০৬:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
গ্রাহক সুরক্ষায় বৈশ্বিক স্বীকৃতি: ‘সিপিসি গোল্ড’ অর্জন করল ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স মেক্সিকো প্রেসিডেন্টের প্রতি যৌন হয়রানি: নারী সহিংসতা নিয়ে নতুন বিতর্ক তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে আপিলের শুনানি ১১ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি গাজায় দুই বছরের যুদ্ধ শেষে ধ্বংসস্তূপের মাঝে জীবন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে স্থগিত পাঁচ শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন গাজীপুরে অভিযান: সাবেক ছাত্রদল নেতা এনামুলসহ ৭ জন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতীফ সিদ্দিকীর জামিন মঞ্জুর দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি: শক্তির মাধ্যমে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে নির্বাচনের আগের পরিবেশ এখনো নাজুক: আইআরআই টাইফুন কালমায়গির তাণ্ডবে ফিলিপাইনে ১১৪ জনের মৃত্যু, ঝড়টি শক্তি সঞ্চয় করে ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর

উপকূলীয় অঞ্চলে পানির সমস্যা দূরীকরণ’ প্রকল্পে সহযোগিতা করার আশ্বাস

  • Sarakhon Report
  • ০১:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • 58

চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারীদের নিরাপদ পানি প্রদানের লক্ষ্যে একত্রে কাজ করবে আইসিডিডিআর,বি এবং ইবিএল

নিজস্ব প্রতিবেদক  

কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আইসিডিডিআর,বি-র সাথে কাজ করছে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি. (ইবিএল)। চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পানির ঘাটতি দূর করার লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে বিশেষ এই সিএসআর কার্যক্রম। আজ ঢাকায় উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ইবিএল এর প্রধান কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সাক্ষর করা হয়।

এবছরের শুরুর দিকে একটি চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে ইবিএল আইসিডিডিআর,বি কে অনুদান প্রদান করে। যা আইসিডিডিআর,বি সাফল্যের সাথে শেষ করে। এরই ধারাবাহিকতায়, আইসিডিডিআর,বি-র ‘কঠিন বিপজ্জনক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সর্বোত্তম অনুশীলন’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ইবিএল তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিছেছে।  প্রকল্পের এই পর্যায়ে  আইসিডিডিআর,বি-তে উন্নত জীবাণুমুক্তকরণ প্রযুক্তি প্রবর্তন করে এবং ঢাকার প্রধান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিতে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে বর্জ্য পরিশোধন ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও, এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য জাতীয় চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালাকে টেকসই ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত করা যাতে একটি পরিবেশবান্ধব এবং শক্তিশালী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা তৈরি করা যায়। আইসিডিডিআর,বি-র বায়োসেফটি, বায়োরিপোজিটরি এবং কন্টেনমেন্ট ল্যাবের প্রধান ড. আসাদুলঘানি এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের নেতৃত্ব দেবেন।

এছাড়াও আইসিডিডিআর,বি-র নতুন ‘লবণাক্ততা-প্রবণ এলাকার জন্য বিশুদ্ধ পানীয়: বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পানির সমস্যা দূরীকরণ’ প্রকল্পে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে ইবিএল। প্রকল্পের আওতায় দেশের অন্যতম লবণাক্ততা-আক্রান্ত অঞ্চল – সাতক্ষীরার শ্যামনগরে একটি রিভার্স অসমোসিস (আরও) ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে সেখানকার ২০০ পরিবারকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যাবে। এছাড়াও, গবেষণার জন্যও প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ন। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বিশুদ্ধ পানি গ্রহণের আগে এবং বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের  ৬ মাস এবং ১২ মাসের ব্যবধানে রক্তচাপ এবং প্রস্রাবে সোডিয়ামের মাত্রা পরিমাপ করা হবে। যার ফলে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্যের ওপর কি প্রভাব পড়ছে তা বোঝা যাবে। ড. ফারজানা জাহান, এসোসিয়েট সায়েন্টিস্ট, এবং ড. মো. মাহবুবুর রহমান, প্রকল্প সমন্বয়কারী এবং আইসিডিডিআর,বি-তে ওয়াশ-এর ​​প্রধান, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবেন।

ইবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলী রেজা ইফতেখার বলেন, “ইবিএলে, আমরা আমাদের নিয়মিত কর্পোরেট দায়িত্বের বাইরে অনন্য কাজ করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য জনস্বাস্থ্যের সাথে একটি টেকসই পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখে এমন প্রকল্পগুলিকে সমর্থন করার মাধ্যমে একটি দীর্ঘস্থায়ী ও ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করা। আমরা শুধুমাত্র একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করছি না বরং আমরা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করছি।”

আইসিডিডিআর,বি-র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, “যখন ইবিএল-এর মতো কোম্পানি সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে, তখন বড় ধরণের পরিবর্তনের আশা করা যায়। এই প্রকল্পগুলি চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার ফলে মানুষের জীবনে তাৎক্ষনিক প্রভাব ফেলার চেয়েও আরো বেশি ভূমিকা রাখে। এর ফলে তৈরি হয় স্থিতিশীলতা, ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু এবং স্বাস্থ্য সমস্যার টেকসই সমাধান খুঁজে পাওয়ার ভিত্তি। একসাথে, আমরা একটি ভবিষ্যত তৈরি করছি যেখানে প্রত্যেকটি কাজই গুরুত্বপূর্ন।”

দুটি প্রকল্পে ইবিএল-এর সহায়তার পরিমাণ মোট ৯২ লাখ টাকা (প্রায় ৭৬,৮৫৭ মার্কিন ডলার)। এ ধরণের সহযোগিতা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের প্রতি প্রতিষ্ঠানটির যে দায়িত্ব রিয়েছে তা প্রতিফলিত করে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্রাহক সুরক্ষায় বৈশ্বিক স্বীকৃতি: ‘সিপিসি গোল্ড’ অর্জন করল ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স

উপকূলীয় অঞ্চলে পানির সমস্যা দূরীকরণ’ প্রকল্পে সহযোগিতা করার আশ্বাস

০১:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারীদের নিরাপদ পানি প্রদানের লক্ষ্যে একত্রে কাজ করবে আইসিডিডিআর,বি এবং ইবিএল

নিজস্ব প্রতিবেদক  

কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আইসিডিডিআর,বি-র সাথে কাজ করছে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি. (ইবিএল)। চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পানির ঘাটতি দূর করার লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে বিশেষ এই সিএসআর কার্যক্রম। আজ ঢাকায় উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ইবিএল এর প্রধান কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সাক্ষর করা হয়।

এবছরের শুরুর দিকে একটি চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে ইবিএল আইসিডিডিআর,বি কে অনুদান প্রদান করে। যা আইসিডিডিআর,বি সাফল্যের সাথে শেষ করে। এরই ধারাবাহিকতায়, আইসিডিডিআর,বি-র ‘কঠিন বিপজ্জনক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সর্বোত্তম অনুশীলন’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ইবিএল তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিছেছে।  প্রকল্পের এই পর্যায়ে  আইসিডিডিআর,বি-তে উন্নত জীবাণুমুক্তকরণ প্রযুক্তি প্রবর্তন করে এবং ঢাকার প্রধান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিতে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে বর্জ্য পরিশোধন ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও, এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য জাতীয় চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালাকে টেকসই ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত করা যাতে একটি পরিবেশবান্ধব এবং শক্তিশালী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা তৈরি করা যায়। আইসিডিডিআর,বি-র বায়োসেফটি, বায়োরিপোজিটরি এবং কন্টেনমেন্ট ল্যাবের প্রধান ড. আসাদুলঘানি এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের নেতৃত্ব দেবেন।

এছাড়াও আইসিডিডিআর,বি-র নতুন ‘লবণাক্ততা-প্রবণ এলাকার জন্য বিশুদ্ধ পানীয়: বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পানির সমস্যা দূরীকরণ’ প্রকল্পে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে ইবিএল। প্রকল্পের আওতায় দেশের অন্যতম লবণাক্ততা-আক্রান্ত অঞ্চল – সাতক্ষীরার শ্যামনগরে একটি রিভার্স অসমোসিস (আরও) ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে সেখানকার ২০০ পরিবারকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যাবে। এছাড়াও, গবেষণার জন্যও প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ন। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বিশুদ্ধ পানি গ্রহণের আগে এবং বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের  ৬ মাস এবং ১২ মাসের ব্যবধানে রক্তচাপ এবং প্রস্রাবে সোডিয়ামের মাত্রা পরিমাপ করা হবে। যার ফলে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্যের ওপর কি প্রভাব পড়ছে তা বোঝা যাবে। ড. ফারজানা জাহান, এসোসিয়েট সায়েন্টিস্ট, এবং ড. মো. মাহবুবুর রহমান, প্রকল্প সমন্বয়কারী এবং আইসিডিডিআর,বি-তে ওয়াশ-এর ​​প্রধান, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবেন।

ইবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলী রেজা ইফতেখার বলেন, “ইবিএলে, আমরা আমাদের নিয়মিত কর্পোরেট দায়িত্বের বাইরে অনন্য কাজ করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য জনস্বাস্থ্যের সাথে একটি টেকসই পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখে এমন প্রকল্পগুলিকে সমর্থন করার মাধ্যমে একটি দীর্ঘস্থায়ী ও ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করা। আমরা শুধুমাত্র একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করছি না বরং আমরা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করছি।”

আইসিডিডিআর,বি-র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, “যখন ইবিএল-এর মতো কোম্পানি সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে, তখন বড় ধরণের পরিবর্তনের আশা করা যায়। এই প্রকল্পগুলি চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার ফলে মানুষের জীবনে তাৎক্ষনিক প্রভাব ফেলার চেয়েও আরো বেশি ভূমিকা রাখে। এর ফলে তৈরি হয় স্থিতিশীলতা, ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু এবং স্বাস্থ্য সমস্যার টেকসই সমাধান খুঁজে পাওয়ার ভিত্তি। একসাথে, আমরা একটি ভবিষ্যত তৈরি করছি যেখানে প্রত্যেকটি কাজই গুরুত্বপূর্ন।”

দুটি প্রকল্পে ইবিএল-এর সহায়তার পরিমাণ মোট ৯২ লাখ টাকা (প্রায় ৭৬,৮৫৭ মার্কিন ডলার)। এ ধরণের সহযোগিতা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের প্রতি প্রতিষ্ঠানটির যে দায়িত্ব রিয়েছে তা প্রতিফলিত করে।