০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২১) হলিউডের ‘হাইল্যান্ডার’ রিবুটে যোগ দিলেন কোরিয়ান তারকা জিওন জং-সিও অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬২)

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • 15

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এক মহাযুগে প্রদক্ষিণ করে “খদস্রাক্ষিবেদযড়বহ্নি” বার। এখানে খ (=০), দস্র (২) অক্ষি (=২), বেদ (=৪) যড় (=৬), বহ্নি (=৩)। এগুলিকে ভারতীয় নিয়ম “অঙ্কানাং বামতো গতিঃ বিধিতে লিখলে দাঁড়ায় ৩৬৪২২০; অতএব বৃহস্পতি এক মহা- যুগে ৩৬৪২২০ বার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে।

ঠিক এইভাবে পাওয়া যায় গুণরস-৫৩, শশিষমশর = ৫২১, সমূদ্রবসুবিষয়= ৫৮৪, পরাম=৩০, রসার্ক=১২৬, খেযব=৫০, খযুগা=৪০, খার্ণব-৪০, খরস-৬০, বেদাগ্নি-৩৪, বাণগুণ-৩৫, বসবাণাক্ষি = ২৫৬, খচতুষ্করদার্ণবাঃ- ৪০২০০০০, এই পদ্ধতিতে কি ধরণের সুবিধা এবং অসুবিধা আছে তা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে কৌতূহল আছে।

গণিত ঐতিহাসিক বিভূতিভূষণ দত্ত বলেছেন-এই সংখ্যার উল্লেখের পিছনে মূলত তিনটি কারণ আছে। সেগুলি হচ্ছে (ক) এই পদ্ধতি ছন্দের উপযোগী, (খ) এই পদ্ধতিতে কোন বড় সংখ্যাকে ছোট করে লেখা যায়। যেমন ১৪৩৩২৪ একটি বড় সংখ্যা। কিন্তু নাম সংখ্যার দৌলতে এটি লেখা হয় “বেদযুগগুণরামাব্দি চন্দ্র”।

তাছাড়াও সমুদ্ররদহুতাশন মনু অথবা জিনরামমনু প্রভৃতি এই সংখ্যাটির পরিবর্তে লেখা হয়ে থাকে। (গ) সংখ্যার বিশুদ্ধি রক্ষণ করতে এ পদ্ধতি এক আশ্চর্য ফল দেয়। অনেক সময় দেখা যায় পরবর্তী লেখকেরা কখনও সংখ্যা পাতন করতে গিয়ে এক বা একাধিক সংখ্যা চিহ্ন বসাতে ভুলে গিয়েছেন বা ইচ্ছাকৃতভাবে বসান নাই। কিন্তু নাম সংখ্যা ব্যবহৃত হলে এ ধরণের ভ্রান্তি কম হয়ে থাকে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬১)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২১)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬২)

১০:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এক মহাযুগে প্রদক্ষিণ করে “খদস্রাক্ষিবেদযড়বহ্নি” বার। এখানে খ (=০), দস্র (২) অক্ষি (=২), বেদ (=৪) যড় (=৬), বহ্নি (=৩)। এগুলিকে ভারতীয় নিয়ম “অঙ্কানাং বামতো গতিঃ বিধিতে লিখলে দাঁড়ায় ৩৬৪২২০; অতএব বৃহস্পতি এক মহা- যুগে ৩৬৪২২০ বার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে।

ঠিক এইভাবে পাওয়া যায় গুণরস-৫৩, শশিষমশর = ৫২১, সমূদ্রবসুবিষয়= ৫৮৪, পরাম=৩০, রসার্ক=১২৬, খেযব=৫০, খযুগা=৪০, খার্ণব-৪০, খরস-৬০, বেদাগ্নি-৩৪, বাণগুণ-৩৫, বসবাণাক্ষি = ২৫৬, খচতুষ্করদার্ণবাঃ- ৪০২০০০০, এই পদ্ধতিতে কি ধরণের সুবিধা এবং অসুবিধা আছে তা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে কৌতূহল আছে।

গণিত ঐতিহাসিক বিভূতিভূষণ দত্ত বলেছেন-এই সংখ্যার উল্লেখের পিছনে মূলত তিনটি কারণ আছে। সেগুলি হচ্ছে (ক) এই পদ্ধতি ছন্দের উপযোগী, (খ) এই পদ্ধতিতে কোন বড় সংখ্যাকে ছোট করে লেখা যায়। যেমন ১৪৩৩২৪ একটি বড় সংখ্যা। কিন্তু নাম সংখ্যার দৌলতে এটি লেখা হয় “বেদযুগগুণরামাব্দি চন্দ্র”।

তাছাড়াও সমুদ্ররদহুতাশন মনু অথবা জিনরামমনু প্রভৃতি এই সংখ্যাটির পরিবর্তে লেখা হয়ে থাকে। (গ) সংখ্যার বিশুদ্ধি রক্ষণ করতে এ পদ্ধতি এক আশ্চর্য ফল দেয়। অনেক সময় দেখা যায় পরবর্তী লেখকেরা কখনও সংখ্যা পাতন করতে গিয়ে এক বা একাধিক সংখ্যা চিহ্ন বসাতে ভুলে গিয়েছেন বা ইচ্ছাকৃতভাবে বসান নাই। কিন্তু নাম সংখ্যা ব্যবহৃত হলে এ ধরণের ভ্রান্তি কম হয়ে থাকে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬১)