বায়রন কেয়ে এবং আলাসডেয়ার পল
২০২৫ সালের শেষ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, স্ন্যাপচ্যাটের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোকে ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের প্রবেশ ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, অন্যথায় তাদের $৩২ মিলিয়ন পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।
বয়স যাচাই প্রযুক্তির পরীক্ষা
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে অস্ট্রেলিয়া একটি নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা শুরু করেছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ১,২০০ জন অস্ট্রেলিয়ান অংশগ্রহণকারী নিয়ে এটি পরিচালিত হবে। পরীক্ষার আওতায় বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমন বায়োমেট্রিক বিশ্লেষণ, পরিচয়পত্র যাচাই এবং ইমেল ঠিকানার ক্রস-চেকিং অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ এবং গোপনীয়তার উদ্বেগ
কিছু ইউরোপীয় দেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলো সামাজিক মাধ্যমে বয়সের সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করেছে, কিন্তু গোপনীয়তা এবং বাকস্বাধীনতার আইনি চ্যালেঞ্জের কারণে এই ধরনের ব্যবস্থা কার্যকর করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারাও এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গোপনীয়তার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং সীমাবদ্ধতা
বয়স যাচাই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি থাকলেও এখনো তা সম্পূর্ণ নির্ভুল নয়। কিছু প্রযুক্তি মুখের বলিরেখা বা হাতের গঠন বিশ্লেষণ করে বয়স নির্ধারণ করার চেষ্টা করছে। তবে, এই প্রযুক্তি সবসময় ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা বজায় রেখে কাজ করতে সক্ষম নয়।
বয়স যাচাই প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা কোনো ব্যক্তিগত তথ্য সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর কাছে হস্তান্তর করার জন্য নয়। এদিকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের এমন পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে, যা গোপনীয়তা বজায় রেখে কার্যকর বয়স যাচাই নিশ্চিত করবে।
ব্যবহারকারীদের বিকল্পের সুযোগ
বয়স যাচাই প্রযুক্তির সফল বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহারকারীদের বিকল্পের সুযোগ থাকা জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন। তবে, একক সমাধান খুঁজে পাওয়া এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য শুধুমাত্র অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষা নয়, বরং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা। তবে, এটি কার্যকর করতে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং গোপনীয়তার ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।