০৭:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
জাতীয় পার্টি কি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে? সংবিধান বাতিল নয়, বিচার বিভাগের জবাবদিহিই ছিল জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য: বিদায়ী প্রধান বিচারপতি অনুমতি ছাড়া বৈঠক করায় সৌদি আরবে আটক বাংলাদেশিরা, সতর্ক দূতাবাস ওয়ার্নার ব্রাদার্স লটে নেটফ্লিক্স শীর্ষদের উপস্থিতি: স্টুডিওর ভবিষ্যৎ নিয়ে লড়াই আরও তীব্র ক্যারিবীয় ছোট দ্বীপে বিপন্ন ইগুয়ানার ‘লাভ নেস্ট’: সংরক্ষণ প্রকল্পে জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে ক্যালিফোর্নিয়ার ইভানপাহ বিতর্ক আবার সামনে: ‘স্ট্র্যান্ডেড’ সৌর সম্পদের খরচ কে দেবে? হাঁটিয়ে আনা হয়েছিল মোয়াই, ইস্টার দ্বীপের পাথর মূর্তির রহস্যে নতুন ব্যাখ্যা টেসলা-ধাঁচের ড্রাইভার-অ্যাসিস্টে সীমা টানতে নতুন মার্কিন বিল ফোনের পর্দায় বন্দী মানুষ, মঞ্চে একাকিত্বের নতুন ভাষা বন্ডি বিচে হনুক্কাহ উৎসবে ভয়াবহ হামলা, মুহূর্তেই আনন্দের আসর রক্তাক্ত

মার্কিন নৌবহরের সংকটে নতুন দিশা, সমাধান কি দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজঘাঁটি?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী শক্তিশালী করার পরিকল্পনা বারবার ধাক্কা খাচ্ছে। যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে বিলম্ব, ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং দক্ষ জনবলের সংকট ওয়াশিংটনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন নৌবহরের সংকটের কার্যকর সমাধান হিসেবে সামনে আসছে দক্ষিণ কোরিয়া। বিশাল সক্ষমতা, আধুনিক প্রযুক্তি ও তুলনামূলক কম খরচে জাহাজ নির্মাণের ক্ষমতার কারণে এশীয় এই মিত্র দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের নৌশক্তি পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে বিশ্লেষকদের মত

নৌশক্তির ভারসাম্যে পিছিয়ে পড়া যুক্তরাষ্ট্র

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা প্রায় তিন শতকের কাছাকাছি, অন্যদিকে চীনের নৌবহর চার শতাধিক। প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকলেও ইতিহাস বলছে, নৌশক্তির লড়াইয়ে সংখ্যাই বড় বিষয়। এই বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্র আগামী কয়েক দশকে নৌবহর বাড়িয়ে প্রায় চার শত জাহাজে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। কিন্তু দেশীয় জাহাজ ঘাঁটির সীমিত ক্ষমতা, শ্রমিক ও যন্ত্রাংশের ঘাটতি সেই লক্ষ্য অর্জনকে কঠিন করে তুলেছে

কেন দক্ষিণ কোরিয়া গুরুত্বপূর্ণ

দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ শিল্পে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গুলোর একটি। দেশটির বড় জাহাজ ঘাঁটিগুলো বছরে দুই শতাধিক জাহাজ নির্মাণে সক্ষম এবং একই ধরনের জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রে বানাতে যে খরচ হয়, তার প্রায় অর্ধেক ব্যয়ে সেখানে কাজ সম্পন্ন করা যায়। বেসামরিক ও সামরিক জাহাজ নির্মাণ পাশাপাশি চলায় কর্মীদের দক্ষতা ও ধরে রাখা সম্ভব হয়। হিউন্দাই ও হানওয়ার মতো প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন তৈরি করেছে এবং মার্কিন নৌবাহিনীর কিছু সহায়ক জাহাজের রক্ষণাবেক্ষণের অভিজ্ঞতাও রয়েছে

আইনগত বাধা ও সম্ভাব্য পরিবর্তন

বর্তমান মার্কিন আইনে যুদ্ধজাহাজ বিদেশে নির্মাণ বা মেরামত করা যায় না। বিশ্লেষকদের মতে, এই আইন পরিবর্তনই সহযোগিতার প্রধান শর্ত। প্রস্তাবিত নতুন আইনের মাধ্যমে মিত্র দেশগুলোর জাহাজঘাঁটিতে কাজের সুযোগ দিলে যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত ও কম খরচে নৌবহর বাড়াতে পারবে। একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য এটি হবে নতুন বাজার ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের সুযোগ

শিল্প পুনরুদ্ধারে যৌথ স্বার্থ

এক সময় বৈশ্বিক বাণিজ্যিক জাহাজ নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য থাকলেও এখন সেই অংশ প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। এই শিল্প ঘুরে দাঁড় করাতে এশীয় মিত্রদের সহায়তা ছাড়া বিকল্প নেই। দক্ষিণ কোরিয়া ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামুদ্রিক শিল্প পুনরুজ্জীবনে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প ফিরিয়ে আনা সহজ নয়, তবু যৌথ উদ্যোগে নৌবাহিনীর সংকট অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় পার্টি কি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে?

মার্কিন নৌবহরের সংকটে নতুন দিশা, সমাধান কি দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজঘাঁটি?

০৪:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী শক্তিশালী করার পরিকল্পনা বারবার ধাক্কা খাচ্ছে। যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে বিলম্ব, ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং দক্ষ জনবলের সংকট ওয়াশিংটনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন নৌবহরের সংকটের কার্যকর সমাধান হিসেবে সামনে আসছে দক্ষিণ কোরিয়া। বিশাল সক্ষমতা, আধুনিক প্রযুক্তি ও তুলনামূলক কম খরচে জাহাজ নির্মাণের ক্ষমতার কারণে এশীয় এই মিত্র দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের নৌশক্তি পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে বিশ্লেষকদের মত

নৌশক্তির ভারসাম্যে পিছিয়ে পড়া যুক্তরাষ্ট্র

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা প্রায় তিন শতকের কাছাকাছি, অন্যদিকে চীনের নৌবহর চার শতাধিক। প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকলেও ইতিহাস বলছে, নৌশক্তির লড়াইয়ে সংখ্যাই বড় বিষয়। এই বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্র আগামী কয়েক দশকে নৌবহর বাড়িয়ে প্রায় চার শত জাহাজে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। কিন্তু দেশীয় জাহাজ ঘাঁটির সীমিত ক্ষমতা, শ্রমিক ও যন্ত্রাংশের ঘাটতি সেই লক্ষ্য অর্জনকে কঠিন করে তুলেছে

কেন দক্ষিণ কোরিয়া গুরুত্বপূর্ণ

দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ শিল্পে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গুলোর একটি। দেশটির বড় জাহাজ ঘাঁটিগুলো বছরে দুই শতাধিক জাহাজ নির্মাণে সক্ষম এবং একই ধরনের জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রে বানাতে যে খরচ হয়, তার প্রায় অর্ধেক ব্যয়ে সেখানে কাজ সম্পন্ন করা যায়। বেসামরিক ও সামরিক জাহাজ নির্মাণ পাশাপাশি চলায় কর্মীদের দক্ষতা ও ধরে রাখা সম্ভব হয়। হিউন্দাই ও হানওয়ার মতো প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন তৈরি করেছে এবং মার্কিন নৌবাহিনীর কিছু সহায়ক জাহাজের রক্ষণাবেক্ষণের অভিজ্ঞতাও রয়েছে

আইনগত বাধা ও সম্ভাব্য পরিবর্তন

বর্তমান মার্কিন আইনে যুদ্ধজাহাজ বিদেশে নির্মাণ বা মেরামত করা যায় না। বিশ্লেষকদের মতে, এই আইন পরিবর্তনই সহযোগিতার প্রধান শর্ত। প্রস্তাবিত নতুন আইনের মাধ্যমে মিত্র দেশগুলোর জাহাজঘাঁটিতে কাজের সুযোগ দিলে যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত ও কম খরচে নৌবহর বাড়াতে পারবে। একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য এটি হবে নতুন বাজার ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের সুযোগ

শিল্প পুনরুদ্ধারে যৌথ স্বার্থ

এক সময় বৈশ্বিক বাণিজ্যিক জাহাজ নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য থাকলেও এখন সেই অংশ প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। এই শিল্প ঘুরে দাঁড় করাতে এশীয় মিত্রদের সহায়তা ছাড়া বিকল্প নেই। দক্ষিণ কোরিয়া ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামুদ্রিক শিল্প পুনরুজ্জীবনে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প ফিরিয়ে আনা সহজ নয়, তবু যৌথ উদ্যোগে নৌবাহিনীর সংকট অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা