচনের জন্য, সেখানে যেন শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে নষ্ট না হয়।

বাংলাদেশের বিজয় দিবসে নরেন্দ্র মোদির বার্তা নিয়ে প্রশ্ন করলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত সব সময় মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশিদের ভূমিকাকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করে। কলকাতায় এ দিনটিকে ‘ইস্টার্ন কমান্ড দিবস’ হিসেবে পালন করে। তারা মনে করে, যুদ্ধ করে তাদের সেনাবাহিনী বিজয় অর্জন করেছে। এটা সত্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তারা বিজয় অর্জন করেছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান যারা অস্বীকার করেন, সামরিক ইতিহাস বা সামরিক বিজ্ঞান সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞান নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ছাড়া ভারত এই বিজয় অর্জন করতে পারত না।

ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ নিয়ে এক প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, আজকে যেহেতু একটি কর্মসূচি ছিল, কাজেই নিরাপত্তার কারণে ভিসা সেন্টার বন্ধ রাখতে পারে। আমরা নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়, সে চেষ্টা করেছি।

ভিসা সেন্টার কত দিনের জন্য বন্ধ– জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে ভারত কিছু জানায়নি। তারা আজ বন্ধ রেখেছে দুপুর ২টা থেকে। এখন যদি অনির্দিষ্টকালের জন্য হয়, সেটা আমরা জানি না। তাছাড়া ভিসার ব্যাপারে যে কোনো দেশ তাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এ ব্যাপারে অন্য দেশের কোনো কিছু বলার নেই।

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”দুই মিত্র জোটের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক”

আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের অন্য দলগুলোকে বিএনপির পক্ষ থেকে ভিন্নভাবে মূল্যায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বিকেলে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন।

সূত্র বলছে, ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে আসন দেওয়ার ব্যাপারে সবুজসংকেত দেওয়া হয়েছে, যার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে ২০ ডিসেম্বর।

এদিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ৬ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণফোরামের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার আসন ভাগাভাগি নিয়ে বৈঠকে বসবে বিএনপি। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। সবশেষে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।

১২ দলীয় জোট ও সমমনা জোটের বৈঠক সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ-৫, কুষ্টিয়া-২ আসনসহ কয়েকটি আসনে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে দুই জোটের মিত্ররা। বিএনপির হাইকমান্ড তাদের আশ্বস্ত করেছে, এই বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “শ্রমবাজার বলতে এখন শুধুই সৌদি আরব”

কর্মসংস্থানের উদ্দেশে চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ১০ লাখ ৭৬ হাজার বাংলাদেশী। যার প্রায় ৬৭ শতাংশ কর্মী ভিসায় গিয়েছেন সৌদি আরবে। এর বাইরে বাকি কর্মীদের অধিকাংশ গেছেন সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপসহ মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশে। দেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর বৈশ্বিক শ্রমবাজারে দক্ষ শ্রমিক প্রেরণ, বন্ধ শ্রমবাজার চালু করা এবং নতুন শ্রমবাজারের সন্ধান ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বড় প্রত্যাশা। কিন্তু দেখা গেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মী যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সৌদি আরবকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। বন্ধ অনেক শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়নি।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিবাসন কূটনীতি কাজে লাগিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার শ্রমবাজার সম্প্রসারণ এবং বন্ধ শ্রমবাজার চালুর ক্ষেত্রে বড় সফলতা পায়নি। যে কারণে নতুন শ্রমবাজার তৈরি হয়নি। তারা বলছেন, এ সীমাবদ্ধতার পেছনে মূলত কাজ করেছে শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ কর্মী তৈরি করতে না পারা। এছাড়া অবৈধভাবে বাংলাদেশীদের শ্রমবাজারে প্রবেশ, ভুয়া কাগজ ব্যবহার, মানবেতর জীবনযাপনসহ নানা কারণে নেতিবাচক ভাবমূর্তি আগে থেকেই রয়েছে। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে তা সামনের দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর

(বিএমইটি) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এক দশক আগেও বিদেশে বাংলাদেশীদের বড় শ্রমবাজার ছিল অন্তত ১২টি। এখন তা দুই-তিনটি দেশে নেমে এসেছে। বিশেষ করে সৌদি আরব ছাড়া আরো যে পাঁচ দেশ শীর্ষ শ্রমবাজারের তালিকায় আছে

তার মধ্যে বর্তমানে সিঙ্গাপুর, কুয়েত, কাতার ও মালদ্বীপের বাইরে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মী অন্য কোনো দেশে যাচ্ছেন না।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, চলতি বছর বিভিন্ন দেশে মোট কর্মী গেছেন ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭৬ জন (এ হিসাব ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত)। এর মধ্যে ৭ লাখ ১৫ হাজার ৫৮৬ জন কর্মী গেছেন সৌদি আরবে। এর বাইরে ১ লাখ ৪ হাজার ৬৭৮ জন গেছেন কাতারে। বাকি শ্রমবাজারের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন ১২ হাজার ৯৩১ জন, মালয়েশিয়ায় ৩ হাজার ৫, ওমানে ৬৪২ ও সিঙ্গাপুরে ৬৭ হাজার ৬৯০ জন।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় কনটেন্ট নির্মাতার ভিডিও ভুয়া”

বাংলাদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথম জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার কথা। এই প্রেক্ষাপটে অনলাইনে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের ঢল নেমেছে। এর মধ্যে একটি ভুয়া ভিডিও ছড়ানো হয়েছে। তাতে ভুলভাবে দাবি করা হয়েছে যে, সাবেক শাসকদলের ছাত্রসংগঠনের এক নেত্রীকে ‘ধর্ষণ করে ফেলে রাখা হয়েছে’। বাস্তবে ভিডিওটি একজন ভারতীয় কমেডি ইউটিউবার আপলোড করেন। সেখানে এক নারীকে মদ্যপ অবস্থার অভিনয় করতে দেখা যায়। এএফপি ফ্যাক্ট চেকে এ তথ্য ধরা পড়েছে। এতে বলা হয়, ১৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে এক নারীকে রাস্তার পাশে কাঁপতে দেখা যায়। পাশে পড়ে আছে একটি পানির বোতল ও একজোড়া স্যান্ডেল। ভিডিওটি ৫ ডিসেম্বর ফেসবুকে শেয়ার করা হয় এবং এটি ১ লাখ ৭৩ হাজার বার দেখা হয়েছে। এই ভিডিওতে বাংলায় ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘ঢাকার বনানীতে তিন যুবক ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে গেছে।’ ভিডিওটির ওপর দেওয়া বাংলাভাষার ভয়েসওভারে শোনা যায়, দুষ্কৃতকারীরা ওই নারীকে নির্যাতন করে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে।

বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো যখন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন একই ভিডিও ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামেও ছড়ানো হয়। ১৭ কোটি জনসংখ্যার এই দক্ষিণ এশিয়ার দেশে নির্বাচন সামনে রেখে উত্তেজনা তুঙ্গে। নভেম্বরে ঢাকায় একাধিক স্থানে তাজা বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতা ও নির্বাচনী প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় গুলি করা হয়।এএফপি বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে ছড়ানো একাধিক ভুয়া দাবি আগেও খণ্ডন করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে ভুল তথ্য প্রচারের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার খবর জানিয়েছে। তবে, আলোচিত ভিডিওটির সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কোনো সম্পর্ক নেই। ভুলভাবে ছড়ানো ভিডিওটির কী-ফ্রেম ব্যবহার করে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায়, এর একটি উচ্চ রেজ্যুলুশনের সংস্করণ ‘নাপাতি হাজেহাওয়ারি’ নামের একটি কমেডি ইউটিউব চ্যানেলে ৩রা ডিসেম্বর আপলোড করা হয়েছে। চ্যানেলটির ব্যানারে লেখা আছে ‘ইউনিক কমেডিয়ান’ এবং ছড়ানো ভিডিওতে দেখা ওই নারী চ্যানেলটির অন্যান্য ভিডিওতেও উপস্থিত। মূল ভিডিওতে এক পুরুষ কণ্ঠে বোড়ো ভাষায় (ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের একটি সরকারি ভাষা) কথা বলতে শোনা যায়। তিনি ওই নারীকে জিজ্ঞেস করছেন তিনি মাতাল কি না এবং কেন এত বেশি পান করেছেন। একই ভিডিওটি ইউটিউবারের ফেসবুক পেজেও শেয়ার করা হয়েছে। তার ইনস্টাগ্রাম বায়োতেও নিজেকে ‘ইউনিক কমেডজ ক্রিয়েটর’ হিসেবে উল্লেখ করা আছে। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে এএফপি সংশ্লিষ্ট কনটেন্ট নির্মাতা ও ঢাকা মহানগর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো জবাব পায়নি।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় পার্টি কি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে?

টানাপোড়েনে ঢাকা দিল্লি সম্পর্ক

০৮:০০:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “টানাপোড়েনে ঢাকা দিল্লি সম্পর্ক”

উপদেষ্টা বলেন, এটা বলা কঠিন। আমাদের তো বাস্তবতা মেনে নেওয়া ভালো। আমরা চাইলে সেটা হবেই– এমন তো কথা নেই।  সম্পর্ক দুপক্ষ থেকেই এগোনোর চেষ্টা করতে হবে। আমার মনে হয় আমরা দুপক্ষ মিলে হয়তো অতটা এগোতে পারিনি, যে কারণে টানাপোড়েনটা রয়েই গেছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে বসে আগে বক্তব্য দিতেন শুধু সামাজিক মাধ্যমে। পরে আমরা দেখলাম, প্রধান গণমাধ্যমে তাঁর (শেখ হাসিনা) বক্তব্য আসছে এবং সেই বক্তব্যের মধ্যে (বাংলাদেশ নিয়ে) প্রচুর উস্কানি রয়েছে। শেখ হাসিনা আদালত থেকে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি আমাদের পাশের দেশে বসে, এখানে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। এটা আমরা আপত্তি করব বা তাদের (ভারতের) সহায়তায় চাইব যে তাকে ফেরত পাঠান।

তৌহিদ হোসেন বলেন, সর্বশেষ যে বক্তব্য (ভারত) এসেছে তাতে আমাদের নসিহত করা হয়েছে। সেটার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। বাংলাদেশে নির্বাচন কেমন হবে এটা নিয়ে আমরা প্রতিবেশীদের উপদেশ চাই না।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই সরকার প্রথম দিন থেকে স্পষ্টভাবে বলে আসছে আমরা অত্যন্ত উঁচু মানের ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। যে পরিবেশ ১৫ বছর ছিল না। ভারত আমাদের এটা (নির্বাচন) নিয়ে উপদেশ দিচ্ছে, এটাকে আমি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য মনে করি। তারা (ভারত) জানে এর আগে ১৫ বছর যে সরকার ছিল, তাদের সঙ্গে (ভারতের) অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক ছিল। ওই সময় নির্বাচনগুলো যে প্রহসনমূলক হয়েছিল, সে সময় তারা (ভারত) একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। এখন  আমরা একটা ভালো নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি, এই মুহূর্তে আমাদের নসিহত করার তো প্রয়োজন নেই।

নির্বাচন নিয়ে নসিহত তো পশ্চিমারাও দিচ্ছে, তাদের জন্যও কি একই বার্তা? উত্তরে তৌহিদ হোসেন বলেন, পশ্চিমাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ সব সময় আছে এবং তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। কারণ আমরা চাই, পশ্চিমারা তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাক। কিন্তু এভাবে একটা বিবৃতি (ভারতের বিবৃতি) দিয়ে যে আমাদের অবস্থানটাকে গ্রহণযোগ্য না, এই ধরনের কথাবার্তার পাশাপাশি বলা যে, এ রকম নির্বাচন হতে হবে, এই নসিহত আমরা গ্রহণ করতে পারি না। কারণ তাদের তো এই মনোভাব ১৫ বছর দেখা যায়নি।

শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্য থামানোর পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ভারত যদি তাঁকে থামাতে না চায়, আমরা থামাতে পারব না। এটা আমাদের বুঝে নিতে হবে। আমরা চাইব, ভারত তাঁকে থামাক। এখানে যে একটা পরিবেশ সৃষ্টি যেটা হচ্ছে নির্বাচনের জন্য, সেখানে যেন শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে নষ্ট না হয়।

বাংলাদেশের বিজয় দিবসে নরেন্দ্র মোদির বার্তা নিয়ে প্রশ্ন করলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত সব সময় মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশিদের ভূমিকাকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করে। কলকাতায় এ দিনটিকে ‘ইস্টার্ন কমান্ড দিবস’ হিসেবে পালন করে। তারা মনে করে, যুদ্ধ করে তাদের সেনাবাহিনী বিজয় অর্জন করেছে। এটা সত্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তারা বিজয় অর্জন করেছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান যারা অস্বীকার করেন, সামরিক ইতিহাস বা সামরিক বিজ্ঞান সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞান নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ছাড়া ভারত এই বিজয় অর্জন করতে পারত না।

ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ নিয়ে এক প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, আজকে যেহেতু একটি কর্মসূচি ছিল, কাজেই নিরাপত্তার কারণে ভিসা সেন্টার বন্ধ রাখতে পারে। আমরা নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়, সে চেষ্টা করেছি।

ভিসা সেন্টার কত দিনের জন্য বন্ধ– জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে ভারত কিছু জানায়নি। তারা আজ বন্ধ রেখেছে দুপুর ২টা থেকে। এখন যদি অনির্দিষ্টকালের জন্য হয়, সেটা আমরা জানি না। তাছাড়া ভিসার ব্যাপারে যে কোনো দেশ তাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এ ব্যাপারে অন্য দেশের কোনো কিছু বলার নেই।

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”দুই মিত্র জোটের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক”

আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের অন্য দলগুলোকে বিএনপির পক্ষ থেকে ভিন্নভাবে মূল্যায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বিকেলে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন।

সূত্র বলছে, ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে আসন দেওয়ার ব্যাপারে সবুজসংকেত দেওয়া হয়েছে, যার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে ২০ ডিসেম্বর।

এদিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ৬ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণফোরামের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার আসন ভাগাভাগি নিয়ে বৈঠকে বসবে বিএনপি। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। সবশেষে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।

১২ দলীয় জোট ও সমমনা জোটের বৈঠক সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ-৫, কুষ্টিয়া-২ আসনসহ কয়েকটি আসনে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে দুই জোটের মিত্ররা। বিএনপির হাইকমান্ড তাদের আশ্বস্ত করেছে, এই বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “শ্রমবাজার বলতে এখন শুধুই সৌদি আরব”

কর্মসংস্থানের উদ্দেশে চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ১০ লাখ ৭৬ হাজার বাংলাদেশী। যার প্রায় ৬৭ শতাংশ কর্মী ভিসায় গিয়েছেন সৌদি আরবে। এর বাইরে বাকি কর্মীদের অধিকাংশ গেছেন সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপসহ মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশে। দেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর বৈশ্বিক শ্রমবাজারে দক্ষ শ্রমিক প্রেরণ, বন্ধ শ্রমবাজার চালু করা এবং নতুন শ্রমবাজারের সন্ধান ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বড় প্রত্যাশা। কিন্তু দেখা গেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মী যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সৌদি আরবকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। বন্ধ অনেক শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়নি।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিবাসন কূটনীতি কাজে লাগিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার শ্রমবাজার সম্প্রসারণ এবং বন্ধ শ্রমবাজার চালুর ক্ষেত্রে বড় সফলতা পায়নি। যে কারণে নতুন শ্রমবাজার তৈরি হয়নি। তারা বলছেন, এ সীমাবদ্ধতার পেছনে মূলত কাজ করেছে শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ কর্মী তৈরি করতে না পারা। এছাড়া অবৈধভাবে বাংলাদেশীদের শ্রমবাজারে প্রবেশ, ভুয়া কাগজ ব্যবহার, মানবেতর জীবনযাপনসহ নানা কারণে নেতিবাচক ভাবমূর্তি আগে থেকেই রয়েছে। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে তা সামনের দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর

(বিএমইটি) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এক দশক আগেও বিদেশে বাংলাদেশীদের বড় শ্রমবাজার ছিল অন্তত ১২টি। এখন তা দুই-তিনটি দেশে নেমে এসেছে। বিশেষ করে সৌদি আরব ছাড়া আরো যে পাঁচ দেশ শীর্ষ শ্রমবাজারের তালিকায় আছে

তার মধ্যে বর্তমানে সিঙ্গাপুর, কুয়েত, কাতার ও মালদ্বীপের বাইরে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মী অন্য কোনো দেশে যাচ্ছেন না।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, চলতি বছর বিভিন্ন দেশে মোট কর্মী গেছেন ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭৬ জন (এ হিসাব ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত)। এর মধ্যে ৭ লাখ ১৫ হাজার ৫৮৬ জন কর্মী গেছেন সৌদি আরবে। এর বাইরে ১ লাখ ৪ হাজার ৬৭৮ জন গেছেন কাতারে। বাকি শ্রমবাজারের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন ১২ হাজার ৯৩১ জন, মালয়েশিয়ায় ৩ হাজার ৫, ওমানে ৬৪২ ও সিঙ্গাপুরে ৬৭ হাজার ৬৯০ জন।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় কনটেন্ট নির্মাতার ভিডিও ভুয়া”

বাংলাদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথম জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার কথা। এই প্রেক্ষাপটে অনলাইনে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের ঢল নেমেছে। এর মধ্যে একটি ভুয়া ভিডিও ছড়ানো হয়েছে। তাতে ভুলভাবে দাবি করা হয়েছে যে, সাবেক শাসকদলের ছাত্রসংগঠনের এক নেত্রীকে ‘ধর্ষণ করে ফেলে রাখা হয়েছে’। বাস্তবে ভিডিওটি একজন ভারতীয় কমেডি ইউটিউবার আপলোড করেন। সেখানে এক নারীকে মদ্যপ অবস্থার অভিনয় করতে দেখা যায়। এএফপি ফ্যাক্ট চেকে এ তথ্য ধরা পড়েছে। এতে বলা হয়, ১৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে এক নারীকে রাস্তার পাশে কাঁপতে দেখা যায়। পাশে পড়ে আছে একটি পানির বোতল ও একজোড়া স্যান্ডেল। ভিডিওটি ৫ ডিসেম্বর ফেসবুকে শেয়ার করা হয় এবং এটি ১ লাখ ৭৩ হাজার বার দেখা হয়েছে। এই ভিডিওতে বাংলায় ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘ঢাকার বনানীতে তিন যুবক ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে গেছে।’ ভিডিওটির ওপর দেওয়া বাংলাভাষার ভয়েসওভারে শোনা যায়, দুষ্কৃতকারীরা ওই নারীকে নির্যাতন করে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে।

বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো যখন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন একই ভিডিও ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামেও ছড়ানো হয়। ১৭ কোটি জনসংখ্যার এই দক্ষিণ এশিয়ার দেশে নির্বাচন সামনে রেখে উত্তেজনা তুঙ্গে। নভেম্বরে ঢাকায় একাধিক স্থানে তাজা বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতা ও নির্বাচনী প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় গুলি করা হয়।এএফপি বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে ছড়ানো একাধিক ভুয়া দাবি আগেও খণ্ডন করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে ভুল তথ্য প্রচারের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার খবর জানিয়েছে। তবে, আলোচিত ভিডিওটির সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কোনো সম্পর্ক নেই। ভুলভাবে ছড়ানো ভিডিওটির কী-ফ্রেম ব্যবহার করে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায়, এর একটি উচ্চ রেজ্যুলুশনের সংস্করণ ‘নাপাতি হাজেহাওয়ারি’ নামের একটি কমেডি ইউটিউব চ্যানেলে ৩রা ডিসেম্বর আপলোড করা হয়েছে। চ্যানেলটির ব্যানারে লেখা আছে ‘ইউনিক কমেডিয়ান’ এবং ছড়ানো ভিডিওতে দেখা ওই নারী চ্যানেলটির অন্যান্য ভিডিওতেও উপস্থিত। মূল ভিডিওতে এক পুরুষ কণ্ঠে বোড়ো ভাষায় (ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের একটি সরকারি ভাষা) কথা বলতে শোনা যায়। তিনি ওই নারীকে জিজ্ঞেস করছেন তিনি মাতাল কি না এবং কেন এত বেশি পান করেছেন। একই ভিডিওটি ইউটিউবারের ফেসবুক পেজেও শেয়ার করা হয়েছে। তার ইনস্টাগ্রাম বায়োতেও নিজেকে ‘ইউনিক কমেডজ ক্রিয়েটর’ হিসেবে উল্লেখ করা আছে। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে এএফপি সংশ্লিষ্ট কনটেন্ট নির্মাতা ও ঢাকা মহানগর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো জবাব পায়নি।