ব্রিটিশ বড়দিনের আলোঝলমলে সাজ, মিষ্টির বাক্স আর উৎসবের উষ্ণতার আড়ালে জমে থাকা পারিবারিক ক্ষত ও না বলা কথার গল্প নিয়ে প্রথমবার পরিচালকের চেয়ারে বসেছেন অভিনেত্রী কেট উইনসলেট। তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘গুডবাই জুন’ বড়দিনকে পটভূমি করে এক ভাঙা পরিবারের শেষ দিনগুলোর আবেগী যাত্রা তুলে ধরেছে।
বড়দিনের আনন্দ আর বিষণ্নতার যুগলবন্দি
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি এবং পরে অনলাইন মাধ্যমে প্রদর্শিত এই ছবির কাহিনিতে বড়দিনের আগের দুই সপ্তাহ ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে। ঝলমলে আলো আর উৎসবের ব্যস্ততার মধ্যেই হাসপাতালের কক্ষে মৃত্যুশয্যায় শুয়ে আছেন পরিবারের কেন্দ্রীয় চরিত্র জুন। দীর্ঘদিনের ক্যানসারের চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি পরিবারের সবাইকে এক জায়গায় জড়ো করে, বহুদিন পর একসঙ্গে বড়দিন কাটানোর বাস্তবতায় মুখোমুখি করে।
পারিবারিক গল্পে ব্যক্তিগত স্মৃতির ছায়া
এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন কেট উইনসলেটের ছেলে জো অ্যান্ডারস। কেট উইনসলেটের ভাষায়, গল্পটির ভেতরে আছে তাঁদের নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার প্রতিফলন। তাঁর মায়ের মৃত্যুর স্মৃতি থেকেই এই কাহিনির বীজ রোপিত। পড়াশোনার অংশ হিসেবে লেখা এই চিত্রনাট্যই পরে পূর্ণাঙ্গ ছবিতে রূপ নেয়, যেখানে মা ও ছেলে প্রথমবার সমান সহযোদ্ধা হয়ে কাজ করেছেন।

তারকাবহুল অভিনয় আর চরিত্রের সংঘাত
ছবিতে জুনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন হেলেন মিরেন। চার সন্তানের ভূমিকায় আছেন টনি কোলেট, কেট উইনসলেট, আন্দ্রেয়া রাইজবরো ও জনি ফ্লিন। বাবার চরিত্রে দেখা গেছে টিমোথি স্পলকে। হাসপাতালের কক্ষকে বড়দিনের সাজে সাজানোর মধ্যেই ভাইবোনদের পুরোনো ক্ষোভ, অসমাপ্ত দ্বন্দ্ব আর অবদমিত কষ্ট একে একে সামনে আসে। বিশেষ করে দুই বোনের টানাপোড়েন আর ছেলের সঙ্গে বাবার দূরত্ব গল্পকে আরও মানবিক করে তোলে।
শোকের ভেতর হাসি আর মুক্তির খোঁজ
এই চলচ্চিত্রে শোকের পাশাপাশি জায়গা পেয়েছে হাসি ও ব্যঙ্গ। মৃত্যু যখন নিশ্চিত, তখনও পরিবার চায় শেষ মুহূর্তগুলো হোক মর্যাদাপূর্ণ, মানবিক আর কখনও কখনও হাস্যরসাত্মক। বড়দিনের গল্পে যেমন নতুন জন্মের প্রতীক আছে, তেমনি এই ছবিতেও অপ্রত্যাশিত এক গর্ভধারণ নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। শোকের মাঝেও জীবন এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দেয় ‘গুডবাই জুন’
#কেটউইনসলেট #গুডবাইজুন #ব্রিটিশসিনেমা #বড়দিনেরগল্প #পারিবারিকড্রামা #আবেগঘনচলচ্চিত্র
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















