শশাঙ্ক মণ্ডল
‘আইলারে আইলারে পীর আইলা আহারবান।
সুন্দর খায়ায়ে মাণিক দরিয়া হইলা পার
শ্যাম সুন্দর আলি পীর মুখে চম্পা দাড়ি।
ভ্রমিতে ভ্রমিতে গেল গোহলার বাড়ি
গোহলার বাড়ি গিয়ে জানাল জিগির।।
সম্পন্ন গৃহস্থ কালু ঘোষ তার গোয়ালভর্তি গোরু বাছুর। বাড়িতে কেউ ছিল না কেবলমাত্র কালুঘোষের পুত্র বধূ বাড়িতে। তার কাছে মাণিক তৃষ্ণা নিবারণের জন্য দুধ চাইল এ ভাবে-
পুত্রবধূ পুত্রবধূ তোমারে শুধাই
কিছু দুগ্ধ দেহ মোরে আতস জুড়াই।
কিন্তু বউটির মনে কুবুদ্ধির উদয় হল, মাণিকের কাছে সে মিথ্যা কথা বলল।
‘গাই গেছে বাগানেতে দোয়াল নাইকো ঘরে
কি করে দুগ্ধ দেবো বলি যে তোমারে।
মাণিক প্রবঞ্চনা বুঝতে পেরে সে ক্রুদ্ধ হয়ে বলে ওঠে-
থাকরে গোয়ালার মেয়ে থাক ঘরে বসে
উচিতমত সাজা দেব দুপ্রহরে এসে।’
হালের গোরু থেকে শুরু করে দুধের গোরু ও বাছুর সবই মারা গেল-কালু ঘোষের বাড়িতে হাহাকার নেমে এল। কালু ঘোষ বুঝল এ পীরের অভিশাপ, মাণিক পীরের স্মরণাপন্ন হল কালু ঘোষ। মাণিক পীরের সাথে সত্য পীরের কথোপকথন কাহিনীতে লক্ষ করা যায়।
মরেছে কাঙালের গরু কি হবে উপায়?
দমদম বলে মাণিক পিঠে মারে চড়
সাতদিনের বাসী গরু উঠে মারে রড়।
মাণিক সমস্ত গোধন ফিরিয়ে দিল, কালু ঘোষ তার মনস্তাপ এ ভাবে প্রকাশ করে
আগে যদি জানতাম বাবা মাণিক এমন পীর
আগে দিতাম দুগ্ধ কলা পিছে দিতাম ক্ষীর।
এরপর মাণিকের পিতৃ পরিচয় দেওয়া আছে। বিভিন্ন গায়ক মাণিক পীরের এই পালা গেয়ে ভিক্ষা নেবার আগে বলে-
এই বাড়ীর ভিক্ষা নিয়ে অন্য বাড়ী যাই
এই বাড়ীর মানুষ গরু থাকিবে ভালই।’
Sarakhon Report 



















