সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “গাজীপুরের শিল্প এলাকায় পাওনা না পেয়ে বারবার সড়কে নামছেন শ্রমিকেরা”
গাজীপুরের শিল্পকারখানাগুলোয় শ্রমিক অসন্তোষ থামছেই না। বিভিন্ন দাবি নিয়ে বারবার মহাসড়ক আটকে দিচ্ছেন শ্রমিকেরা। গত তিন মাসে অন্তত ২৫ বার ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। কয়েক দিন পরপর অবরোধের কারণে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়ছেন এসব পথে চলাচলকারী হাজারো যানবাহনের যাত্রীরা।
সর্বশেষ বকেয়া বেতন আদায় করতে গত শনিবার সকাল নয়টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার সহস্রাধিক শ্রমিক। টানা ৫২ ঘণ্টা পর গতকাল সোমবার দুপুরে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। তবে দুই ঘণ্টা পর বিকেল চারটার দিকে আবারও তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। আগামী রোববারের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাসে রাত সোয়া ১০টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকেরা। এর আগে নগরীর মালেকের বাড়ি এলাকায় এ অবরোধের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সড়কটিতে চলাচলকারী মানুষেরা। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আশপাশের মোট ১২টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
গাজীপুরে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রমিক বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধের কারণে অনেক মানুষ হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন
গাজীপুরে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রমিক বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধের কারণে অনেক মানুষ হেঁটে গন্তব্যে রওনা হনফাইল ছবি প্রথম আলো গাজীপুরের শিল্পকারখানাগুলোয় শ্রমিক অসন্তোষ থামছেই না। বিভিন্ন দাবি নিয়ে বারবার মহাসড়ক আটকে দিচ্ছেন শ্রমিকেরা। গত তিন মাসে অন্তত ২৫ বার ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। কয়েক দিন পরপর অবরোধের কারণে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়ছেন এসব পথে চলাচলকারী হাজারো যানবাহনের যাত্রীরা।
সর্বশেষ বকেয়া বেতন আদায় করতে গত শনিবার সকাল নয়টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার সহস্রাধিক শ্রমিক। টানা ৫২ ঘণ্টা পর গতকাল সোমবার দুপুরে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। তবে দুই ঘণ্টা পর বিকেল চারটার দিকে আবারও তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। আগামী রোববারের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাসে রাত সোয়া ১০টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকেরা। এর আগে নগরীর মালেকের বাড়ি এলাকায় এ অবরোধের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সড়কটিতে চলাচলকারী মানুষেরা। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আশপাশের মোট ১২টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর গাজীপুরে গত তিন মাসে অন্তত ২৫ বার ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন কয়েক শ শ্রমিক। ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের মালেকের বাড়ি এলাকায়।
বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন কয়েক শ শ্রমিক। ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের মালেকের বাড়ি এলাকায়।ফাইল ছবি: প্রথম আলো
সড়কে কেন আন্দোলন করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিক মো. সুলতান উদ্দিন বলেন, ‘হোনেন, দেশের কোনো আন্দোলনই সড়কে না করলে ফল পাওয়া যায় না। আমরা সড়ক বন্ধ করছি আপনারা দেখাইতেছেন, ওপরের অফিসারও দেখতাছে। এহন দেখবেন ঠিকই একটা সমাধান হবে।’ সড়ক কখন ছেড়ে দেবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না বেতন পামু, ততক্ষণ ছাড়তাছি না। খাইয়া না–খাইয়া এইবার নামছি। বেতন নিয়াই বাড়িতে যামু।’
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য আ ন ম সাইফুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, টিএনজেড কারখানার মালিক বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। তাঁর যে পরিমাণ সম্পদ এবং ঋণ রয়েছে সেটা সমন্বয় করেও শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের মতো পরিস্থিতি নেই। তারপরও তিনি দেশে থাকলে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা যেত। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিজিএমইএর বর্তমান প্রশাসক কাজ করছেন। তবে কমিটি না থাকার কারণে আগে যেভাবে করা যেত সেভাবে সম্ভব হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর গাজীপুরে গত তিন মাসে অন্তত ২৫ বার ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। অবরোধ ছাড়াও অনেক স্থানে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছেন। তবে সেগুলো কারখানা এলাকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। এই সময়ে জেলায় অন্তত ৪০টি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে বলে শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে আবারও ১৮ বিলিয়নের ঘরে “
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি পণ্যের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিল বাবদ ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে (বিপিএম৬)। একই সময় বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২০ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম-৬) ডলার। আর মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার।
আকু হলো আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তান মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে এর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে থাকে।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “দেশের জলবায়ু সংকট তুলে ধরার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার”
বাংলাদেশের কর্মকর্তা, এনজিও এবং সুশীল সমাজের নেতাদের বাকুতে কপ-২৯ সম্মেলনে দেশের জলবায়ু সংকট তুলে ধরতে অতিরিক্ত প্রচেষ্টা চালাতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ।
জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে সোমবার (১১ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানীতে পৌঁছার পরপরই তিনি এ আহ্বান জানান।
মুহাম্মদ ইউনূস বাকুর একটি হোটেলে সমন্বয় সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে বলেন, আমাদের প্রধান প্রচেষ্টা হবে আমাদের উদ্বেগ ও দাবিগুলো কপ২৯-এর চূড়ান্ত ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত করা।
বৈঠকে পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ সম্মেলনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়ন, ক্ষতি ও প্রশমন এবং শুধু রূপান্তর ও অভিযোজন প্রক্রিয়াসহ সব প্রধান ক্ষেত্রে আলোচনার জন্য নয়টি দল গঠন করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্তত ২৯টি এনজিও এবং সুশীল সমাজ গোষ্ঠী কপ-২৯ এ যোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, গ্লোবাল নর্থের ধনী দেশগুলোর আশ্বাস সত্ত্বেও বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৩৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান এবং ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ জলবায়ু অর্থায়ন হিসেবে পেয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাকু পৌঁছান।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্য নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। ২৪ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের অন্তত ১৩ জনের জন্মস্থান চট্টগ্রাম বিভাগে। এই ১৩ উপদেষ্টার দপ্তর-উপ দপ্তরেও তাদের নিজস্ব এলাকার ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ৭ জন। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কেউ উপদেষ্টা পরিষদে নেই। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের একজন করে আছেন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা জেলা থেকে উপদেষ্টা হয়েছেন বেশি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেই এই বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এমন বৈষম্য দূর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে।
রাজনৈতিক সরকারের সময়েও মন্ত্রী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভাগ ও অঞ্চল বিবেচনা করে নিয়োগ দেয়া হয় যাতে সব অঞ্চল ও এলাকার প্রতিনিধিত্ব থাকে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে এক্ষেত্রে বড় বৈষম্য তৈরি হয়েছে অঞ্চল বিবেচনায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উপদেষ্টা পরিষদে এই অঞ্চল বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘শুধু ১টা বিভাগ থেকে ১৩ জন উপদেষ্টা; অথচ উত্তরবঙ্গের রংপুর, রাজশাহী বিভাগের ১৬টি জেলা থেকে কোনো উপদেষ্টা নাই! তার উপর খুনি হাসিনার তেলবাজরাও উপদেষ্টা হচ্ছে!’
ওদিকে রোববার রাতে তিন উপদেষ্টার শপথ নেয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অঞ্চল বৈষম্য নিরসন দাবি করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. নূরুল আমীন বেপারী বলেন, বিভিন্ন জায়গায় কথা উঠেছে সরকার এক বিভাগ থেকেই বেশি উপদেষ্টা নিয়েছে। এ কারণে সরকার বেশি সফলতা পাচ্ছে না বলে মনে করা হচ্ছে।