ও কে হোটেল
সাদ উর রহমান লিখেছেন-ঢাকার প্রথম হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ও কে হোটেল। ঢাকায় আসলেই উন্নতমানের আবাসিক হোটেলের অভাব ছিল। বহিরাগতরা পরিচিতদের বাসায়, মেস অথবা বোর্ডিং-এ থাকতেন।
পুরনো ঢাকার জনসন রোডে মুকুল সিনেমার পাশে স্থাপন করা হয় ও কে হোটেল। উপরতলায় অতিথিরা থাকতেন আর নিচতলায় ছিল রেস্টুরেন্ট যেখানে কন্টিনেন্টাল ব্রেকফাস্ট দেয়া হতো। এতে মনে হয় কোনো অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ব্যবসায়ী এটি খুলেছিলেন, পাকিস্তান আমলে মালিকানা পরিবর্তন হলে এর নাম হয় মাইরেন্ডার।’
ওরিয়েন্ট এয়ারওয়েজ বিমান
ওরিয়েন্ট এয়ারওয়েজ
ঢাকা বা পূর্ববঙ্গের প্রথম বিমান চালনা কোম্পানি ‘ওরিয়েন্ট এয়ারওয়েজ’। ১৯৪৭ সালের পর তা চালু করে ব্যবসায়ী ইস্পাহানী গ্রুপ।
ওবায়দুল হক সরকার লিখেছেন, “তেজগাঁও বিমান বন্দর থেকে ওরিয়েন্ট এয়ারওয়েজের বিমান সার্ভিস চালু হয়েছিল। এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমানের পাখা হাত দিয়ে ঘুরিয়ে দিতে হতো।
করাচি যেতে হলে ঢাকা থেকে কলকাতা, কলকাতা থেকে দিল্লী, দিল্লী থেকে লাহোর, লাহোর থেকে করাচি থেমে থেমে যেতে হতো। তিরিশ জনের বেশি যাত্রী নিত না। ইস্পাহানীর ছিল এই কোম্পানি”।
ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুল
ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুল
১৯২০ সালে ঢাকার আজিমপুরে বসবাসকারী দুই জমিদার, ঢাকার পশ্চিমে বি.সি.দাস স্ট্রিটে চার একর জমি দান করেন একটি স্কুল প্রতিষ্ঠায়। এর নাম দেয়া হয় ‘ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুল’। এটি বেশ আশ্চর্যজনক ঘটনা এ কারণে যে, জমিদার দুজন জমি দান করলেও স্কুলের সঙ্গে নিজেদের নাম যুক্ত করেননি। জমিদার দুজন পরস্পরের ভাই-নাম সতীশচন্দ্র দাস ও সুবোধচন্দ্র দাস।
আরো আশ্চার্য এই যে, এর প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন একজন মুসলমান, নাম চাঁদ বক্স মিয়া। ১৯২০ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রধান শিক্ষক। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী সেই চার একর জমির মধ্যে এখন মাত্র ৬৭৫৮ একর জমি অবশিষ্ট আছে। ভাষা সংগ্রামী গাজীউল হক এবং বাংলাদেশের প্রয়াত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ একসময় এ স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ২০১৭ সালে এর ছাত্র সংখ্যা ছিল ১৭০০।
(চলবে)
পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ২৫)