সিডনির বন্ডি বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব চলাকালে ভয়াবহ সশস্ত্র হামলার ঘটনায় অস্ট্রেলিয়া জুড়ে নেমে এসেছে শোক ও ক্ষোভ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানিয়েছেন, এই হামলার পেছনে উগ্র জঙ্গি মতাদর্শ কাজ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। রোববার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এই হামলায় প্রাণ হারান অন্তত পনেরো জন, আহত হন বহু মানুষ। খবরটি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
হামলার পটভূমি ও অভিযুক্তদের পরিচয়
পুলিশ জানায়, সাজিদ আক্রমণ ও তাঁর ছেলে নাভিদ আক্রমণ বন্ডি বিচ ও পাশের একটি পার্কে টানা প্রায় দশ মিনিট গুলি চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উৎসবের ভিড়ে হঠাৎ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্তদের একজন ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হন। অপরজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং পুলিশি পাহারায় রয়েছেন।
উগ্র মতাদর্শের ইঙ্গিত
প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যমে বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই হামলা ঘৃণা ভিত্তিক উগ্র মতাদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত। তিনি জানান, অভিযুক্ত যুবক অতীতে গোয়েন্দা সংস্থার নজরে এলেও তখন তাকে তাৎক্ষণিক হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। পরে তদন্তে দেখা যায়, হামলার আগে একটি গাড়ি ও ভাড়া বাসা থেকে সন্দেহজনক আলামত উদ্ধার হয়েছে।

নিরাপত্তা ও আইনি প্রশ্ন
এই ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র আইন নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। দেশটির ইতিহাসে বড় ধরনের গণ গুলিবর্ষণের পর যেসব কঠোর আইন চালু হয়েছিল, সেগুলো বর্তমান বাস্তবতায় যথেষ্ট কি না—সে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ নাগরিকরা। সরকারও অস্ত্রের মালিকানা ও নজরদারি আরও কঠোর করার ইঙ্গিত দিয়েছে।
ইহুদি সম্প্রদায়ের শোক ও প্রতিক্রিয়া
হামলায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন শিশু ও প্রবীণরাও। ইহুদি সম্প্রদায়ের নেতারা একে লক্ষ্যভিত্তিক হামলা বলে আখ্যা দিয়েছেন। বন্ডি বিচের পাশে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল রেখে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করছেন মানুষ। রক্তদান কেন্দ্রগুলোতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ এগিয়ে এসেছেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















