১২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পর্তুগাল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে রোববার নতুন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ঘোষণা করেছে, এখন থেকে কোম্পানিগুলোকে প্রতিটি এইচ-১বি কর্মী ভিসার জন্য বছরে ১ লাখ ডলার করে দিতে হবে। প্রযুক্তি খাতে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি বড় ধাক্কা হতে পারে। অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি এ বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন আইনি অভিবাসনেও নানা সীমাবদ্ধতা আরোপ করছে। এবার এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিকে নতুনভাবে সাজানোই হচ্ছে সবচেয়ে আলোচিত পদক্ষেপ। ট্রাম্পের বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস বলেছেন, “আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের প্রশিক্ষণ দিন। আমাদের চাকরি বিদেশিদের দেবেন না।” সমালোচনা ও সমর্থন প্রযুক্তি খাতের অনেক প্রতিষ্ঠান ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে বড় অঙ্কের অর্থ দিয়েছে, অথচ এই পদক্ষেপ নিয়ে তারা এখন সমস্যায় পড়তে পারে। সমালোচকদের দাবি, এই কর্মসূচির মাধ্যমে কোম্পানিগুলো কম মজুরিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে স্থানীয়দের বঞ্চিত করছে। অন্যদিকে সমর্থকরা, যেমন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক, মনে করেন এই ভিসা বিশ্বমানের দক্ষ কর্মী নিয়ে আসে, যা প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অপরিহার্য। মাস্ক নিজেও আগে এইচ-১বি ভিসাধারী ছিলেন। তথ্য ও পরিসংখ্যান সরকারি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ লাখে, যদিও এ সময় স্থানীয় এসটিইএম চাকরির প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৪৪.৫%। বিশ্ব প্রতিভা হারানোর ঝুঁকি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম মেনলো ভেঞ্চার্সের পার্টনার ডেভিড স্যাক্স সতর্ক করে বলেছেন, এত বেশি ফি দিলে বিশ্বের সেরা প্রতিভাবানরা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে নিরুৎসাহিত হবেন। এতে উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সক্ষমতা হ্রাস পাবে। এতে ছোট ও নতুন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ফি অনেক প্রতিষ্ঠানকে কাজ বিদেশে সরিয়ে নিতে বাধ্য করতে পারে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রকে পিছিয়ে দেবে। ভারত ও চীনের প্রভাব ২০২৪ সালে অনুমোদিত সব এইচ-১বি ভিসার মধ্যে ৭১% গিয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের কাছে। চীনের শেয়ার ছিল মাত্র ১১.৭%। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে অ্যামাজন ও তার ক্লাউড শাখা এডব্লিউএস একাই ১২ হাজারের বেশি এইচ-১বি অনুমোদন পেয়েছে। মাইক্রোসফট ও মেটাও ৫ হাজারের বেশি অনুমোদন পেয়েছে। বড় কোম্পানিগুলোর অবস্থান উইলবার রস দাবি করেছেন, বড় বড় কোম্পানিগুলো বছরে ১ লাখ ডলারের প্রস্তাবে সম্মত। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান ও ভারত-চীনের কূটনৈতিক মিশন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এরই মধ্যে মার্কিন শেয়ারবাজারে আইটি সেবাদাতা কগনিজ্যান্টের শেয়ার প্রায় ৫% এবং ভারতীয় আইটি কোম্পানি ইনফোসিস ও উইপ্রোর শেয়ার ২–৫% পর্যন্ত কমে গেছে। আইনগত প্রশ্ন ও নতুন পদক্ষেপ অভিবাসন নীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, কংগ্রেস শুধুমাত্র প্রশাসনিক খরচ মেটানোর জন্য ফি ধার্য করার অনুমতি দিয়েছে, তাই এভাবে বিশাল ফি আরোপের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বর্তমানে বছরে ৬৫ হাজার সাধারণ ও ২০ হাজার উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের জন্য এইচ-১বি ভিসা অনুমোদিত হয়। লটারিতে অংশ নিতে তুলনামূলক কম ফি লাগে, আর অনুমোদনের পর কয়েক হাজার ডলার খরচ হয়। সাধারণত তিন থেকে ছয় বছরের জন্য এই ভিসা অনুমোদিত হয়। এছাড়া, ট্রাম্প শুক্রবার আরেকটি নির্বাহী আদেশে ঘোষণা করেছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বসবাসের জন্য ১০ লাখ ডলার দিতে পারবেন, তাদের জন্য তৈরি হবে নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ ব্যবস্থা। নতুন নীতি প্রযুক্তি খাত, বিশেষ করে ভারত ও চীন থেকে আসা দক্ষ কর্মীদের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। স্বল্পমেয়াদে সরকার রাজস্ব পেতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র উদ্ভাবনী শক্তি হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ট্রাম্পের নতুন ভিসা নীতি: ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ভবিষ্যৎ ভাত না রুটি, কী খাওয়া উচিত? বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাগ্য বদলাল আবুধাবি বিগ টিকিটে ফিলিস্তিন স্বীকৃতি নিয়ে বিশ্বশক্তির টানাপোড়েন হয়রানি ও বৈষম্যে বিপন্ন ব্যবসায়ীরা: অর্থনীতির মেরুদণ্ডে চাপ নেপালে ‘জেন জেড’ আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারীরা গুলি চালিয়েছে গর্ভবতী নারী ও সন্তানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল ফরিদপুরে খুলনার দিঘলিয়ায় বিএনপি দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে ১৪৪ ধারা জারি

সরকারি চাকুরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনঃসংস্কারের দাবি

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০৬:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪
  • 35

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ২০১৮ সালের আদেশকে হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা ও কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে এক ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং তারা সমবেতভাবে এক বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলে। এ বিষয়টি বাংলাদেশ শান্তির দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

এই বিষয়ে দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ শান্তির দলের চেয়ারম্যান শান্তির মহানায়ক, আগামীদিনের বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক, এ্যাডভোকেট সৈয়দ আবদুল্লাহ সহিদ অভিমত ব্যক্ত করেন, পূর্বতন কোটা ব্যবস্থায় যে ৫৬% চাকুরি কোটার মাধ্যমে এবং ৪৪% চাকরি মেধার মাধ্যমে দেয়ার বিধান ছিল উহা অত্যন্ত অযৌক্তিক, বিবেচনাহীন ও অগ্রহণযোগ্য ছিল। উহা কোটার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শতকরা ৭% এবং মেধার ভিত্তিতে শতকরা ৯৩% হওয়া যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত। এই বিষয়ে বর্তমানে চলমান ছাত্রদের আন্দোলন হাইকোর্টের রায় ও সরকারের বিবৃতি ইত্যাদি বিষয়ে দলের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সৈয়দ আবদুল্লাহ সহিদ বাংলাদেশের সংবিধানের আর্টিকেলের ৭ (১), ৭ (২) এর বর্ণিত বিধানের প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

তিনি বলেন যে, ৭ (১) এ বর্ণিত হয়েছে যে ‘প্রজাতন্ত্রের সকল মালিক জনগণ এবং জনগণের পক্ষে সেই মতামত প্রয়োগ কেবল সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে’ এবং আর্টিকেল ৭ (২) বর্ণিত হয়েছে যে, ‘জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন…’। দলের চেয়ারম্যান আরো অভিমত ব্যক্ত করেন যে, কোটা সংস্কারে এই আন্দোলন দেশের সকল স্তরের আপামর ছাত্রবৃন্দের সমর্থন থাকায়, এখন ছাত্ররূপী জনগণের অভিপ্রায় ও পরম অভিব্যক্তিরূপে বিবেচনার যোগ্য।

সংবিধানে আর্টিকেল ৭(২) এ বর্ণিত এইরূপ জনগণের অভিপ্রায় ও পরম অভিব্যক্তি রাষ্ট্রের ৩টি অঙ্গ- নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগের (সংসদ) তাদের কার্য পরিচালনায় নিয়ামক শক্তিরূপে মান্যতা করতে বাধ্য। ফলে এই আন্দোলনের দাবি সাংবিধানিকভাবে যৌক্তিক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের মেনে নেয়া উচিত। তিনি এ ব্যাপারে ছাত্রদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা যেন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেন এবং সরকার যেন সংবিধানের আর্টিকেল ৭(২) এর আলোকে সর্বোচ্চ ৭% কোটা বহাল করে এই বিষয়ে যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা সত্ত্বর গ্রহণ করেন।

পর্তুগাল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে রোববার

সরকারি চাকুরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনঃসংস্কারের দাবি

০৮:০৬:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ২০১৮ সালের আদেশকে হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা ও কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে এক ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং তারা সমবেতভাবে এক বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলে। এ বিষয়টি বাংলাদেশ শান্তির দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

এই বিষয়ে দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ শান্তির দলের চেয়ারম্যান শান্তির মহানায়ক, আগামীদিনের বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক, এ্যাডভোকেট সৈয়দ আবদুল্লাহ সহিদ অভিমত ব্যক্ত করেন, পূর্বতন কোটা ব্যবস্থায় যে ৫৬% চাকুরি কোটার মাধ্যমে এবং ৪৪% চাকরি মেধার মাধ্যমে দেয়ার বিধান ছিল উহা অত্যন্ত অযৌক্তিক, বিবেচনাহীন ও অগ্রহণযোগ্য ছিল। উহা কোটার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শতকরা ৭% এবং মেধার ভিত্তিতে শতকরা ৯৩% হওয়া যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত। এই বিষয়ে বর্তমানে চলমান ছাত্রদের আন্দোলন হাইকোর্টের রায় ও সরকারের বিবৃতি ইত্যাদি বিষয়ে দলের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সৈয়দ আবদুল্লাহ সহিদ বাংলাদেশের সংবিধানের আর্টিকেলের ৭ (১), ৭ (২) এর বর্ণিত বিধানের প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

তিনি বলেন যে, ৭ (১) এ বর্ণিত হয়েছে যে ‘প্রজাতন্ত্রের সকল মালিক জনগণ এবং জনগণের পক্ষে সেই মতামত প্রয়োগ কেবল সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে’ এবং আর্টিকেল ৭ (২) বর্ণিত হয়েছে যে, ‘জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন…’। দলের চেয়ারম্যান আরো অভিমত ব্যক্ত করেন যে, কোটা সংস্কারে এই আন্দোলন দেশের সকল স্তরের আপামর ছাত্রবৃন্দের সমর্থন থাকায়, এখন ছাত্ররূপী জনগণের অভিপ্রায় ও পরম অভিব্যক্তিরূপে বিবেচনার যোগ্য।

সংবিধানে আর্টিকেল ৭(২) এ বর্ণিত এইরূপ জনগণের অভিপ্রায় ও পরম অভিব্যক্তি রাষ্ট্রের ৩টি অঙ্গ- নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগের (সংসদ) তাদের কার্য পরিচালনায় নিয়ামক শক্তিরূপে মান্যতা করতে বাধ্য। ফলে এই আন্দোলনের দাবি সাংবিধানিকভাবে যৌক্তিক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের মেনে নেয়া উচিত। তিনি এ ব্যাপারে ছাত্রদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা যেন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেন এবং সরকার যেন সংবিধানের আর্টিকেল ৭(২) এর আলোকে সর্বোচ্চ ৭% কোটা বহাল করে এই বিষয়ে যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা সত্ত্বর গ্রহণ করেন।