ঘন কুয়াশার কারণে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী পাঁচটি বিলাসবহুল লঞ্চের যাত্রা বাতিল করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় যাত্রীদের লঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লঞ্চ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত
রোববার রাত আটটার দিকে বরিশাল বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল এমন চারটি সরাসরি ও একটি পথভিত্তিক লঞ্চের যাত্রা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। বরিশাল বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চগুলো ছাড়ার আগেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
যেসব লঞ্চের যাত্রা বাতিল
বরিশাল নৌপরিবহন দপ্তরের ট্রাফিক পরিদর্শক জুলফিকার আলী জানান, যেসব লঞ্চের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে সেগুলো হলো পারাবত-১১, পারাবত-১২, এম খান-৭, সুরভী-৭ এবং সুন্দরবন রুটে চলাচলকারী ভায়া সুন্দরবন-১২।
আবহাওয়ার অবস্থা ও তাপমাত্রা
বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানায়, সারাদিনই ঘন কুয়াশা বিরাজ করেছে, যার ফলে সূর্যের আলো প্রায় দেখা যায়নি। রোববার বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেরো ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দুই দিনে তাপমাত্রা নেমেছিল বারো দশমিক চার ডিগ্রি এবং বৃহস্পতিবার ছিল বারো দশমিক পাঁচ ডিগ্রি। বুধবার তাপমাত্রা ছিল তেরো দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব
টানা শীত ও কুয়াশার কারণে বরিশাল অঞ্চলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। নৌপথে চলাচল সীমিত হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
যাত্রীদের ভোগান্তির কথা
ঢাকাগামী এক যাত্রী রহিমা বেগম জানান, প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে দুই ঘণ্টা লঞ্চে বসে থাকার পর হঠাৎ করে যাত্রা বাতিলের খবর দেওয়া হয়। পরে দুইটি ব্যাগ নিয়ে আবার বাড়ি ফিরতে হয়, যা তার জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।
পরবর্তী সিদ্ধান্ত
ট্রাফিক পরিদর্শক জুলফিকার আলী জানান, আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বরিশাল-ঢাকা নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় যাত্রা শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















