০২:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

বিএসএমএমইউ-এর নবজাতকের বিভাগের অটোমেশন কার্যক্রম ও ইয়ার বুক ২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন

  • Sarakhon Report
  • ০৩:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 16

নিজস্ব প্রতিবেদক 

বিএসএমএম-এর  নিওনেটোলজি (নবজাতক) বিভাগের অটোমেশন কার্যক্রম ও ইয়ার বুক ২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখে সি ব্লকে উক্ত বিভাগের ক্লাস রুমে নিউনেটোলজি বিভাগ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ সহিদুল্লা। সভাপতিত্ব করেন নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠানে নিউনেটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কুমার দে, শিশু নিউরোলজি বিভাগের শিক্ষক ডা. কানিজ ফাতেমা প্রমুখসহ শিশু অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, বিএসএমএমইউতে যেসকল গবেষণা হয় সেগুলো যাতে রোগীদের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউনেটোলজি বিভাগ গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখছে। কনজারভেটিভ ডেনটিসট্রি এন্ড এন্ডোডনটিকস বিভাগের গবেষণা কর্মে সহায়তায় নিউনেটোলজি বিভাগের অবদান রয়েছে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, নবজাতকদের সর্বাধুনিক উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে মাল্টিডিসিপ্লেনারি এপ্রোচকে কাজে লাগাতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে অনেক প্রিমেচিউর বেবি এখন বেঁচে যাচ্ছে, এটা আশার কথা। কিন্তু শিশু সার্জারি, শিশু নিউরোলজির অনেক জটিল বিষয় রয়েছে, সেক্ষেত্রে কাঙ্খিত সাফল্য পেতে এখনও অনেক কাজ করা প্রয়োজন রয়েছে। বিএসএমএমইউর বর্তমান প্রশাসন উন্নতিকল্পে সব ধরণের সহায়তা দিতে প্রস্তুত, তবে সে ক্ষেত্রে কিছু প্রসিডিউর অবশ্যই মানতে হবে।

সাবেক উপ-উপাচার্য ও নবজাতক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ সহিদুল্লা বলেন, প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অর্জিত জ্ঞানকে তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃত করে দিতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে কোভিডের মতো মহামারি অবস্থাতেও থেমে থাকতে হবে না।

নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, বিএসএমএমইউর নিউনেটোলজি বিভাগ শুধু এই প্রতিষ্ঠান নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যে কারণে বিএসএমএমইউর গবেষণা দিবসে প্রতি বছরে এই বিভাগের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীরা পুরস্কৃত হয়ে আসছেন।

অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা নবজাতকদের সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিতকরণে অধিক পরিমাণ বিনিয়োগের তাগিদ দেন। বক্তারা বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষ্যত। তাই তাদের সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। বিএসএমএমইউর নিউনেটোলজি বিভাগ নবজাতকদের জীবন রক্ষায় অনেক উন্নতি করেছে, তবে জটিল জটিল চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে  আরো অনেক উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে।

বিএসএমএমইউ-এর নবজাতকের বিভাগের অটোমেশন কার্যক্রম ও ইয়ার বুক ২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন

০৩:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক 

বিএসএমএম-এর  নিওনেটোলজি (নবজাতক) বিভাগের অটোমেশন কার্যক্রম ও ইয়ার বুক ২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখে সি ব্লকে উক্ত বিভাগের ক্লাস রুমে নিউনেটোলজি বিভাগ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ সহিদুল্লা। সভাপতিত্ব করেন নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠানে নিউনেটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কুমার দে, শিশু নিউরোলজি বিভাগের শিক্ষক ডা. কানিজ ফাতেমা প্রমুখসহ শিশু অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, বিএসএমএমইউতে যেসকল গবেষণা হয় সেগুলো যাতে রোগীদের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউনেটোলজি বিভাগ গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখছে। কনজারভেটিভ ডেনটিসট্রি এন্ড এন্ডোডনটিকস বিভাগের গবেষণা কর্মে সহায়তায় নিউনেটোলজি বিভাগের অবদান রয়েছে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, নবজাতকদের সর্বাধুনিক উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে মাল্টিডিসিপ্লেনারি এপ্রোচকে কাজে লাগাতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে অনেক প্রিমেচিউর বেবি এখন বেঁচে যাচ্ছে, এটা আশার কথা। কিন্তু শিশু সার্জারি, শিশু নিউরোলজির অনেক জটিল বিষয় রয়েছে, সেক্ষেত্রে কাঙ্খিত সাফল্য পেতে এখনও অনেক কাজ করা প্রয়োজন রয়েছে। বিএসএমএমইউর বর্তমান প্রশাসন উন্নতিকল্পে সব ধরণের সহায়তা দিতে প্রস্তুত, তবে সে ক্ষেত্রে কিছু প্রসিডিউর অবশ্যই মানতে হবে।

সাবেক উপ-উপাচার্য ও নবজাতক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ সহিদুল্লা বলেন, প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অর্জিত জ্ঞানকে তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃত করে দিতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে কোভিডের মতো মহামারি অবস্থাতেও থেমে থাকতে হবে না।

নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, বিএসএমএমইউর নিউনেটোলজি বিভাগ শুধু এই প্রতিষ্ঠান নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যে কারণে বিএসএমএমইউর গবেষণা দিবসে প্রতি বছরে এই বিভাগের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীরা পুরস্কৃত হয়ে আসছেন।

অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা নবজাতকদের সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিতকরণে অধিক পরিমাণ বিনিয়োগের তাগিদ দেন। বক্তারা বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষ্যত। তাই তাদের সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। বিএসএমএমইউর নিউনেটোলজি বিভাগ নবজাতকদের জীবন রক্ষায় অনেক উন্নতি করেছে, তবে জটিল জটিল চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে  আরো অনেক উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে।