আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। এ জন্য তিনি নিজ দল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করবেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
দলের সিদ্ধান্ত ও প্রার্থিতা
শুক্রবার রাতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাশেদ খান ঝিনাইদহ–৪ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন। নুরের ভাষায়, নির্বাচনে জয়ের কৌশলের অংশ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নুরুল হক নুর আরও জানান, তিনি নিজে পটুয়াখালী–৩ আসন থেকে গণঅধিকার পরিষদের প্রতীক ট্রাক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
পদত্যাগ ও নতুন দায়িত্ব
নুরের বক্তব্য অনুযায়ী, রাশেদ খান শিগগিরই গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন এবং বিএনপিতে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তার পদত্যাগের পর দলটিতে একজন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হবে।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও জোট কৌশল
এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় নুরুল হক নুর বলেন, তিনি যাকে ‘ফ্যাসিবাদী শাসনকাল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, সেই সময়ে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের দাবিতে বিএনপিসহ প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল ও জোট একযোগে আন্দোলনে অংশ নেয়। গণঅধিকার পরিষদও সেই আন্দোলনের শরিক ছিল।
তিনি জানান, ওই আন্দোলনের পর রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও সংস্কার নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে এবং ভবিষ্যতে যৌথভাবে নির্বাচন ও সরকার গঠনের বিষয়ে একমত হয় দলগুলো।
নির্বাচনী বাস্তবতা
নুর বলেন, বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় জোটের শরিক দলগুলো নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে সব আসনে জয়ী হওয়া কঠিন। সে কারণেই যুগপৎ আন্দোলনের অনেক শরিক বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, বৃহত্তর নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে গণঅধিকার পরিষদ রাশেদ খানকে বিএনপির প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















