০২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
চার্চে উড়ো চিঠি ও হুমকিতে উদ্বেগ বাংলাদেশের খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতাদের জামায়াতের সঙ্গে জোটে এনসিপি কার্যত বিলীন হবে: আব্দুল কাদের রাউজানে একের পর এক হিন্দু বাড়িতে পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগ, তথ্য দিলে পুরস্কার ঘোষণা পুলিশের রাউজানে একের পর এক হিন্দু বাড়িতে পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগ, তথ্য দিলে পুরস্কার ঘোষণা পুলিশের অ্যাশেজে ধাক্কা আর চাপের মুখে বেন স্টোকস, সতীর্থদের জন্য সহমর্মিতা চাইলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, বাংলাদেশমুখী পণ্যবাহী ট্রাক আটকে উত্তেজনা ঢাকায় পা রেখেই ইউনূসকে তারেকের ফোন, জানালেন কৃতজ্ঞতা যশোরের চৌগাছায় পৃথক ঘটনায় তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু যথাযথ মর্যাদায় দেশে বড়দিন উদযাপন শুর বিপিএল শুরুর আগের দিনই চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা ছাড়লেন মালিক

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে ঢাকায় যাত্রাপথে ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ভোলায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জেলার ক্লোজার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত।

নিহতের পরিচয় ও পারিবারিক পটভূমি
নিহত ছাত্রদল নেতার নাম রেজওয়ান আমিন সিফাত। বয়স ২৮ বছর। তিনি ভোলা সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।

দীর্ঘদিনের বিরোধ ও ঘটনার সূত্রপাত
স্বজন ও স্থানীয়দের মতে, সিফাতের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাইদের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত বিরোধ চলছিল। বুধবার বিকেলে এ বিরোধকে কেন্দ্র করে সিফাতের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাই হাসিব ও সাকিবের তর্কাতর্কি হয়। পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

ঢাকায় যাওয়ার পথে হামলা
বিকেলের ঘটনার পর সিফাত ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। তিনি তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হচ্ছিলেন। এ সময় ক্লোজার বাজার এলাকায় তাঁর চাচাতো ভাইদের নেতৃত্বে একটি দল পথরোধ করে সিফাতকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।

হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু
স্থানীয় মানুষজন ও পরিবারের সদস্যরা দ্রুত সিফাতকে উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকাগামী কর্মসূচির প্রেক্ষাপট
নিহতের বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার ও রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহজাহান ব্যাপারী জানান, তারেক রহমানের কর্মসূচিতে যোগ দিতে ভোলা থেকে বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতা-কর্মী ঢাকায় যাচ্ছিলেন। বুধবার রাতেই ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে অন্তত ১০টি লঞ্চ ছেড়ে যায়। সিফাতও ওই বহরের সঙ্গে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতিতে ছিলেন।

পুলিশের বক্তব্য ও তদন্ত
ভোলা সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে এবং হত্যাকাণ্ডের সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চার্চে উড়ো চিঠি ও হুমকিতে উদ্বেগ বাংলাদেশের খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতাদের

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে ঢাকায় যাত্রাপথে ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

১২:৫২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ভোলায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জেলার ক্লোজার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত।

নিহতের পরিচয় ও পারিবারিক পটভূমি
নিহত ছাত্রদল নেতার নাম রেজওয়ান আমিন সিফাত। বয়স ২৮ বছর। তিনি ভোলা সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।

দীর্ঘদিনের বিরোধ ও ঘটনার সূত্রপাত
স্বজন ও স্থানীয়দের মতে, সিফাতের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাইদের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত বিরোধ চলছিল। বুধবার বিকেলে এ বিরোধকে কেন্দ্র করে সিফাতের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাই হাসিব ও সাকিবের তর্কাতর্কি হয়। পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

ঢাকায় যাওয়ার পথে হামলা
বিকেলের ঘটনার পর সিফাত ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। তিনি তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হচ্ছিলেন। এ সময় ক্লোজার বাজার এলাকায় তাঁর চাচাতো ভাইদের নেতৃত্বে একটি দল পথরোধ করে সিফাতকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।

হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু
স্থানীয় মানুষজন ও পরিবারের সদস্যরা দ্রুত সিফাতকে উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকাগামী কর্মসূচির প্রেক্ষাপট
নিহতের বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার ও রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহজাহান ব্যাপারী জানান, তারেক রহমানের কর্মসূচিতে যোগ দিতে ভোলা থেকে বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতা-কর্মী ঢাকায় যাচ্ছিলেন। বুধবার রাতেই ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে অন্তত ১০টি লঞ্চ ছেড়ে যায়। সিফাতও ওই বহরের সঙ্গে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতিতে ছিলেন।

পুলিশের বক্তব্য ও তদন্ত
ভোলা সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে এবং হত্যাকাণ্ডের সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।