০৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩৩  বিচারকের বাসায় হামলা: ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী হাসপাতালে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামে মিলল খণ্ডিত মরদেহ: রাজধানীতে চাঞ্চল্য চার্টার ভাঙলে দায় নেবে না বিএনপি: প্রধান উপদেষ্টাকে খসরুর কড়া সতর্কবার্তা সিলেট টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে জয়ের দোরগোড়ায় বাওতোকে কেন্দ্র করে চীনের রেয়ার আর্থ শিল্পে বড় রূপান্তর ভারতে জার্মান কায়দায় রিসিন সন্ত্রাস হামলার প্রস্তুতির অভিযোগ গুজরাটে রিচিন হামলা ষড়যন্ত্র: মুজাফ্‌ফরনগরের একই মাদ্রাসায় পড়তেন দুই অভিযুক্ত কাফরুল থানার সামনে ককটেল নিক্ষেপ: পালানোর সময় যুবক আটক তাইওয়ানি ইনফ্লুয়েন্সারের মৃত্যু: মালয়েশিয়ান র‍্যাপার নেমউই জামিনে মুক্ত, তদন্ত চলছে

চট্টগ্রামে ডেঙ্গু: ৭ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত

  • Sarakhon Report
  • ০৭:২২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
  • 69

চট্টগ্রামে দিন দিন বেড়েই চলছে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ঝুঁকিতে রয়েছে মহানগরীর বেশিরভাগ এলাকা।এদিকে ৭ এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও ৫ এলাকাকে হলুদ, ৭ এলাকাকে নীল ও ৪ এলাকাকে সবুজ জোন চিহ্নিত করা হয়েছে।ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তৈরি করা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে এক মাসের অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু আক্রান্তের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

গত এক মাসে কোতোয়ালি এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৬, বাকলিয়ায় ১০৩, বায়েজিদে ৭৬, বন্দরে ৩৩, পাহাড়তলীতে ৩২, খুলশিতে ২৩ ও চকবাজারে ২০ জন। এসব এলাকা রয়েছে রেডজোনের তালিকায়।

এছাড়াও পাঁচলাইশে ১৯, হালিশহরে ১৮, পতেঙ্গায় ১৫, চান্দগাঁওয়ে ১১ ও ডবলমুরিংয়ে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এসব এলাকা রয়েছে হলুদ জোনে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও কীটতত্ত্ববিদরা বলেন, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ। আর এ ৭ ওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জনঅধ্যুষিত। এসব এলাকায় মশা নিধন কর্মসূচি জোরদার করা উচিত।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই ৫১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই চিহ্নিত ৭ ওয়ার্ডের।

এ বছর ডেঙ্গুতে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরেই ১১ জন।

গত বছরের মতো এ রোগের প্রকট না হলেও অক্টোবরে আক্রান্তর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে শঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মতে, এবার বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে শরৎকালে। তাই বর্ষা মৌসুমে এবার ডেঙ্গুর হানা ছিল না। কিন্তু সেপ্টেম্বরে থেমে থেমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে, এজন্য মশাবাহিত এ রোগের বিস্তার ঘটেছে। তবে ডেঙ্গু এখন মৌসুমি রোগ নয় এর প্রকোপ সারাবছর। অক্টোবরে ডেঙ্গু আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রমতে, ৭টি ওয়ার্ডকেই অতি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে সিটি করপোরেশন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়। ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে পাঁচলাইশ, হালিশহর, পতেঙ্গা, চান্দগাঁও, ডবলমুরিং এলাকাও। যেসব এলাকা কম ঝুঁকিপূর্ণ, সেসব এলাকায়ও মশার তীব্র উৎপাত রয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যেসব এলাকায় বেশি ডেঙ্গু রোগী পাচ্ছি, সেগুলোকে রেড জোন চিহ্নিত করছি। সেই তালিকা সিটি করপোরেশনে দিয়ে এলাকাগুলোতে মশা নিধনে বিশেষ নজর দিতে বলেছি।

জেলা কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদাওছ বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যার ভিত্তিতে এসব এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এই তালিকা আমরা সিটি করপোরেশনকে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, তালিকার ভিত্তিতে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা, ওষুধ ছিটানো এবং মানুষকে সচেতন করার কাজ করবে। আমরা গত মাসের জরিপে দেখতে পেয়েছি, যেখানে মশা বেশি সেখানে রোগীর সংখ্যাও বেশি। এসব বিষয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২১ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছল ১ হাজার ৮৬৭ জনে। যার মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরেই ৯০৭ জন। চলতি মাসের ৭ দিনে আক্রান্ত ৩৬২ জন।

ইউএনবি নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩৩

চট্টগ্রামে ডেঙ্গু: ৭ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত

০৭:২২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রামে দিন দিন বেড়েই চলছে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ঝুঁকিতে রয়েছে মহানগরীর বেশিরভাগ এলাকা।এদিকে ৭ এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও ৫ এলাকাকে হলুদ, ৭ এলাকাকে নীল ও ৪ এলাকাকে সবুজ জোন চিহ্নিত করা হয়েছে।ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তৈরি করা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে এক মাসের অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু আক্রান্তের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

গত এক মাসে কোতোয়ালি এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৬, বাকলিয়ায় ১০৩, বায়েজিদে ৭৬, বন্দরে ৩৩, পাহাড়তলীতে ৩২, খুলশিতে ২৩ ও চকবাজারে ২০ জন। এসব এলাকা রয়েছে রেডজোনের তালিকায়।

এছাড়াও পাঁচলাইশে ১৯, হালিশহরে ১৮, পতেঙ্গায় ১৫, চান্দগাঁওয়ে ১১ ও ডবলমুরিংয়ে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এসব এলাকা রয়েছে হলুদ জোনে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও কীটতত্ত্ববিদরা বলেন, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ। আর এ ৭ ওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জনঅধ্যুষিত। এসব এলাকায় মশা নিধন কর্মসূচি জোরদার করা উচিত।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই ৫১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই চিহ্নিত ৭ ওয়ার্ডের।

এ বছর ডেঙ্গুতে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরেই ১১ জন।

গত বছরের মতো এ রোগের প্রকট না হলেও অক্টোবরে আক্রান্তর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে শঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মতে, এবার বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে শরৎকালে। তাই বর্ষা মৌসুমে এবার ডেঙ্গুর হানা ছিল না। কিন্তু সেপ্টেম্বরে থেমে থেমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে, এজন্য মশাবাহিত এ রোগের বিস্তার ঘটেছে। তবে ডেঙ্গু এখন মৌসুমি রোগ নয় এর প্রকোপ সারাবছর। অক্টোবরে ডেঙ্গু আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রমতে, ৭টি ওয়ার্ডকেই অতি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে সিটি করপোরেশন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়। ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে পাঁচলাইশ, হালিশহর, পতেঙ্গা, চান্দগাঁও, ডবলমুরিং এলাকাও। যেসব এলাকা কম ঝুঁকিপূর্ণ, সেসব এলাকায়ও মশার তীব্র উৎপাত রয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যেসব এলাকায় বেশি ডেঙ্গু রোগী পাচ্ছি, সেগুলোকে রেড জোন চিহ্নিত করছি। সেই তালিকা সিটি করপোরেশনে দিয়ে এলাকাগুলোতে মশা নিধনে বিশেষ নজর দিতে বলেছি।

জেলা কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদাওছ বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যার ভিত্তিতে এসব এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এই তালিকা আমরা সিটি করপোরেশনকে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, তালিকার ভিত্তিতে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা, ওষুধ ছিটানো এবং মানুষকে সচেতন করার কাজ করবে। আমরা গত মাসের জরিপে দেখতে পেয়েছি, যেখানে মশা বেশি সেখানে রোগীর সংখ্যাও বেশি। এসব বিষয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২১ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছল ১ হাজার ৮৬৭ জনে। যার মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরেই ৯০৭ জন। চলতি মাসের ৭ দিনে আক্রান্ত ৩৬২ জন।

ইউএনবি নিউজ