০৫:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

ফিরে দেখা বাস্তবিক চরিত্রের ‘দারুচিনি দ্বীপ’

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
  • 15

রেজাই রাব্বী

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছয়জন ছেলে ও চারজন মেয়ের কাহিনী নিয়ে নির্মিত ছবি ‘দারুচিনি দ্বীপ’। হুমায়ূন আহমেদের রচনা, তৌকির আহমেদের পরিচালনা ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজনায় নির্মিত ছবি দারুচিনি দ্বীপ। ২০০৭ সালের বন্ধুদের ট্যুর নিয়ে একটি দারুন সাড়া জাগানো বাংলা ছবি। তাদের এই ১০ জন বন্ধু মিলে প্ল্যান করে একসাথে একটি ট্যুরে যাওয়ার। তাদের গন্তব্য ঠিক করে সেন্টমার্টিন যার অপর নাম ‘দারুচিনি দ্বীপ’।

ছবিতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন দশ পরিবারের গল্প উঠে এসেছে। গল্পে দেখা যায় সবাই একসাথে ট্যুরের প্ল্যান করলেও যত ট্যুরের দিন এগিয়ে আসতে থাকে তত বন্ধুদের জটিলতা বাড়তে থাকে ট্যুরে যাওয়ার। গল্পে দেখা যায় ট্যুরে যাওয়ার পেছনে বন্ধুদের পিছুটান। শুভ্র চরিত্রে রিয়াজ প্রচুর অর্থবিত্ত থাকার পরও সে  তার বাবার কঠোরতার জন্য ট্যুরে যাওয়ার অনুমতি দিতে দ্বীমত পোষণ করে এবং অন্যদিকে এক নিম্ন মধ্যবিত্ত বাবার টাকা না থাকা সত্ত্বেও তার ছেলের সুখের জন্য টাকা  যোগান দেওয়ার প্রচুর চেষ্টা করতে থাকেন। এদিকে আরেকজন বল্টু অর্থাৎ মোশারফ করিম নতুন কোন পোশাক না কিনে টিউশন করে টাকা জমাতে থাকে বন্ধুদের সাথে ট্যুরে যাওয়ার জন্য।

এই গল্পে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বল্টুর পড়াতে গিয়ে তরমুজ দেখে বন্ধুদের সাথে ট্যুরে গিয়ে তরমুজ খাওয়ার দৃশ্য কল্পনাতে দেখেন এবং বল্টু ট্যুরের জন্য আয়োজন করে চার লাইন গান তৈরি করে খাবারের প্লেটে বাজনা বাজিয়ে বন্ধুদের শোনান। যদিও শেষ সময় পর্যন্ত বল্টু ট্যুরে যাওয়ার টাকা যোগান দিতে পারেনি নানা জটিলতার কারণে। এরপর নানা কাহিনীর মধ্য দিয়ে গল্প এগোতে থাকে এবং অবশেষে সবাই ট্যুরে যেতে পারেন।

তবে আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে ছবির কোন না কোন চরিত্রের সাথে নিজেকে খুঁজে পাবেন। একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের ইচ্ছা পূরণ করতে পরিবারের কত বাধা কত জটিলতা কত কষ্টের কত ইমোশন সেগুলো দেখানো হয়েছে ছবিতে। বিশ্ববিদ্যালয় লাইফের বন্ধুত্বকে খুব বাস্তবে রূপ দেয়া হয়েছে ছবিতে। বলা যায় শত বার দেখলেও আবারও ফিরে দেখার ইচ্ছা জাগায় ‘দারুচিনি দ্বীপ’।

উল্লেখ্য ছবিতে অভিনয় করছেন রিয়াজ, জাকিয়া বারী মম, মোশাররফ করিম, ইমন, বিন্দু, আবদুল্লাহ আল মামুন, আসাদুজ্জামান নূর, আবুল হায়াত প্রমুখ।

ফিরে দেখা বাস্তবিক চরিত্রের ‘দারুচিনি দ্বীপ’

০৬:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

রেজাই রাব্বী

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছয়জন ছেলে ও চারজন মেয়ের কাহিনী নিয়ে নির্মিত ছবি ‘দারুচিনি দ্বীপ’। হুমায়ূন আহমেদের রচনা, তৌকির আহমেদের পরিচালনা ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজনায় নির্মিত ছবি দারুচিনি দ্বীপ। ২০০৭ সালের বন্ধুদের ট্যুর নিয়ে একটি দারুন সাড়া জাগানো বাংলা ছবি। তাদের এই ১০ জন বন্ধু মিলে প্ল্যান করে একসাথে একটি ট্যুরে যাওয়ার। তাদের গন্তব্য ঠিক করে সেন্টমার্টিন যার অপর নাম ‘দারুচিনি দ্বীপ’।

ছবিতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন দশ পরিবারের গল্প উঠে এসেছে। গল্পে দেখা যায় সবাই একসাথে ট্যুরের প্ল্যান করলেও যত ট্যুরের দিন এগিয়ে আসতে থাকে তত বন্ধুদের জটিলতা বাড়তে থাকে ট্যুরে যাওয়ার। গল্পে দেখা যায় ট্যুরে যাওয়ার পেছনে বন্ধুদের পিছুটান। শুভ্র চরিত্রে রিয়াজ প্রচুর অর্থবিত্ত থাকার পরও সে  তার বাবার কঠোরতার জন্য ট্যুরে যাওয়ার অনুমতি দিতে দ্বীমত পোষণ করে এবং অন্যদিকে এক নিম্ন মধ্যবিত্ত বাবার টাকা না থাকা সত্ত্বেও তার ছেলের সুখের জন্য টাকা  যোগান দেওয়ার প্রচুর চেষ্টা করতে থাকেন। এদিকে আরেকজন বল্টু অর্থাৎ মোশারফ করিম নতুন কোন পোশাক না কিনে টিউশন করে টাকা জমাতে থাকে বন্ধুদের সাথে ট্যুরে যাওয়ার জন্য।

এই গল্পে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বল্টুর পড়াতে গিয়ে তরমুজ দেখে বন্ধুদের সাথে ট্যুরে গিয়ে তরমুজ খাওয়ার দৃশ্য কল্পনাতে দেখেন এবং বল্টু ট্যুরের জন্য আয়োজন করে চার লাইন গান তৈরি করে খাবারের প্লেটে বাজনা বাজিয়ে বন্ধুদের শোনান। যদিও শেষ সময় পর্যন্ত বল্টু ট্যুরে যাওয়ার টাকা যোগান দিতে পারেনি নানা জটিলতার কারণে। এরপর নানা কাহিনীর মধ্য দিয়ে গল্প এগোতে থাকে এবং অবশেষে সবাই ট্যুরে যেতে পারেন।

তবে আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে ছবির কোন না কোন চরিত্রের সাথে নিজেকে খুঁজে পাবেন। একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের ইচ্ছা পূরণ করতে পরিবারের কত বাধা কত জটিলতা কত কষ্টের কত ইমোশন সেগুলো দেখানো হয়েছে ছবিতে। বিশ্ববিদ্যালয় লাইফের বন্ধুত্বকে খুব বাস্তবে রূপ দেয়া হয়েছে ছবিতে। বলা যায় শত বার দেখলেও আবারও ফিরে দেখার ইচ্ছা জাগায় ‘দারুচিনি দ্বীপ’।

উল্লেখ্য ছবিতে অভিনয় করছেন রিয়াজ, জাকিয়া বারী মম, মোশাররফ করিম, ইমন, বিন্দু, আবদুল্লাহ আল মামুন, আসাদুজ্জামান নূর, আবুল হায়াত প্রমুখ।