১২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সময়ের পরীক্ষায় অটল বন্ধন — ভারত-রাশিয়া কূটনীতির নতুন দিগন্ত সিরিয়ার দক্ষিণে ধর্মীয় সংঘর্ষে উৎখাত বেদুইনদের ফিরে যাওয়ার আশাও ম্লান চীনের বিনিয়োগে ধস: লুকানো সংকেত নাকি পরিসংখ্যানের কারসাজি? জুলাই সনদ নিয়ে অচলাবস্থা ঠেকাতে অন্তরালে সমঝোতা চেষ্টার আভাস গোপালগঞ্জ সংঘর্ষে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ দুই পক্ষই দায়ী- তদন্ত কমিটি ট্রাম্প তথ্যচিত্র সম্পাদনা নিয়ে সমালোচনার মুখে বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তা প্রধানের পদত্যাগ ২৮ হাজার ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিতে, অবৈধ অস্ত্র রোধের সুপারিশ সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ একটি বিষয় এখনও জেন- জি দের জন্য ম্যানুয়ালি আছে জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা”

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৬)

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 29

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

লোকগল্পের আরেক অংশ থেকে জানা যায় স্প্যানিশ অনুপ্রবেশের পর আর্কবিশপ তারিবিও দে মগ্রভেগোকে এই পর্বতকেন্দ্রে পাঠান হয়। এই পাথুরে স্তূপকে সরাতে না পেরে আর্কবিশপ একে আড়াল করার মত একটা প্রমাণ সাইজের চার্চ তৈরি করেন। মেক্সিকোতে কেতজালকোতের পদচিহ্ন পাওয়ার ঘটনাও আছে।

এই বিশ্ব সম্পর্কে ইনকাদের ধারণা: পৃথিবী, এই জগৎ, বিশ্ব, এই চরাচর, সব কিছু সম্পর্কেই প্রতিটি ধর্মীয় দর্শনের এক ব্যাখ্যা বা বিশ্বাস থাকে। এই বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে জড়জগতের ভাল, মন্দ বিচার করার চেষ্টা করা হয়। পৃথিবীকে নানাভাগে ভাগ করার মধ্য দিয়ে আসলে আধ্যাত্মিক চেতনার প্রকাশ ঘটে। বা অন্যভাবে বলা যায় চিৎ, চেতনার প্রতি শ্রদ্ধা আন্তরিকতার উন্মোচন ঘটে।

ইনকারা এই বিশ্বকে তিনটি স্তরে ভাগ করেছেন। উপরের দিকের এই পৃথিবীর নাম হল হানান পাচা (Hanan Pacha) এর নীচের স্তরকে বলা হয় ছরিন পাচা (Hurin Pacha) এবং তৃতীয় স্তরটিকে বলা হয় কাএ-পাচা (Kay Pacha)। হিন্দু ধর্মেও বিশ্বের তিন স্তর এর কথা বলা হয়েছে। পরিচিত এই তিনটি স্তর হল স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল। স্বর্গে যায় সৎ, ভাল মানুষ।

মর্ত্যে যায় এর থেকে কম ভাল, বাস্তুগত সুখপ্রিয় মানুষ। আর এরও নীচে পাতালে প্রবেশ করে সবচেয়ে অসৎ দুষ্টু লোক। এই পাতালপুরী হল দানবদের বাসস্থান। স্বর্গে গেলে খুব ভালভাবে সুখে থাকা যায়। এর মাঝখানে মর্ত্য হল দুঃখ কষ্ট, রোগ ভোগের জায়গা। আসলে এই লোকবিশ্বাস থেকেই ইনকাদের আরেকটি লোকগল্পের সন্ধান পাই আমরা।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৫)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৫)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সময়ের পরীক্ষায় অটল বন্ধন — ভারত-রাশিয়া কূটনীতির নতুন দিগন্ত

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৬)

০৫:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

লোকগল্পের আরেক অংশ থেকে জানা যায় স্প্যানিশ অনুপ্রবেশের পর আর্কবিশপ তারিবিও দে মগ্রভেগোকে এই পর্বতকেন্দ্রে পাঠান হয়। এই পাথুরে স্তূপকে সরাতে না পেরে আর্কবিশপ একে আড়াল করার মত একটা প্রমাণ সাইজের চার্চ তৈরি করেন। মেক্সিকোতে কেতজালকোতের পদচিহ্ন পাওয়ার ঘটনাও আছে।

এই বিশ্ব সম্পর্কে ইনকাদের ধারণা: পৃথিবী, এই জগৎ, বিশ্ব, এই চরাচর, সব কিছু সম্পর্কেই প্রতিটি ধর্মীয় দর্শনের এক ব্যাখ্যা বা বিশ্বাস থাকে। এই বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে জড়জগতের ভাল, মন্দ বিচার করার চেষ্টা করা হয়। পৃথিবীকে নানাভাগে ভাগ করার মধ্য দিয়ে আসলে আধ্যাত্মিক চেতনার প্রকাশ ঘটে। বা অন্যভাবে বলা যায় চিৎ, চেতনার প্রতি শ্রদ্ধা আন্তরিকতার উন্মোচন ঘটে।

ইনকারা এই বিশ্বকে তিনটি স্তরে ভাগ করেছেন। উপরের দিকের এই পৃথিবীর নাম হল হানান পাচা (Hanan Pacha) এর নীচের স্তরকে বলা হয় ছরিন পাচা (Hurin Pacha) এবং তৃতীয় স্তরটিকে বলা হয় কাএ-পাচা (Kay Pacha)। হিন্দু ধর্মেও বিশ্বের তিন স্তর এর কথা বলা হয়েছে। পরিচিত এই তিনটি স্তর হল স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল। স্বর্গে যায় সৎ, ভাল মানুষ।

মর্ত্যে যায় এর থেকে কম ভাল, বাস্তুগত সুখপ্রিয় মানুষ। আর এরও নীচে পাতালে প্রবেশ করে সবচেয়ে অসৎ দুষ্টু লোক। এই পাতালপুরী হল দানবদের বাসস্থান। স্বর্গে গেলে খুব ভালভাবে সুখে থাকা যায়। এর মাঝখানে মর্ত্য হল দুঃখ কষ্ট, রোগ ভোগের জায়গা। আসলে এই লোকবিশ্বাস থেকেই ইনকাদের আরেকটি লোকগল্পের সন্ধান পাই আমরা।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৫)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৫)