০২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিমানবন্দরের জন্য নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’ মিয়ানমারের কালোবাজারি যুদ্ধ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করছে ফেড সুদের হার কমাল, আরও কমানোর ইঙ্গিত; নতুন গভর্নর মিরানের ভিন্ন মত এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনা: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মামলা বোয়িং ও হানিওয়েলের বিরুদ্ধে “ভারতের আরবান কোম্পানির শেয়ার বাজারে অভিষেক: প্রথম দিনেই ৭৪% উল্লম্ফন, বাজারমূল্য ছুঁল ৩ বিলিয়ন ডলার” ভারতের চালের মজুত সর্বকালের সর্বোচ্চ, গমেও চার বছরের রেকর্ড ব্রিটেনের সিদ্ধান্ত: এই সপ্তাহান্তে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি জাপান ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে না যে সাক্ষাৎকারটি নেয়নি মোদির উত্তরসূরি নিয়ে জল্পনা সত্ত্বেও ক্ষমতায় দৃঢ় অবস্থান

গাজীপুরে ৬টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

  • Sarakhon Report
  • ১০:১২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • 31

গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানা।

রবিবার (৩রা নভেম্বর) বাংলাদেশের গাজীপুরে ৬টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩(১) ধারা মোতাবেক ওই ৬টি কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

কারখানাগুলোতে কাজ করতেন প্রায় ১৪ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী।

বন্ধ হওয়া ৬টি কারখানা হলো- তুসুকা জিন্স লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিটেড এবং তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড।

কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, কারখানাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কারখানার ফটকে লাগিয়ে দেওয়া এক নোটিশে জানানো হয়, শনিবার (৩রা নভেম্বর) কারখানার শ্রমিক ও অজ্ঞাত বহিরাগত দুষ্কৃতকারীরা ‘অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কাজ বন্ধ রাখে’।

শ্রমিকরা সকালে হাজিরা দিয়ে বের হয়েই ‘অস্থিতিশীল পরিবেশ’ তৈরি করেছে বলা হচ্ছে সেই নোটিশে।

‘উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ’

নোটিশে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজে ফেরার অনূর্ধ্ব জানালে শ্রমিকরা তা অমান্য করে ‘উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে’।

শ্রমিকদের এই আন্দোলনকে ‘অবৈধ ধর্মঘট’ হিসেবে দেখছে কর্তৃপক্ষ।

“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে এবং পুনরায় কাজের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হলে কারখানাগুলোর খোলার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে”, একথা জানিয়েছেন তুসু কারখানার মহাব্যবস্থাপক মাসুম হোসেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ (কোনাবাড়ী জোনের) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব বলেন, “শ্রমিকদের কিছু দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও শ্রমিকেরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একমত পোষণ করতে পারেননি।”

এই পোশাক কারখানায় শনিবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখে হাজিরা বোনাস, বাৎসরিক বেতন, নাইট বিল, টিফিন বিল বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেছেন কয়েক হাজার শ্রমিক।

ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা

বিমানবন্দরের জন্য নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

গাজীপুরে ৬টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১০:১২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

রবিবার (৩রা নভেম্বর) বাংলাদেশের গাজীপুরে ৬টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩(১) ধারা মোতাবেক ওই ৬টি কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

কারখানাগুলোতে কাজ করতেন প্রায় ১৪ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী।

বন্ধ হওয়া ৬টি কারখানা হলো- তুসুকা জিন্স লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিটেড এবং তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড।

কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, কারখানাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কারখানার ফটকে লাগিয়ে দেওয়া এক নোটিশে জানানো হয়, শনিবার (৩রা নভেম্বর) কারখানার শ্রমিক ও অজ্ঞাত বহিরাগত দুষ্কৃতকারীরা ‘অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কাজ বন্ধ রাখে’।

শ্রমিকরা সকালে হাজিরা দিয়ে বের হয়েই ‘অস্থিতিশীল পরিবেশ’ তৈরি করেছে বলা হচ্ছে সেই নোটিশে।

‘উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ’

নোটিশে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজে ফেরার অনূর্ধ্ব জানালে শ্রমিকরা তা অমান্য করে ‘উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে’।

শ্রমিকদের এই আন্দোলনকে ‘অবৈধ ধর্মঘট’ হিসেবে দেখছে কর্তৃপক্ষ।

“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে এবং পুনরায় কাজের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হলে কারখানাগুলোর খোলার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে”, একথা জানিয়েছেন তুসু কারখানার মহাব্যবস্থাপক মাসুম হোসেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ (কোনাবাড়ী জোনের) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব বলেন, “শ্রমিকদের কিছু দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও শ্রমিকেরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একমত পোষণ করতে পারেননি।”

এই পোশাক কারখানায় শনিবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখে হাজিরা বোনাস, বাৎসরিক বেতন, নাইট বিল, টিফিন বিল বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেছেন কয়েক হাজার শ্রমিক।

ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা