১২:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ ‘ইনল্যান্ড টাইপ্যান’: প্রাণঘাতী বিষ, শান্ত স্বভাবের এই সরীসৃপের অজানা বিস্ময় কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে পুলিশের মৃত্যু রবিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ভিয়েতনামী ঔপন্যাসিক ড. ফান কুয়ে মাই শারজাহ বইমেলায় পাঠকদের মুগ্ধ করলেন মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৮৩৪ জন পাকিস্তানের দুর্ভিক্ষের বছর? প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রত্যাশীদের আমরণ অনশন ৬৫ ঘণ্টা অতিক্রম, সরকারের নীরবতা অব্যাহত গণভোটের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই: বিএনপি নেতা আমীর খসরু

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৬:২৮:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 27

ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

মায়া জনগোষ্ঠীর কয়েকটি আঞ্চলিক সংস্কৃতি

 মায়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে যত রকম সূত্রের মানুষ আছেন তার মধ্যে সবচেয়ে পুর মায়া রাজনগোষ্ঠীর মধ্যে শিল্পীমনের মানুষ হল তুতুজিল সংস্কৃতিভুক্ত। এই গোষ্ঠীর অথবাসী ইতি আরো গো আতিতলান (Santiago Atitlan) আমলের মূল খানে সবাই সাধারণত পানাজাচেল থেকে ছোট ছোট নৌকায় চড়ে আসে। এখানকার মূল অধিবাসীরা।

জন্মগতভাবেই শিল্প তথা তেল ও জল রং-এর চিত্রকলায় বেশ পটু। তাছাড়া নানাবিধ পাথরের মূর্তি গড়ার কাজেও বেশ সুদক্ষ। মেয়েরা নিজেরাই একটা বড় ফিতে মাথার পাথরের মূর্তি গড়ার কাদেয়। এই আকারটা অনেকটা কোণাকুণি। লেকের কাছে বা তীরে আরো কয়েকটা গ্রাম আছে। এগুলিও সুন্দর।

পরপর সাজানো এইসব শহর-এর নাম-সান লুকাস তোতিমান (San Lucas Totiman), সান পেদ্রো (San Pedro), সান যুয়ান (San Juan), সান্তা আনা (Santa Ana), সান পাবলো (San Pablo), সান মার্কোস (San Marcos), সান্তাক্রজ লা লাগুনা (Santacruz La Laguna) এইসব শহরের অধিকাংশ মানুষের পেশা/জীবিকা হল কৃষিকাজ। এছাড়া মাছ ধরা, হস্তচালিত শিল্প, হাতে বোনা ঝুড়িও বাজারে বিক্রির জন্য আসে।

চিচিকাসতেনাংগো: মায়া জনজাতির বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে চিচিকাসতেনাংগো (Chichicustenango) নামে ছোট শহরটি গুয়াতেমালা শহর থেকে সাতাশি মাইল দূরে অবস্থিত। এই সানতো তোমাস (Santo Tomas) অঞ্চলটি নানা ধরনের বাণিজ্যিক উৎপন্নের প্রাণকেন্দ্র। ঐতিহাসিক অনুসন্ধানে জানা যায় এই চিচিকাসে প্রাচীন ভারতীয়রা কোনো এক সময় অধিবাসী হিসেবে এসেছিল।

এদের সাধারণভাবে কিচে ভারতীয় (Quiche Indian) বলা হয়। সপ্তাহের দু’দিন বৃহস্পতি এবং রবিবার এখানে বাজার বসে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এই বাণিজ্যিক কেন্দ্রর জৌলুস উপভোগ করতে আসে। পর্যটক এবং দোকান, বিক্রেতাদের মধ্যে জমজমাট দর কষাকষি চলে। এবং পর্যটকরা কখনও জেতে বা কখনো বিক্রেতা ব্যবসায়ীরা দরটানাটানিতে জয়ী হয়। সান্তো তমাসের সাপ্তাহিক বাজারে প্রধানত হস্ত শিল্পজাত নানা সামগ্রী, নানা ধরনের ফুল, হাতে-বোনা জামা-কাপড়, কাঠের সামগ্রী এবং সাবেকি কায়দায় তৈরি মুখোস কেনাবেচা হয়।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১৩)

জনপ্রিয় সংবাদ

আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১৪)

০৬:২৮:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

মায়া জনগোষ্ঠীর কয়েকটি আঞ্চলিক সংস্কৃতি

 মায়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে যত রকম সূত্রের মানুষ আছেন তার মধ্যে সবচেয়ে পুর মায়া রাজনগোষ্ঠীর মধ্যে শিল্পীমনের মানুষ হল তুতুজিল সংস্কৃতিভুক্ত। এই গোষ্ঠীর অথবাসী ইতি আরো গো আতিতলান (Santiago Atitlan) আমলের মূল খানে সবাই সাধারণত পানাজাচেল থেকে ছোট ছোট নৌকায় চড়ে আসে। এখানকার মূল অধিবাসীরা।

জন্মগতভাবেই শিল্প তথা তেল ও জল রং-এর চিত্রকলায় বেশ পটু। তাছাড়া নানাবিধ পাথরের মূর্তি গড়ার কাজেও বেশ সুদক্ষ। মেয়েরা নিজেরাই একটা বড় ফিতে মাথার পাথরের মূর্তি গড়ার কাদেয়। এই আকারটা অনেকটা কোণাকুণি। লেকের কাছে বা তীরে আরো কয়েকটা গ্রাম আছে। এগুলিও সুন্দর।

পরপর সাজানো এইসব শহর-এর নাম-সান লুকাস তোতিমান (San Lucas Totiman), সান পেদ্রো (San Pedro), সান যুয়ান (San Juan), সান্তা আনা (Santa Ana), সান পাবলো (San Pablo), সান মার্কোস (San Marcos), সান্তাক্রজ লা লাগুনা (Santacruz La Laguna) এইসব শহরের অধিকাংশ মানুষের পেশা/জীবিকা হল কৃষিকাজ। এছাড়া মাছ ধরা, হস্তচালিত শিল্প, হাতে বোনা ঝুড়িও বাজারে বিক্রির জন্য আসে।

চিচিকাসতেনাংগো: মায়া জনজাতির বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে চিচিকাসতেনাংগো (Chichicustenango) নামে ছোট শহরটি গুয়াতেমালা শহর থেকে সাতাশি মাইল দূরে অবস্থিত। এই সানতো তোমাস (Santo Tomas) অঞ্চলটি নানা ধরনের বাণিজ্যিক উৎপন্নের প্রাণকেন্দ্র। ঐতিহাসিক অনুসন্ধানে জানা যায় এই চিচিকাসে প্রাচীন ভারতীয়রা কোনো এক সময় অধিবাসী হিসেবে এসেছিল।

এদের সাধারণভাবে কিচে ভারতীয় (Quiche Indian) বলা হয়। সপ্তাহের দু’দিন বৃহস্পতি এবং রবিবার এখানে বাজার বসে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এই বাণিজ্যিক কেন্দ্রর জৌলুস উপভোগ করতে আসে। পর্যটক এবং দোকান, বিক্রেতাদের মধ্যে জমজমাট দর কষাকষি চলে। এবং পর্যটকরা কখনও জেতে বা কখনো বিক্রেতা ব্যবসায়ীরা দরটানাটানিতে জয়ী হয়। সান্তো তমাসের সাপ্তাহিক বাজারে প্রধানত হস্ত শিল্পজাত নানা সামগ্রী, নানা ধরনের ফুল, হাতে-বোনা জামা-কাপড়, কাঠের সামগ্রী এবং সাবেকি কায়দায় তৈরি মুখোস কেনাবেচা হয়।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১৩)