০১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন শান্তি চুক্তির আরও কাছাকাছি, তবু ডনবাসে রয়ে গেল জটিলতা জেজু এয়ার দুর্ঘটনার বর্ষপূর্তিতে সত্য উন্মোচনের অঙ্গীকার, নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা রাষ্ট্রপতির ট্রাম্প–নেতানিয়াহুর বৈঠক আজ, গাজা যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে বাড়ছে কূটনৈতিক চাপ মিয়ানমারে ব্যালটের নীরবতা, ভোট হলেও আস্থা নেই থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক ধীরগতির ছায়ায় বিদেশমুখী ক্রুঙ্গসরি ব্যাংক আলোর দিকে হেঁটে যাওয়া, বন্ধুত্বের ছায়ায় ফাটল নিউইয়র্কে টারটুফের নতুন পাঠ, মলিয়েরের ব্যঙ্গ আজকের রাজনীতির আয়নায় নীরব পর্দায় অর্গানের জাদু: শতবর্ষ পেরিয়েও কেন সিনেমা হলে ফিরে আসছে জীবন্ত সুর স্বাধীনতার সাহস থেকে ভবিষ্যতের প্রেম: নতুন বইয়ে দাসত্ব, ধনকুবের আর জলবায়ুর গল্প শব্দের ঘর কি ভেঙে পড়ছে অভিধান টিকে থাকবে তো

টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন, একাধিক ঘর পুড়ে ছাই

টেকনাফে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত বিশ থেকে পঁচিশটির বেশি ঘর পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টরা।

কখন ও কোথায় আগুন লাগে
রোববার রাত সাড়ে দশটার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ও আলীখালী এলাকার চব্বিশ ও পঁচিশ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ
লেদা ডেভেলপমেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলম জানান, ক্যাম্পের এক বাসিন্দার ঘরে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চার্জার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।

ক্ষয়ক্ষতির চিত্র
ক্যাম্পের বাসিন্দারা জানান, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় অনেক ঘর রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। কারও মতে পঁচিশ থেকে ত্রিশটির বেশি ঝুপড়ি ঘর ইতোমধ্যে পুড়ে গেছে। আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় শুরুতে স্থানীয়ভাবে তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপরতা
ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। একই সঙ্গে ক্যাম্পের বাসিন্দা ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করছেন।

নিরাপত্তা বাহিনীর বক্তব্য
এ বিষয়ে ষোল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মুহাম্মদ কাউছার সিকদার জানান, আলীখালী ও লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যবর্তী এলাকার ঘরগুলোতে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করছেন। আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন শান্তি চুক্তির আরও কাছাকাছি, তবু ডনবাসে রয়ে গেল জটিলতা

টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন, একাধিক ঘর পুড়ে ছাই

১১:৫৪:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

টেকনাফে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত বিশ থেকে পঁচিশটির বেশি ঘর পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টরা।

কখন ও কোথায় আগুন লাগে
রোববার রাত সাড়ে দশটার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ও আলীখালী এলাকার চব্বিশ ও পঁচিশ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ
লেদা ডেভেলপমেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলম জানান, ক্যাম্পের এক বাসিন্দার ঘরে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চার্জার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।

ক্ষয়ক্ষতির চিত্র
ক্যাম্পের বাসিন্দারা জানান, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় অনেক ঘর রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। কারও মতে পঁচিশ থেকে ত্রিশটির বেশি ঝুপড়ি ঘর ইতোমধ্যে পুড়ে গেছে। আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় শুরুতে স্থানীয়ভাবে তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপরতা
ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। একই সঙ্গে ক্যাম্পের বাসিন্দা ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করছেন।

নিরাপত্তা বাহিনীর বক্তব্য
এ বিষয়ে ষোল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মুহাম্মদ কাউছার সিকদার জানান, আলীখালী ও লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যবর্তী এলাকার ঘরগুলোতে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করছেন। আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।