ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসান এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা আরও গভীর হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্ভাব্য ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা উপস্থিতির বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। জেলেনস্কির ভাষায়, এই উপস্থিতি ইউক্রেনের জন্য শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তার ভিত্তি হতে পারে।
নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা
জেলেনস্কি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের অংশ হিসেবে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়েছে। তাঁর মতে, যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে এমন উপস্থিতি ইউক্রেনকে কৌশলগতভাবে আরও নিরাপদ অবস্থানে নেবে। যদিও এ বিষয়ে এখনো হোয়াইট হাউস আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি ও সীমান্ত জট
ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুদ্ধ বন্ধে একটি সমঝোতার খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে দুই পক্ষ। তবে ভূখণ্ড সংক্রান্ত জটিলতা এখনো বড় বাধা হিসেবে রয়ে গেছে। ট্রাম্পের মতে, ইউরোপীয় দেশগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ভূমিকা নিতে হবে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র সহায়কের ভূমিকায় থাকবে।
পুতিনের বাসভবনে হামলার অভিযোগ নিয়ে বিতর্ক
এই আলোচনার মধ্যে রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেন পুতিনের একটি সরকারি বাসভবনে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালিয়েছে। কিয়েভ এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। জেলেনস্কির বক্তব্য, এই ধরনের দাবি যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার অজুহাত মাত্র। ফ্রান্সের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের হামলার কোনো প্রমাণ তাদের হাতে নেই।
পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তুতির বার্তা
জেলেনস্কি আবারও জানিয়েছেন, যুদ্ধ শেষ করতে হলে তিনি যেকোনো কাঠামোতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তুত। তাঁর কথায়, ভয়ের কিছু নেই, মূল বিষয় হলো শান্তির পথে এগোনোর মানসিকতা।
ইউক্রেনে চলমান হামলা ও অর্থনৈতিক উদ্বেগ
শান্তি আলোচনার পাশাপাশি ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলে ড্রোন হামলা অব্যাহত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও বাণিজ্যিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে এসব হামলা দেশটির যুদ্ধকালীন অর্থনীতিকে আরও চাপে ফেলছে। কৃষ্ণসাগর এলাকায় সামুদ্রিক সংঘাতও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেড়েছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















